বনানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় পোশাকশ্রমিক নিহত, প্রতিবাদে অবরোধ, যানজট
Published: 10th, March 2025 GMT
রাজধানী ঢাকার বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নারী পোশাকশ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরেক নারী পোশাকশ্রমিক। প্রতিবাদে দুটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা ওই এলাকার সড়ক অবরোধ করেছেন। এতে বনানী, মহাখালী ও গুলশান এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
আজ সোমবার সকাল ছয়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবরোধ চলছে। সকাল সাড়ে আটটার দিকে বনানী, মহাখালী ও গুলশানে যান চলাচল প্রায় বন্ধ ছিল। মহাখালী ও বনানীতে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতেও এ সময় তীব্র যানজট হয়।
নিহত পোশাকশ্রমিকের নাম মিনারা আক্তার। আহত আরেক পোশাকশ্রমিকের নাম সুমাইয়া আক্তার। তাঁকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে কোন গাড়ি কীভাবে তাঁদের চাপা দিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সরকার প্রথম আলোকে বলেন, রাস্তা পারাপারের সময় দুর্ঘটনায় শ্রমিক নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পর থেকেই শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে রেখেছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঘরসংসার গুছিয়ে অভিনয়ের জন্য সময় বের করেছি: শার্লিন
শার্লিন ফারজানা। অভিনেত্রী ও মডেল। বিয়ে, ঘর-সংসার গোছানো ও মা হওয়ার কারণে অনেক দিন অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন। বিরতি ভেঙে আবার অভিনয় জগতে পা রেখেছেন। এই সময়ের ব্যস্ততা, অভিনয় ভাবনা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
বিরতি ভেঙে অভিনয়ে ফিরেছেন। সময়ের পালাবদলে কেমন লাগছে কাজের পরিবেশ?
এখন তো ভালো কিছু করে দেখানোর সুযোগ অনেক গুণ বেড়েছে। অনলাইন বিনোদনের নতুন এক দুয়ার খুলে দিয়েছে। ওটিটির হাওয়ার ঝাপটা টেলিভিশনেও লেগেছে। সেখানেও বড় বাজেটে কাজ হচ্ছে। এসব তো আছেই, সেই সঙ্গে বেড়েছে নতুন মুখের আনাগোনা। নতুনরাও ভালো করছে। এসব দেখে কাজের আনন্দ বেড়ে গেছে। অস্বস্তি শুধু ভিউ নিয়ে কাড়াকাড়ির বিষয়টা। অনেকেই দেখছি শুধু ভিউয়ের পেছনে ছুটে বেড়াচ্ছেন। কেউ কেউ তারকা ও নির্মাতার কাজের মূল্যায়ন করছেন ভিউ দেখে, যা একদমই সমর্থন করতে পারছি না।
যখন অনেকে নতুন কিছুর প্রত্যাশায় ছিলেন, তখনই অভিনয় থেকে সরে গিয়েছিলেন, কেন?
জীবনে এমন কিছু সময় আসে, যখন খুব হিসাবনিকাশ করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। বিয়ে, সংসার, মাতৃত্বের স্বাদ পেতে অভিনয়ে বিরতি নেওয়া জরুরি ছিল। জানি না ওই সময়ে আমার কাছে দর্শকের কতটুকু প্রত্যাশা ছিল। যদি দর্শক মনে প্রত্যাশা তৈরি হয়েও থাকে, তবু সেটা ওই মুহূর্তে পূরণ করা সম্ভব ছিল না। তবে দর্শকের চাওয়া-পাওয়ার বিষয়টা যে একেবারে বুঝিনি, তা নয়। বুঝতে পেরেছি, বলেই ঘরসংসার– সব কিছু গুছিয়ে অভিনয়ের জন্য সময় বের করেছি।
ছোট ও বড়পর্দার পর ওটিটিতে কাজ শুরু করেছেন। এই মাধ্যম কতটা সম্ভাবনাময় বলে মনে হচ্ছে?
বড় বাজেট ও যথেষ্ট সময় নিয়ে ওটিটির একেকটি সিরিজ, সিনেমা তৈরি করা হচ্ছে। প্রচুর নিরীক্ষাও চলছে। এতে শিল্পী ও নির্মাতাদের কাজে যেমন চ্যালেঞ্জ আছে, তেমনি আছে ভিন্ন ধাঁচের কিছু করে দেখানোর সুযোগ। এ কারণেই ওটিটির প্রতিটি আয়োজনে গল্প ও চরিত্র উপস্থাপন থেকে শুরু করে নির্মাণে ভিন্নতার ছাপ দেখা যাচ্ছে। এর সুবাদে ভালো ভালো কাজ দেখার সুযোগ পাচ্ছেন দর্শক।
সিনেমায় ফেরার ইচ্ছা আছে?
‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ সিনেমার পর আর কোনো ভালো কাজের প্রস্তাব পাইনি। পাবই বা কীভাবে, সিনেমা তো বলতে গেলে হচ্ছেই না। বছরের হাতেগোনো কয়েকটি সিনেমা হচ্ছে। এর মধ্যে দর্শক মনে ছাপ ফেলার মতো সিনেমা হচ্ছে খুব কম। তারপরও সিনেমায় অভিনয় করতে প্রস্তুত, যদি ভালো কোনো পরিচালক কাছ থেকে ডাক পাই। কারণ আমি এখনও পরিচালকনির্ভর অভিনেত্রী।
সমসাময়িক অভিনেতা-অভিনেত্রীদের তুলনায় আপনাকে কাজ কম করতে দেখা যায়– এর কারণ কী?
অন্যদের তুলনায় কাজের সংখ্যা কম না বেশি– এই বিষয়টা আমাকে ভাবায় না। সবসময় ভালো কাজ করতে চাই। চাই ভালো ভালো গল্প, চরিত্র আর নির্মাতা; যাদের একেক জনের গল্প উপস্থাপন ভঙ্গি একেক রকম। কিন্তু চাইলেই তো পছন্দসই কাজ যখন-তখন আসে না। তাই যতক্ষণ তা না পাচ্ছি, নিজের মতো করেই ব্যস্ত থাকতে চাই।