বিমা খাত নিয়ে কি গবেষণা করবেন? তাহলে ৪ থেকে ১০ লাখ টাকা দেবে আইডিআরএ
Published: 10th, March 2025 GMT
দেশের বিমা খাতের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আপনি কি গবেষণা করতে চান? তাহলে আপনার সামনে সে সুযোগ করে দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। তবে সংস্থাটির কাছে প্রস্তাব জমা দেওয়ার আর তিন দিন বাকি আছে। ১৩ মার্চ শেষ হয়ে যাচ্ছে সময়।
আইডিআরএর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ৯টি বিষয়ে গবেষণা প্রস্তাব জমা দেওয়া যাবে। এগুলো হলো দেশের বিমা খাতে ডিজিটাল রূপান্তর, বাংলাদেশে বিমার পেনিট্রেশন, বাংলাদেশে বিমাশিল্পে বর্তমান নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর কার্যকারিতা, বিমা দাবি নিষ্পত্তি, বাংলাদেশে বিমা লিটারেসি, পলিসি ল্যাপস, নন-লাইফ বিমা ব্যবসায়ে কমিশন সমস্যা, পুনর্বিমার চ্যালেঞ্জ ও বিমা খাতে সুশাসনের সমস্যা।
আগ্রহী প্রার্থীদের ইংরেজিতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫০০ শব্দের মধ্যে দুই পৃষ্ঠায় প্রাথমিক গবেষণা প্রস্তাব দাখিল করতে হবে। একই সঙ্গে প্রধান গবেষকের জীবনবৃত্তান্ত দাখিল করতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে বা দলগতভাবে গবেষণা প্রস্তাব দাখিল করা যাবে।
আবেদনের যোগ্যতার মধ্যে রয়েছে স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডিসহ প্রাসঙ্গিক বিশেষজ্ঞ বা অনুশীলনকারী, বিমা খাতে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অনুশীলনকারী, কিউআই জার্নালে একটি প্রকাশনাসহ ব্যবসা বা অর্থনীতি বিষয়ে গবেষণা করার অভিজ্ঞতা ইত্যাদি। অভ্যন্তরীণ গবেষকদের জন্য যোগ্যতার শর্ত শিথিলযোগ্য।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য www.
গাইডলাইনে ক, খ ও গ নামে তিন শ্রেণির গবেষণার কথা বলা আছে। ক শ্রেণির গবেষণা করতে দুই থেকে আড়াই বছর এবং ১০ লাখ টাকার বেশি বাজেট বরাদ্দ থাকবে। খ শ্রেণিতে এক বছরের জন্য গবেষণার অর্থমূল্য হবে ১০ লাখ টাকার মধ্যে। আর গ শ্রেণিতে তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে গবেষণা করতে হবে, যার অর্থমূল্য হবে চার লাখ টাকার মধ্যে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিমা কোম্পানিতে চলতি দায়িত্বের সিইও থাকতে পারবেন না, আইডিআরএর নির্দেশনা
বিমা কোম্পানির চলতি দায়িত্বের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদবি ব্যবহার করা যাবে না। গত বৃহস্পতিবার এ নির্দেশনা দিয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) দেশের সব জীবনবিমা ও সাধারণ বিমা কোম্পানির চেয়ারম্যান ও মুখ্য নির্বাহীদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে।
আইডিআরএর চিঠিতে বলা হয়েছে, কোনো বিমা কোম্পানিতে ‘মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব)’ হিসেবে কাউকে নিয়োগ করা যাবে না। ফলে কোনো কোম্পানিতে ‘মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব)’ পদবি কেউ ব্যবহার করতে পারবেন না।
মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার নিয়োগ প্রস্তাব আইডিআরএর অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট বিধান অনুসরণ করে একজন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালককে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া যাবে। এ ধরনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ‘মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত)’ পদবি ব্যবহার করতে পারবেন। আইডিআরএর কাছে পাঠানো চিঠিতে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বা মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার (ভারপ্রাপ্ত) নিচের পদের কর্মকর্তা স্বাক্ষর করতে পারবেন না—এ কথাও বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
২০২০ সালেও আইডিআরএ এক নির্দেশনায় বলেছিল, বিমা আইন অনুযায়ী কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের প্রস্তাবিত ব্যক্তির নিয়োগ প্রস্তাব বা চুক্তি শেষ হওয়ার পর নিয়োগ নবায়ন প্রস্তাবে আইডিআরএর অনুমোদন নিতে হবে। আইডিআরএ অনুমোদন না দেওয়া পর্যন্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা তিনি নিতে পারবেন না।
আইডিআরএর অনুমোদিত পদ হচ্ছে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা। জীবন বীমা করপোরেশন ও সাধারণ বীমা করপোরেশনে ‘ব্যবস্থাপনা পরিচালক’ পদবি ব্যবহার করা গেলেও অন্য সব বিমা কোম্পানিতে ‘মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা’ পদই ব্যবহার করতে হবে।
দেশে ৮২টি বিমা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে জীবনবিমা ৩৬টি ও সাধারণ বিমা ৪৬টি। বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) বিমা খাতের অবদান মাত্র শূন্য দশমিক ৪৬ শতাংশ, যেখানে ভারতে ৪ দশমিক ২ শতাংশ ও পাকিস্তানে শূন্য দশমিক ৯১ শতাংশ। আইডিআরএর তথ্যানুসারে, দেশে বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ৭১ লাখ ১০ হাজার মানুষ বিমার আওতায় আছেন।