রাজধানীর সায়দাবাদ জনপথ মোড়ে হেলাল উদ্দিন (৩০) নামে আইনজীবীকে ছিনতাইকারীরা মারধর করে মোবাইল-মানিব্যাগ নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গুরুতর অবস্থায় হেলাল উদ্দিনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি করা হয়। তিনি নিউরোসার্জারী বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী নুসরাত মেহজাবিন বলেন, রাত ১টার দিকে সায়দাবাদ জনপথ মোড় এলাকায় কয়েকজন ছিনতাইকারী আমার স্বামীকে ধরেন। ছিনতাইকারীরা তার কাছ থেকে মোবাইল ও মানিব্যাগ নিয়ে যায়। তিনি বাধা দিতে গেলে, তাকে মারধর করে রাস্তায় ফেলে রাখে। পরে সংবাদ পেয়ে আমরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ছ নত ই আইনজ ব ম রধর
এছাড়াও পড়ুন:
পটুয়াখালীতে হত্যা মামলায় ২৩ জনের যাবজ্জীবন
পটুয়াখালীর বাউফলে একটি হত্যা মামলায় ২৩ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. এনামুল করিম মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি অ্যাডভোকেট মো. ফরিদ হোসেন রায়ের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- আবুল কাশেমের ছেলে মো. হাফিজুর রহমান (২৭), আব্দুর রহমান সরদারের ছেলে তোফায়েল সরদার (৩৯), জালাল সরদারের ছেলে মো. শামীম সরদার (৩৫), সেকান্দার সরদারের ছেলে এলমাছ সরদার (৩৪), গেদু সরদারের ছেলে মো. সোহরাব সরদার (৪৭), আব্দুর কাদের মল্লিকের ছেলে মো. নাঈম মল্লিক (৫৭), আব্দুর রাজ্জাক সরদার (৪২), জয়নাল সরদারের ছেলে মুসা সরদার (৩২), সামসু সরদার (৩৪), চারু সরদারের ছেলে মাওলা সরদার (৩৯) ও ইউসুফ সরদার (৩৭), সামসুল হকের ছেলে ফরিদ আহম্মেদ (৬১), আব্দুল খালেকের ছেলে জসিম সরদার (৪১), ছোবহান হাওলাদারের ছেলে বাবলু (৪৫), মো. কাদের তালুকদারের ছেলে মো. ডালিম তালুকদার (৩১), মৃত হাসেম আলী সিকদারের ছেলে মো. ফিরোজ সিকদার (৪৩), হারুন গাজীর ছেলে হাসান গাজী (৩২), মৃত গেদু সরদারের ছেলে সেকান্দার সরদার (৫৭), মাতাহার মাস্টারের ছেলে মো. জামাল (৩৫), চুন্নু মিয়ার ছেলে শামীম হাওলাদার (২৮), আব্দুল খালেক সরদারের ছেলে জহিরুল ইসলাম বাবুল (৫২), ছত্তার সরদারের ছেলে মন্টু সরদার (৩৫) এবং শিরু সরদারের ছেলে মো. দুলাল সরদার ওরফে ভয় (৪৫)। তাদের সবার বাড়ি বাউফল উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নে।
আরো পড়ুন:
যুবককে হত্যার পর হাসপাতালে রেখে গেল দুর্বৃত্তরা
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ‘মারধরে’ যুবকের মৃত্যু, আটক ২
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২০ মার্চ কালিশুরী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলাকালে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্ট সাইদুর রহমান সোহেল মল্লিকের বাড়িতে হামলা চালান আসামিরা। হামলায় সোহেলের বাবা আব্দুল ওহাব মল্লিক গুরুতর আহত হন। পরদিন ২১ মার্চ তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সাইদুর রহমান সোহেল মল্লিক বাদী হয়ে বাউফল থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৮ সালে মামলার চার্জশিট দাখিল করে। বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত আজ মামলাটির রায় ঘোষণা করেন।
মামলার বাদী সাইদুর রহমান সোহেল বলেন, “আমরা বাবা হত্যার ন্যায়বিচার পেলাম। বিচার বিভাগকে ধন্যবাদ জানাই। এখন আমার বাবার আত্মা শান্তি পাবে।”
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি অ্যাডভোকেট মো. ফরিদ হোসেন বলেন, “এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, কোনো অপরাধী আইনের হাত থেকে রেহাই পায় না। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আমরা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পেরেছি।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ