শামির মায়ের পা ছুঁয়ে পৃথিবীকে চ্যালেঞ্জ কোহলির
Published: 10th, March 2025 GMT
দুবাইয়ে গতকাল রাতে দুটি মুহূর্ত দেখে মনে হলো, বিরাট কোহলি পৃথিবীর সুখী মানুষদের একজন।
এক. ফাইনালে ভারতের জয়ের পর স্টাম্প নিয়ে মাঠে রোহিত শর্মার সঙ্গে লোকনৃত্য। গুজরাট অঞ্চলে নবরাত্রিতে নাচটা জনপ্রিয়। অনেকটাই তলোয়ারযুদ্ধের মতো। কোমর ঘুরিয়ে হাসতে হাসতে স্টাম্পে ঠোকাঠুকি করছিলেন দুজন। কেউ কেউ অবশ্য সেটাকে তলোয়ারযুদ্ধ ভেবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ফাইনালের সঙ্গেও মিলিয়ে নিতে পারেন। ফাইনালে নিউজিল্যান্ড সেভাবে লড়াই করতে পারল কোথায়! হাসিমুখে ওই তলোয়ারযুদ্ধের মতো ভারতও হাসতে হাসতে ম্যাচটা জিতেছে আরামসে।
দুই.
বড় মাপের রাজারা সিংহাসন ছাড়ার আগে রাজত্ব আরও সুসংহত করে যান। কোহলি মনে করেন, ভারত জাতীয় দল এখন তেমন অবস্থানেই আছে। ক্রিকেট মাঠে গোটা পৃথিবীর মুখোমুখি হতেও ভয় পাবে না—কোহলির ভাষায়, ‘রেডি টু টেক অন দ্য ওয়ার্ল্ড।’ এই কথার ক্রিকেটীয় অর্থ, ভারতের বর্তমান দলটি আগামী আট বছর যেকোনো চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।
মোহাম্মদ শামির মায়ের সঙ্গে কোহলিউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মা-মেয়েকে উত্ত্যক্তের জের, মাইকিং করে সংঘর্ষে জড়াল দুই এলাকার মানুষ
মা-মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার জের ধরে কুড়িগ্রামের চিলমারী ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের দুই এলাকার মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কয়েক দফার এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০-২৫ জন আহত হন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শুক্রবার চিলমারীর রমনা ইউনিয়নের দক্ষিণ খরখরিয়া গ্রামের এক নারী তাঁর মেয়েকে নিয়ে দ্বিতীয় তিস্তা সেতু এলাকায় ঘুরতে যান। এ সময় সুন্দরগঞ্জের হরিপুর ইউনিয়নের শহরের মোড় এলাকার কয়েকজন কিশোর গোপনে তাঁদের ছবি তোলেন ও উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা করেন। মা–মেয়ে ওই ঘটনার প্রতিবাদ করলে ওই কিশোরেরা তাঁদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। বিষয়টি চোখে পড়লে প্রতিবাদ জানান চিলমারীর রমনা ইউনিয়নের ডাঙ্গার চর এলাকার সাজু ও মোতালেব মিয়া নামের দুই ব্যক্তি। এরপর কয়েকজন তাঁদের মারধর করেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকালে রমনা ইউনিয়নের দক্ষিণ খরখরিয়া এলাকার আলমগীর হোসেন (৩৫) ভুট্টাখেত দেখতে গেলে শহরের মোড় এলাকার কয়েকজন তাঁকে মারধর করেন। খবর পেয়ে আলমগীরকে তাঁর পরিবারের লোকজন উদ্ধার করেন। তাঁকে প্রথমে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওই ঘটনার পর দুই পক্ষের মানুষ মাইকিং করে লোকজন ডাকে। এরপর দুই পক্ষের শতাধিক লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুপক্ষের ২০-২৫ জন আহত হন। খবর পেয়ে কুড়িগ্রাম থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রমনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম আশেক বলেন, গোপনে মা-মেয়ের ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন থেকে দুই এলাকার মানুষের মাঝে উত্তেজনা চলছিল। আজ চিলমারীর একজন কৃষক জমিতে কাজ করতে গেলে সুন্দরগঞ্জ শহরের মোড় এলাকার কয়েকজন মিলে তাঁকে মারধর করে। ওই ঘটনায় দুই এলাকার মানুষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
চিলমারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রহিম প্রথম আলোকে বলেন, উভয় এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।