রাজধানীর বনানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারী পোশাক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। সোমবার ভোর ৬টার দিকে বনানীর চেয়ারম্যানবাড়ি ইউটার্ন ইনকামিংয়ে এই দুর্ঘটনায় আরও এক নারী ও শিশু আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদেরকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সহকর্মীর মৃত্যুর জেরে পোশাক শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এতে বনানী ও এর আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে নিহত ও আহতদের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।

জানা গেছে, দুর্ঘটনায় একজন মারা যাওয়ার পর পোশাক শ্রমিকরা বনানীর চেয়ারম্যানবাড়িতে দুই পাশের সড়ক অবরোধ করেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুই পাশে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শ্রমিকরা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বনানীতে নামার র‍্যাম্পও বন্ধ করে রেখেছেন। ফলে বনানীগামী যানবাহনগুলো এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নামতে পারছে না। এতে পুরো এক্সপ্রেসওয়েতে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

গুলশান ট্রাফিক বিভাগ থেকে জানানো হয়, বনানীতে সোমবার সকাল আনুমানিক ৬টার দিকে চেয়ারম্যানবাড়ি ইউটার্ন ইনকামিংয়ে এক নারী সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। তবে, কোন পরিবহন দুর্ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করছে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক করতে তৎপর রয়েছে।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সারোয়ার সমকালকে বলেন, সকাল থেকে গার্মেন্টস শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছেন। এতে রাস্তায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। তাদেরকে বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। এছাড়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন বন ন ত ব র য নজট দ র ঘটন য় ক অবর ধ বন ন ত

এছাড়াও পড়ুন:

কথা বললেই রিমান্ড ও মামলা বাড়ে: পলক

কথা বললেই রিমান্ড ও মামলার সংখ্যা বাড়ে বলে অভিযোগ করেছেন সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

সোমবার (১০ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন তিনি।

এদিন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় জুনাইদ আহমেদ পলককে দুপুর ১২টার পর কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। সেখান থেকে দুপুর পৌনে ২টার দিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয় জুনাইদ আহমেদ পলককে। তাকে হাজতখানায় রাখা হয়েছে।

শুনানিকালে জুনাইদ আহমেদ পলককে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালতে তোলা হবে।

প্রিজন ভ্যান থেকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে জুনাইদ আহমেদ পলক সাংবাদিকদের বলেছেন, “কথা বললেই রিমান্ড আর মামলার সংখ্যা বাড়ে। পেছনে হ্যান্ডকাফ দিয়ে আটকে রাখে। কথা বলার অধিকার কি আমাদের আছে?”

জুনাইদ আহমেদ পলক এখন পর্যন্ত ৭৮টি মামলার আসামি বলে জানিয়েছেন তিনি। গত ৬ ফেব্রুয়ারি জুনাইদ আহমেদ পলককে দুদকের দায়ের করা এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

গত ১২ ডিসেম্বর জুনাইদ আহমেদ পলক ও তার স্ত্রী আরিফা জেসমিনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। মামলার তথ্য অনুযায়ী, জুনাইদ আহমেদ পলকের ২৪টি ব্যাংক হিসাবে ঘুষ, দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে ৩২ কোটি ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৩১৪ টাকা জমা হয়। এর মধ্যে ২৯ কোটি ৮৪ লাখ ৭২ হাজার ৯৫ টাকা তুলে নেওয়া হয়। ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এসব টাকা লেনদেন হয়েছে।

গত বছরের ১৫ আগস্ট জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে বিভিন্ন সময়ে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ