চলতি (২০২৪-২৫) অর্থ বছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর বেঁধে দেওয়া রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারেনি দিনাজপুরের হিলি কাস্টমস। চলতি অর্থ বছরে রাজস্ব ঘাটতি ৪৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। 

এই বন্দর দিয়ে যেসব ভারতীয় পণ্য আমদানি হচ্ছে তার অধিকাংশ শুল্কমুক্ত। যদি শল্কয়ন যুক্ত পণ্য আমদানি হয় তাহলে আগামী দিনে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।

রবিবার ( ৯ মার্চ) সন্ধ্যায় বিষয়টি জানিয়েছেন হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শফিউল ইসলাম। 

তিনি জানান, চলতি অর্থ বছরের গত ৬ মাসে (জুলাই থেকে ডিসেম্বর) রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৩৬২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩১৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এই ৬ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ৪৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। 

তিনি আরও জানান, এই স্থলবন্দর দিয়ে যেসব পণ্য আমদানি করা হচ্ছে, তার বেশির ভাগ শুল্কমুক্ত। যদি জিরা, কিশমিশসহ বিভিন্ন শুল্কায়নযুক্ত পণ্য আমদানি হয় তাহলে আগামী দিনে বাকি রাজস্বের ঘাটতি পূরণ হবে। 

এদিকে হিলি বন্দরের আমদানিকারকরা বলছেন, একদিকে ডলার সঙ্কট অন্যদিকে ব্যাংকের অসহযোগীতা এবং বন্দরের রাস্তাঘাটের বেহাল দশার কারণে অনেক ব্যবসায়ী এ বন্দর ছেড়েছেন। এই বন্দর দিয়ে যেসব পণ্য আসে তার অধিকাংশই শুল্কমুক্ত। যদি শুল্কায়নযুক্ত পণ্য ফল ও জিরা আমদানি হয়, তাহলে রাজস্ব অর্জনের পাশাপাশি লক্ষমাত্রাও ছাড়িয়ে যাবে।

ঢাকা/মোসলেম/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কর্মীদের নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানালেন রাশেদ মাকসুদ

পূর্বের ভুলভ্রান্তি ভুলে গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে বিএসইসি'র মাল্টিপারপাস হলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সভা তিনি এ কথা বলেন।

বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সভায় বিএসইসি'র চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, বিএসইসি'র কমিশনার মুঃ মোহসিন চৌধুরী, বিএসইসি'র কমিশনার মো. আলী আকবর, বিএসইসি'র কমিশনার ফারজানা লালারুখ এবং বিএসইসির সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

সভায় বিএসইসি'র চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বিএসইসির সকলকে একত্রিত থাকার অনুরোধ জানান। দেশের পুঁজিবাজার ও অর্থনীতি তথা জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ রেগুলেটরি সংস্থা হিসেবে বিএসইসির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিপূর্ণ দায়িত্বশীলতা ও শৃঙ্খলার সাথে দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য কাজ করার নির্দেশনা দেন। 

কর্মীদের নিষ্ঠা-সততার সাথে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। সকলের সহযোগিতায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিএসইসির কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধির প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, সভায় কমিশনের চেয়ারম্যান-কমিশনারগণ পূর্বের সকল ভুলভ্রান্তি ভুলে গিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দকে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান জানান এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দকে বিএসইসি'র বিভিন্ন বিষয়ের সুরাহার আশ্বাস দেন। 

চেয়ারম্যান-কমিশনারগণের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিএসইসির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্তভাবে কমিশনের সাথে পূর্ণ উদ্যম ও শৃঙ্খলার সাথে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

ঢাকা/এনটি/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ