দেশব্যাপী ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভে সারা দিন উত্তাল ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। রোববার বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে অন্তত ১২টি বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। এর মধ্যে লাঠিমিছিল ও মশালমিছিল রয়েছে।

ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের নানা ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণাও দেওয়া হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে পোশাকের জন্য হেনস্তার শিকার হওয়ার পর নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন বিভাগ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার এক শিশুর সংকটাপন্ন অবস্থার খবর সামনে আসে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের খবর আসতে থাকে।

সারা দেশে অব্যাহত ধর্ষণ ও নিপীড়নের প্রতিবাদে লাঠি নিয়ে মিছিল করেন শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ঈদ পুনর্মিলনী

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ঈদ পুনর্মিলনী ৭ এপ্রিল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আবু রেজা মো. ইয়াহিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঈদের শুভেচ্ছা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করে বক্তব্য দেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম আজহারুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মো. কাউছার উল আলম ও আবু নাছের মোহাম্মদ নাজমুল বারীসহ সারাদেশ থেকে ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান, ৯টি জোনের জোনপ্রধান, ২০৬টি শাখার শাখা ব্যবস্থাপক, ১৭৭টি উপশাখার ইনচার্জসহ অন্যান্য নির্বাহী ও কর্মকর্তারা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যুক্ত থেকে পারস্পরিক ঈদ আনন্দ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।

মোহাম্মদ আবদুল মান্নান প্রধান অতিথির ভাষণে ঈদুল ফিতরকে বাংলাদেশের বৃহত্তম ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসব উল্লেখ করে বলেন, “রমজান ও ঈদের মূল শিক্ষার আলোকে ধনী-গরীবের বৈষম্য কমানো, দারিদ্র্য বিমোচন ও সংকুলানমূলক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।”

তিনি বলেন, “গত ৬ মাসে ৭ লাখ ৩৩ হাজার নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে মানুষ ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের প্রতি তাদের আস্থার স্বীকৃতি দিয়েছে। আস্থা ফিরে আসায় এই সময়ে ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা নতুন আমানত সংগ্রহের পাশাপাশি ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা অনাদায়ী বিনিয়োগ আদায় হয়েছে।” 

ইসলামী ব্যাংকিংয়ের কল্যাণমুখী সেবা সাধারণ মানুষের নিকট পৌঁছে দিয়ে তাদের জীবনমান উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ঢাকা/সাজ্জাদ/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ