ইউক্রেনীয় বাহিনীর ওপর রুশ স্পেশাল ফোর্সের হামলা
Published: 10th, March 2025 GMT
রাশিয়ার স্পেশাল ফোর্স গ্যাস পাইপলাইনের ভেতর দিয়ে কয়েক মাইল হেঁটে কুরস্ক অঞ্চলের সুদঝা শহরের কাছে ইউক্রেনীয় বাহিনীর ওপর আকস্মিক হামলা চালিয়েছে। রুশপন্থি সামরিক ব্লগারদের মতে, এই অভিযানটি ইউক্রেনীয় সেনাদের কুরস্ক অঞ্চল থেকে বিতাড়িত করার বৃহৎ অভিযানের অংশ।
গত বছরের আগস্টে হাজারো ইউক্রেনীয় সেনা রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের প্রায় ১ হাজার ৩০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করেছিল, যা কিয়েভ ভবিষ্যৎ আলোচনায় সুবিধা অর্জন এবং রাশিয়াকে পূর্ব ইউক্রেন থেকে বাহিনী সরাতে বাধ্য করার প্রচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করেছিল। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে রাশিয়া আক্রমণ জোরদার করেছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের বাহিনী লেবেদেভকা গ্রাম পুনর্দখল করেছে এবং ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলের নভেনকে গ্রামও দখল করেছে। রুশপন্থি সামরিক ব্লগার ইউরি পডোলিয়াকা জানান, রাশিয়ার বিশেষ বাহিনী প্রধান গ্যাস পাইপলাইনের ভেতর দিয়ে কয়েক মাইল হেঁটে সুদঝার কাছে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে পেছন থেকে আক্রমণ করেন।
এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের জন্য সৌদি আরবে আগামী সপ্তাহে একটি বৈঠকের আয়োজন হতে যাচ্ছে। সেখানে মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার জন্য ইউক্রেন পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে শনিবার জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি লিখেছেন, যুদ্ধের প্রথম মুহূর্ত থেকেই শান্তি চাচ্ছে ইউক্রেন। আলোচনার টেবিলে বাস্তবসম্মত প্রস্তাব রাখা আছে। এখন কেবল প্রয়োজন দ্রুত সেগুলোর বাস্তবায়ন।
রাশিয়ায় গভীর রাতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। রুশ বিমান বাহিনী রোববার জানিয়েছে, ৮৮টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে হামলায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আরেকটি উদ্যোগের দিকে এখন সবার নজর। সেটি হলো, আগামী সপ্তাহে সৌদি আরবে বৈঠকে বসছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের শান্তি আলোচকরা। এই বৈঠকের আগে সংশ্লিষ্ট বড় পক্ষগুলো কী ভাবছে, তা নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। খবর রয়টার্স ও বিবিসির।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইউক র ন য
এছাড়াও পড়ুন:
দূষণে বিশ্বের ১২৬ নগরীর মধ্যে শীর্ষে আজ ঢাকার বায়ু
বিশ্বের ১২৬টি দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ রাজধানী ঢাকার অবস্থান প্রথম। আজ সোমবার সকাল ৯টা ৭ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই-বায়ুর মান সূচক) স্কোর ২৪৭। বায়ুর এই মানকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
একিউআই সূচক তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি, স্কোর ২০৯, অর্থাৎ সেখানকার বায়ুও খুব অস্বাস্থ্যকর। তৃতীয় স্থানে পাকিস্তানের লাহোর, স্কোর ২০৭। ১৯৩ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে ভিয়েতনামের হ্যানয়। পঞ্চমে চীনের বেইজিং, স্কোর ১৮৮।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।
একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে দুই দশমিক পাঁচ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার পরিমাণ (পিপিএম) যদি শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকে, তাহলে ওই বাতাসকে বায়ু মানের সূচকে (একিউআই) ‘ভালো’ বলা যায়। এই মাত্রা ৫১-১০০ হলে বাতাসকে ‘মধ্যম’ মানের ও ১০১-১৫০ হলে ‘বিপদসীমায়’ আছে বলে ধরে নেওয়া হয়। আর পিপিএম ১৫১-২০০ হলে বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১-৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ ও ৩০১-৫০০ হলে ‘বিপজ্জনক’ বলা হয়।
বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো—ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।