দক্ষতা শাণিয়ে নেওয়া

সফল মানুষেরা একটা কর্মব্যস্ত দিনের শেষে নিজের দক্ষতাকে আরও একটু শাণিয়ে নেন। এমনই এক চর্চা বই পড়া। তাই রোজ রাতে একটু হলেও পড়তে পারেন আপনি। জ্ঞান হালনাগাদ করতে পারবেন এভাবে। জানার পরিধিটা একটু একটু করে বাড়িয়ে নিতে পারবেন। বই পড়া ছাড়াও পেশাগত দক্ষতার জন্য সহায়ক বিভিন্ন বিষয়ের চর্চা করতে পারেন আপনি।

কাছের মানুষদের সময় দেওয়া

দিন শেষে আপনজনদের জন্য খানিকটা সময় রাখেন সফল মানুষেরা। কাজের চাপ যতই থাকুক না কেন, এই চর্চা ধরে রাখেন তাঁরা। কাছের মানুষদের বঞ্চিত করে আর যা-ই হোক, জীবনে সত্যিকার সাফল্যের দেখা মেলে না। তাই সময় দিন আপনজনদের। তাতে আপনি থাকবেন প্রফুল্ল, সম্পর্কগুলো থাকবে সতেজ।

আরও পড়ুনবেডরুম পরিবার নাকি লিভিংরুম পরিবার, কোন ধরনের চর্চা ভালো?০৮ জানুয়ারি ২০২৫পরের দিনের জন্য পরিকল্পনা

সফল মানুষেরা পরবর্তী দিনের জন্য কিছু বিষয় ঠিক করে রাখেন রাতেই। তা হতে পারে পরদিনের কাজের তালিকা। পরদিন কোন পোশাক পরে কাজে যাবেন, সেটাও ঠিক করে রাখেন কেউ কেউ। তাহলে সকালবেলায় এসবের জন্য সময় বা শ্রম কোনোটিরই অপচয় হয় না।

‘মি টাইম’ বা নিজের সময়

যে কাজ করলে নিজের ভালো লাগে এবং মানসিক চাপ কমে, সেই কাজের জন্যও রোজ রাতে কিছুটা সময় বরাদ্দ রাখেন সফল মানুষেরা। আপনি খানিকটা সময়ের জন্য ধ্যানমগ্ন হতে পারেন রাতে। নিজের পছন্দের অডিও ক্লিপ শুনতে পারেন। ডায়েরিতে লিখতে পারেন নিজের মনের কথা। কিংবা করতে পারেন অন্য যেকোনো কাজ, যাতে আপনি প্রশান্তি খুঁজে পান।

আরও পড়ুনঅজান্তেই নিজের সঙ্গে টক্সিক আচরণ করছেন না তো?০২ অক্টোবর ২০২৪ভালো ঘুম

সফল হতে হলে আপনাকে কেবল কাজ করলেই চলবে না। ঘুমাতেও হবে ঠিকঠাক। সফল মানুষেরা সেই দিকটি খেয়াল রাখেন। তাঁরা গভীর রাত পর্যন্ত ডিজিটাল স্ক্রিনে সময় কাটান না। তাই এমন অভ্যাস থাকলে তা থেকে বেরিয়ে আসুন। দিনের শেষে চা-কফি গ্রহণ করলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। এই দিকটিও খেয়াল রাখুন। ঘুমের আগে হালকা আমেজের বই পড়তে পারেন। মোট কথা, ভালো ঘুমের জন্য আপনার যা যা প্রয়োজন, সবটাই চর্চা করুন আজ থেকে।


সূত্র: সিএনএন

আরও পড়ুনউদ্যোক্তা থেকে যেভাবে দেশের প্রথম সফল নারী অ্যাগ্রো–ইনফ্লুয়েন্সার হলেন পপি০৮ মার্চ ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সফল ম ন ষ র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

দুই বছরেও শেষ হয়নি ৩৭ মিটার সেতুর কাজ

ধর্মপাশা উপজেলা সদরের মধ্যবাজারে অবস্থিত মাত্র ৩৭ মিটার দৈর্ঘ্যের শয়তানখালী সেতুর পুনর্নির্মাণ কাজ দুই বছরেরও শেষ হয়নি। নির্মাণকাজে অবহেলা ও ধীরগতির কারণে ঠিকাদারের ওপর অসন্তুষ্ট থাকলেও এখন পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। নির্ধারিত সময়ে সেতুটি নির্মাণ না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রায় ১৫-২০টি গ্রামের মানুষকে। 

জানা যায়, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে অর্ধশত বছরের পুরোনো শয়তানখালী সেতুটি দেবে যেতে শুরু করে। এক পর্যায়ে সেতুটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তখন সেতুটির ওপর দিয়ে পথচারী ও যান চলাচল বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। দেবে যাওয়া পুরোনো সেতুর পরিবর্তে নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। ২০২৩ সালে এলজিইডির হাওর এলাকায় উড়াল সড়ক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় শয়তানখালী সেতু নির্মাণসহ ধর্মপাশা থানার সামনে থেকে বাহুটিয়াকান্দা পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০ মিটার সড়ক ও একটি কালভার্ট নির্মাণের জন্য ৯ কোটি ৯৭ লাখ ৮০ হাজার ৪৮০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ কাজ বাস্তবায়নে সুনামগঞ্জের মাহবুব এন্টারপ্রাইজকে ঠিকাদার নিযুক্ত করে ওই বছরের ২৬ মার্চ কার্যাদেশ দেয় এলজিইডি। একই বছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সেতু ও সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু ঠিকাদার নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারেনি। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। কাজে ধীরগতির অভিযোগ এনে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ধর্মপাশা বাজারের ব্যবসায়ীরা মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন। কিন্তু এতেও কোনো হেলদোল নেই ঠিকাদারের। ঠিকাদার আগের মতোই ধীরগতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।  

ধর্মপাশা বাজারের ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, শয়তানখালী সেতুটি দ্রুত নির্মাণ না হওয়ায় মধ্যবাজারের ব্যবসায়ীরা ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ব্যবসায় মন্দা দেখা দেওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।

আরেক ব্যবসায়ী শামীম আহমেদ বলেন, শয়তানখালী সেতুটির কারণে দীর্ঘ চার বছর ধরে ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দ্রুত কাজ শেষ করা হলে মধ্যবাজারে ব্যবসায় গতি ফিরে আসবে।  

অভিযোগ প্রসঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহবুব এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আবুল মহসিন মো. মাহবুবের ব্যক্তিগত নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি। প্রকল্প সাইটে ঠিকাদারের নিযুক্ত ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, এটি রাজধানীর হাতিরঝিলের সেতুর আদলে তৈরি হচ্ছে। শুরুর দিকে মিস্ত্রি পাওয়া যাচ্ছিল না এবং গত বর্ষায় কাজ করতে না পারায় কাজ পিছিয়েছে। মাস দুয়েকের মধ্যে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করা যাবে বলে তিনি আশাবাদী।

উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন বলেন, অত্যন্ত ধীরগতিতে সেতুটির নির্মাণকাজ চলতে থাকায় প্রকল্প পরিচালক কার্যাদেশ বাতিল করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নতুন ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়ার কারণে কাজটি আরও পিছিয়ে যেতে পারে– এমন ভাবনা থেকে তা করা হয়নি। তাই ঠিকাদারকে সতর্ক করে দিয়ে আগামী ২৫ জুনের মধ্যে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হলে কার্যাদেশ বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ