প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে আসছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। আগামী ১৩ মার্চ তার আসার কথা রয়েছে। এই সফরে তিনি চার দিন বাংলাদেশে থাকবেন। তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)।

এজন্য জাতিসংঘ মহাসচিবকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার।

গত ৬ মার্চ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। 

তাতে বলা হয়- সরকার বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) আইন, ২০২১-এর ধারা ২(ক)-এ প্রদত্ত ক্ষমতা বলে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে আগামী ১৩-১৬ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ সফরকালীন ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে ঘোষণা করিল।

আইনে বলা আছে, ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ অর্থ সরকার কর্তৃক, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোনও বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধান এবং এই আইনের উদ্দেশ্যগুলো পূরণকল্পে, অনুরূপ ব্যক্তি বলে ঘোষিত অন্য কোনও ব্যক্তিও এর অন্তর্ভুক্ত হবেন।

আইন অনুযায়ী ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে’ বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী দৈহিক নিরাপত্তা দিয়ে থাকে।

এর আগে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস। সেই হিসেবে এটি তার দ্বিতীয় সফর।

জাতিসংঘের সদর দফতর জানিয়েছে, তিনি ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কক্সবাজারে যাবেন এবং মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং শরণার্থীদের আশ্রয় কেন্দ্রে উদারভাবে কাজ করে আসা স্থানীয় বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।

সফরকালে তিনি ঢাকায় থাকবেন, সেখানে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহম্মদ ইউনূস, তরুণ নারী ও পুরুষ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

ঢাকা/হাসান/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সংস্কার ও মিয়ানমার নিয়ে আলোচনায় আসছেন মার্কিন দুই কর্মকর্তা

সংস্কার ও মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা আসছেন ট্রাম্প প্রশাসনের দুই কর্মকর্তা। ১৫ এপ্রিল ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল অ্যান চুলিকের। পরদিন পৃথক সফরে আসবেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পূর্ব এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যান্ড্রু আর হেরাপ। এ ছাড়া সফরে তাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে মিয়ানমারের ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুসান স্টিভেনসনের।

আগামী ১৫-১৮ এপ্রিল ঢাকা সফর করবেন মার্কিন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক নিকোল। ঢাকা সফরে সংস্কার, সংস্কারে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা এবং গণতান্ত্রিক পথে ফেরত আনার বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি। সফরকালে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠকের কথা রয়েছে।
নিকোল অ্যান চুলিকের সফর নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে সমকালকে বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার গঠনের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে এটাই প্রথম সফর হতে যাচ্ছে। নিকোল অ্যান চুলিক বর্তমানে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হলেও অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি না থাকায় এ দপ্তরের দায়িত্ব তিনি পালন করছেন। সফরকালে এ কর্মকর্তা বাংলাদেশে চলমান সংস্কার নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন। সেই সঙ্গে এ সংস্কারে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে, সে চাহিদাগুলো জানতে চাইবেন।

তিনি বলেন, ১/১১-এর সময় সংস্কারে জোর না দেওয়াটা এক প্রকার ভুল মনে করে মার্কিনিরা। ফলে জরুরি সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পথে উত্তরণে সহযোগী হিসেবে থাকতে চায় দেশটি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই শীর্ষ কূটনীতিক
  • সংস্কার ও মিয়ানমার নিয়ে আলোচনায় আসছেন মার্কিন দুই কর্মকর্তা