‘বানিয়াসে আমার বন্ধুর বাগ্‌দত্তাকে গুলি করা হয়েছে। তারা [অস্ত্রধারীরা] কাউকে তাঁকে সহায়তা করতে দেয়নি। ফলে রক্তক্ষরণ হয়ে তিনি মারা যান। তাঁকে এখনো কবর দেওয়া যায়নি।’ সিরিয়ার লাতাকিয়া শহরের তারতুসের কাছাকাছি এলাকায় চলমান হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা এভাবে দিয়েছেন একজন প্রত্যক্ষদর্শী।

অস্ত্রধারীরা ঘরে ঘরে ঢুকে মানুষ হত্যা করছে জানিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘বুস্তান আল-বাশা গ্রামে আমার চাচি থাকেন। তাঁর সব প্রতিবেশীকে হত্যা করা হয়েছে।’

নিজেদের সিরিয়ার বর্তমান শাসকগোষ্ঠী হায়াত আল-শামের (এইচটিএস) যোদ্ধা দাবি করা এসব অস্ত্রধারী ওই প্রত্যক্ষদর্শীর বাসায়ও তল্লাশি করেন। তাঁদের মহল্লা থেকে সাকল্যে ২০টি গাড়ি নিয়ে যান।

এই নারী প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, অস্ত্রধারীরা নিজেদের এইচটিএসের যোদ্ধা দাবি করলেও তা সত্যি নয়। তারা ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর’ সদস্য।

‘যে ব্যক্তিই পালাতে চেষ্টা করেছেন বা যাঁকে সন্দেহজনক মনে করছে, তাঁকেই তারা হত্যা করছে,’ বলেন তিনি।

বাশারপন্থীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে লাতাকিয়ায় যাচ্ছেন সরকারি বাহিনীর সদস্যরা। ৬ মার্চ ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়িত না হলে পাহাড়ে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করা সম্ভব নয়: সন্তু লারমা

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু) বলেছেন, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়িত না হলে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর হবে না। পার্বত্য চট্টগ্রামের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নারীর ভূমিকা ছিল অনন্য। তাই নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সমাজব্যবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন।

আজ শনিবার রাঙামাটিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন সন্তু লারমা। শহরের স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা আশিকা হলরুমে জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সহযোগী সংগঠন মহিলা সমিতি ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত হয় এ সভা। এতে সভাপতিত্ব করেন মহিলা সমিতির সভাপতি রিতা চাকমা। বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের সদস্য রাঙাবী তঞ্চঙ্গ্যা, পরিষদ সদস্য নাইউপ্র মারমা মেরী, আইনজীবী সুস্মিতা চাকমা, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সহসভাপতি ভবতোষ চাকমা, বরকল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিধান চাকমা, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক শান্তি বিজয় চাকমা প্রমুখ।

আলোচনা সভায় সন্তু লারমা আরও বলেন, সমাজব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন না হলে নারীর অধিকার ও মর্যাদার পথ সুগম হতে পারে না। বিপ্লবের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে সমাজব্যবস্থা পরিবর্তন না হলে নারী অধিকার ও সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়িত না হলে পাহাড়ে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করা সম্ভব নয়: সন্তু লারমা