Prothomalo:
2025-04-30@06:07:48 GMT

দই-চিড়া কেন সেরা ইফতারি

Published: 10th, March 2025 GMT

দই-চিড়া থেকে আপনি পাবেন শর্করা। সারা দিন রোজা রাখার পর দেহে শক্তি জোগাতে এ শর্করা প্রয়োজন। দই প্রোবায়োটিক, তৈরি হয় দুধ থেকে। কাজেই দই থেকে আপনি পাবেন খানিকটা আমিষসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। ইফতারির এই সস্তা পদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানালেন টাঙ্গাইলের কুমুদিনী সরকারি কলেজের গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের প্রধান শম্পা শারমিন খান

ক্যালরি কম, শক্তি বেশি

দই-চিড়া খেলে আপনি শক্তি পাবেন ঝটপট। তবে দারুণ ব্যাপার হলো, এতে ক্যালরির মাত্রা খুব বেশি নয়। আবার চিড়া খেলে যেহেতু সহজে ক্ষুধা পায় না, তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাও সহজ হয়। রোজা রেখাও যাঁদের ওজন কমে না, তাঁদের জন্যও দই-চিড়া সেরা ইফতারি।

আরও পড়ুনসাহ্‌রির সময় বেশি পানি খেয়ে ফেললে কী হয়?০৮ মার্চ ২০২৫হজমে উপকারী

আমাদের অন্ত্রে কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই বহু ব্যাকটেরিয়া বাস করে। এসব আমাদের পেটের সুস্থতার জন্য আবশ্যক। দই হলো প্রোবায়োটিক, অর্থাৎ এতে আছে উপকারী ব্যাকটেরিয়া। তার মানে দই খেলে আপনার পেট ভালো থাকবে। সহজভাবে বলা যায়, দই আপনার পেট ঠান্ডা রাখবে। দই-চিড়া সহজপাচ্য খাবার তো বটেই, অন্যান্য খাবার হজমে সহায়তা করে, বদহজমেও উপকারী। দুধের তৈরি খাবার বলে দই কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়ক।

যদি খান লাল চিড়া

লাল চিড়ায় থাকা আঁশও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। এই আঁশের কারণেই দই-লাল চিড়া খাওয়ার পর চট করে আবার ক্ষুধা লাগে না। আঁশসমৃদ্ধ খাবার রক্তের খারাপ চর্বি কমাতে সাহায্য করে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেলে রক্তের সুগার হুট করে বেড়ে যায় না; খাবার খাওয়ার কিছু সময় পর হুট করে তা কমেও যায় না। অর্থাৎ রক্তের সুগার ধীরে ধীরে বাড়িয়ে একটি স্বাস্থ্যকর মাত্রায় রাখার জন্য এ ধরনের খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এটি যে কেবল ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্যই ভালো, তা কিন্তু নয়; বরং সবার জন্যই স্বাস্থ্যকর। তবে সাদা চিড়ায় কিন্তু খুব বেশি আঁশ নেই। আঁশের উপকারিতা সবচেয়ে বেশি পেতে হলে লাল চিড়া বেছে নিন।

আরও পড়ুনরোজায় ইফতারে কী কী খাবেন০১ মার্চ ২০২৫দেহের ক্ষয়পূরণে সহায়তা

সারা দিনের কর্মব্যস্ততায় স্বাভাবিকভাবেই আমাদের দেহে যে ক্ষয় হয়, তা পূরণ করতে প্রয়োজন আমিষ। প্রথম শ্রেণির আমিষ, অর্থাৎ প্রাণিজ উৎস থেকে পাওয়া আমিষ আমাদের দেহের ক্ষয়পূরণের জন্য খুবই জরুরি। তাই সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতারে দই-চিড়া খেলে দইয়ের আমিষ আপনার দেহের ক্ষয়পূরণ করতে সহায়তা করবে। ফলে রাতের অন্যান্য কাজের জন্য নিজেকে পূর্ণ উদ্যমে প্রস্তুত করে তোলাটা সহজ হবে।

আরও যা

দই-চিড়ার মতো একটি পুষ্টিকর খাবার খেলে ভাজাপোড়া খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমবে। এতে আপনি সুস্থ থাকবেন। তবে দই–চিড়ায় চিনি বা গুড় যোগ করবেন না। চিড়া ভেজানোর সময় কেবল সামান্য লবণ যোগ করলেই আপনার আর দই-চিড়া খেতে পানসে লাগবে না। ফলে তাতে চিনি বা গুড় যোগ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভবও করবেন না। এ ছাড়া দই-চিড়ার সঙ্গে কলা বা অন্যান্য ফল যোগ করলে তা থেকে আপনি সেসব ফলের পুষ্টি পাবেন, স্বাদ বাড়বে। দই-চিড়া তৈরি করা খুবই সহজ। চুলা ধরানোর ঝামেলাই নেই। অফিসে ইফতার করতে হলেও অনায়াসে এর ব্যবস্থা করতে পারবেন।

আরও পড়ুনরান্না, কাঁচা না সেদ্ধ কোন ছোলায় পুষ্টিগুণ বেশি০৭ মার্চ ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য গ কর দই চ ড় র জন য আম দ র উপক র ইফত র আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরের চাবি তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ আবাসন প্রকল্পে নির্মিত ঘরের চাবি তুলে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান উপদেষ্টা তেজগাঁওয়ের কার্যালয় থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

এ সময় চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলা থেকে উপকারভোগীদের হাতে চাবি হস্তান্তর করা হয়।  

প্রতিটি জেলা থেকে একজন করে উপকারভোগী তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। তারা প্রধান উপদেষ্টার প্রতি ধন্যবাদ জানান।
উজানের তীব্র ঢল আর অতি ভারি বৃষ্টির কারণে গত বছরের ২০ অগাস্ট থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। পরে দ্রুতই তা ছড়িয়ে যায় ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজারে।

ওই সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানায়, বন্যায় ১১ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৫০ লাখ ২৪,২০২ জন। এসব জেলায় মারা যান ৭১ জন। এর মধ্যে ২৮ জনই ছিলেন ফেনীতে।

মৃতদের মধ্যে পুরুষ ছিলেন ৪৫ জন। এছাড়া, ১৯ শিশু এবং ৭ জন নারী মারা যান।

জেলাভিত্তিক তথ্য অনুযায়ী, ফেনীতে মারা যান সবচেয়ে বেশি ২৮ জন। এরপর কুমিল্লায় ১৯, চট্টগ্রামে ৬, নোয়াখালীতে ১১ জন, কক্সবাজারে ৩ এবং খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, লক্ষ্মীপুর এবং ও মৌলভীবাজারে ১ জন করে মারা যান। দুর্গত এলাকায় ৩,৬১২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়। 

৩৬ দিনের গণ-আন্দোলন আর সহিংতায় সরকার পতনের ধাক্কা সামলে দেশকে স্থিতিশীলতার দিকে নিতে মাত্র কজ শুরু করেছিল অন্তর্বর্তী সরকার। ঠিক তখনই এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসে।

দুই সপ্তাহের মাথায় আসা এই দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকার দ্রুতই তৎপরতা দেখিয়েছিলো। 

দেশের ১১ জেলায় বন্যা ছড়িয়ে পড়লে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণত্রাণ সংগ্রহ কর্মসূচি শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, যার কেন্দ্র হয়ে ওঠে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র-টিএসসি।

ঢাকা/হাসান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ