ধর্ষণ: ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার নিশ্চিতে ১০ দফা দাবি জানিয়েছে ধর্ষণ আইন সংস্কার জোট
Published: 9th, March 2025 GMT
ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী ব্যক্তির জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতে ১০ দফা দাবি জানিয়েছে ‘ধর্ষণ আইন সংস্কার জোট’ (আরএলআরসি)। রোববার জোটের এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। বিবৃতিতে সাম্প্রতিক ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধিতে উদ্বেগ জানিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি এবং ভুক্তভোগীর নিরাপত্তার নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।
জোটের ১০ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে মানবাধিকার মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ধর্ষণ আইনের সংস্কার; ধর্ষণের সংজ্ঞাকে বিস্তৃত করে তা বৈষম্যহীন করা; ধর্ষণের আইনে ‘পেনিট্রেশন’কে সংজ্ঞায়িত করা, ধর্ষণ অপরাধে ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং ভুক্তভোগী ব্যক্তি ও সাক্ষী সুরক্ষা আইন প্রণয়নের বিষয়।
একই সঙ্গে উচ্চ আদালতের রায় ও সংশোধিত আইনের সুষ্ঠু বাস্তবায়নের বিষয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা, আইনগত সংস্কার বিষয়ে অপরাধের মাত্রা অনুসারে আনুপাতিক হারে শাস্তি নির্ধারণ ও সাজা প্রদানের নির্দেশিকা প্রবর্তন এবং ভুক্তভোগী ব্যক্তির জন্য রাষ্ট্রীয় ক্ষতিপূরণ তহবিল গঠনের সুপারিশ করেছে জোটটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, নারী ও মেয়েশিশুদের প্রতি সহিংসতা বাংলাদেশের সংবিধান, বিদ্যমান আইন ও আন্তর্জাতিক নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপ সনদ (সিডো) অনুসারে মৌলিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
ধর্ষণ প্রতিরোধ ও এই অপরাধে ভুক্তভোগী ব্যক্তির ন্যায়বিচার নিশ্চিতে ২০১৮ সালে ‘ধর্ষণ আইন সংস্কার এখনই’–সংক্রান্ত প্রচারণা শুরু করে আরএলআরসি। সাম্প্রতিক ঘটনায় পুরোনো সেসব দাবি হালনাগাদ করে বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছে জোটে থাকা ১৭টি সংগঠন। সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র, আইসিডিডিআরবি, উইক্যান, উইমেন ফর উইমেন, একশনএইড বাংলাদেশ, অ্যাসিড সার্ভাইভারস ফাউন্ডেশন, ইয়াং উইমেন্স খ্রিষ্টিয়ান অ্যাসোসিয়েশন-ওয়াইডাব্লিউসিএ, কেয়ার বাংলাদেশ, জাস্টিস ফর অল নাও, উইমেন উইথ ডিজঅ্যাবিলিটিজ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন-ডব্লিউডিডিএফ, নারীপক্ষ, বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, ব্র্যাক, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উইম ন
এছাড়াও পড়ুন:
ম্যারাডোনাকে বাসায় নিয়ে যাওয়াটাই ভুল হয়েছিল, বললেন চিকিৎসক
বুয়েনস এইরেসের সান ইসিদরো আদালতে বিচার চলছে। ডিয়েগো ম্যারাডোনার শেষ দিনগুলোয় তাঁর চিকিৎসায় নিয়োজিত সাতজন চিকিৎসক এই মামলায় অভিযুক্ত। ম্যারাডোনার চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। গতকাল শুনানিতে এক চিকিৎসক নিজের সাক্ষ্যে বলেছেন, মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর ম্যারাডোনাকে বাসায় নিয়ে যাওয়াটা ভুল হয়েছে।
মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের সপ্তাহ দু-এক পর ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর মারা যান ম্যারাডোনা। বুয়েনস এইরেসে এক অভিজাত এলাকায় ভাড়া করা বাড়িতে জীবনের শেষ দিনগুলো কেটেছে ’৮৬ বিশ্বকাপের কিংবদন্তির। সে বাসাকে ‘হোম হসপিটাল’ বানিয়ে ম্যারাডোনার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ম্যারাডোনার দুই কন্যা দালমা ও জিয়ানিন্নার পক্ষের আইনজীবী ফের্নান্দো বার্লান্দো এর আগে শুনানিতে দাবি করেন, সেই বাসা কোনো রোগীর থাকার জন্য উপযোগী ছিল না, ‘বাসাটা ছিল শূকরের খোঁয়াড়ের মতো, এতটা নোংরা খুব কমই দেখা যায়।’
১৯৮৬ বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে ডিয়েগো ম্যারাডোনা