Samakal:
2025-04-30@18:45:48 GMT

ইয়াবা রুট ঢাকা টু মালদ্বীপ

Published: 9th, March 2025 GMT

ইয়াবা রুট ঢাকা টু মালদ্বীপ

দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপ দেশ মালদ্বীপেও ছড়িয়ে পড়েছে মরণ নেশা ইয়াবার কারবার। অন্তত তিন বছর ধরে চালান যাচ্ছে সেখানে। এর সঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটি অংশ জড়িত। তারা দেশে এসে ফেরার সময় লাগেজে লুকিয়ে ইয়াবা নিয়ে যায়। পরে সেখানকার মাদকসেবীদের কাছে অনেক বেশি দামে বিক্রি করে। সম্প্রতি ঢাকায় চক্রের একজনকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তে এসব তথ্য জানা যায়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) বিমানবন্দর সার্কেলের পরিদর্শক দেওয়ান মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান সমকালকে বলেন, মালদ্বীপে যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাজল নামে যাত্রীকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বহির্গমনের চেকইন চলাকালে তার লাগেজ স্ক্যানিংয়ের সময় ইয়াবার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তল্লাশি করে মেলে ৮ হাজার ৪০০ পিস। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তারে চলছে অভিযান।

মিয়ানমারে তৈরি ইয়াবার বড় বাজার বাংলাদেশ। তবে বিগত বছরগুলোয় দেখা যায়, এখান থেকে আরও কয়েকটি দেশে এই মাদক পাচার করা হচ্ছে। গত ২৮ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার ইস্কান্দারপুত্রি জেলা পুলিশ সংবাদ সম্মেলনে ইয়াবা, অন্য মাদকসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায়। তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি, অপরজন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। তারা পাচারকারী চক্রের সহযোগী।
এর আগে সৌদি আরবে ইয়াবা পাচারের তথ্য জানা যায়। এ ঘটনায় ঢাকায় এবং সে দেশে আলাদা অভিযানে কয়েক কারবারিকে গ্রেপ্তারও করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে পার্সেলের মাধ্যমে ইয়াবা পাচারের অপচেষ্টার ঘটনাও ধরা পড়েছে।

তদন্ত সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার কাজলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মালদ্বীপে ইয়াবার কারবার সম্পর্কে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। কুমিল্লার কয়েক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে ওই দেশে থাকে। তারা কেউ গাড়িচালক হিসেবে কাজ করে, কেউ অন্য কাজের পাশাপাশি হুন্ডির সঙ্গে জড়িত। তারা বছরে কয়েকবার দেশে আসে। ফেরার সময় লাগেজে লুকিয়ে ইয়াবার চালান নিয়ে যায়। তারা কুমিল্লা থেকেই এগুলো সংগ্রহ করে। মিয়ানমারে তৈরি হলেও বেশ কিছুদিন ধরে কুমিল্লা, ফেনীসহ কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে ভারত থেকে ইয়াবা আসছে দেশে। সেগুলোর একটি অংশ যাচ্ছে মালদ্বীপে।
ডিএনসি-ঢাকা মহানগর উত্তরের এক কর্মকর্তা জানান, মালদ্বীপে গত কয়েক বছরে ইয়াবার চাহিদা তৈরি হয়েছে। মূলত প্রবাসী বাংলাদেশিরাই এর ক্রেতা। এর আগে মালদ্বীপগামী যাত্রীর কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধার হলেও তখন দেশটিতে এই মাদকের বিস্তৃতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মোবাইল ফোনের চার্জারে ১ হাজার ৭৯১ পিস ইয়াবাসহ আল আমিন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে দাবি করেছিল, পরিচিত এক ব্যক্তি চার্জারটি মালদ্বীপে পৌঁছানোর জন্য তাকে দিয়েছিল। এর পরও মালদ্বীপগামী যাত্রীর কাছে ইয়াবা পাওয়া গেছে। তখন ধারণা করা হয়েছিল, নিজের বা ঘনিষ্ঠ কারও আসক্তির কারণে তারা ইয়াবা নিয়ে যাচ্ছিল। তবে এবার জানা যাচ্ছে ভয়ংকর তথ্য। সেখানে প্রবাসীদের মধ্যে ইয়াবায় আসক্তি পৌঁছেছে মারাত্মক পর্যায়ে। এর সুযোগ নিচ্ছে কারবারিরা। এর সঙ্গে সে দেশের কিছু লোকের জড়িত থাকার আশঙ্কাও রয়েছে।
ডিএনসি কর্মকর্তা আরও জানান, কাজলকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তে এ চক্রের ব্যাপারে অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ইয়াবা পাচারে জড়িত কয়েকজনের তথ্য মিলেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। কাজলের বিদেশ যাতায়াতের তথ্য জানতে ইমিগ্রেশন বিভাগে দেওয়া হয়েছে চিঠি। তবে গত জানুয়ারিতে সে শেষবার দেশে আসে। এর আগে অক্টোবরে এসেছিল বলে জানা যায়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক রব র র সময়

এছাড়াও পড়ুন:

রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ১

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার ৩৬নং সাজেক ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের শুকনাছড়া এলাকা থেকে অস্ত্রসহ একজনকে আটক করেছে যৌথবাহিনীর সদস্যরা। 

আটককৃত ব্যক্তির নাম সুরেশ ওরফে বিদ্যুৎ চাকমা (৪৪)। তিনি নানিয়ারচর থানার দেওয়ানপাড়া গ্রামের হরিদাস চাকমার ছেলে। 

সোমবার (২৮ এপ্রিল) শুকনাছড়া এলাকায় মেজর মো. আবু নাঈম খন্দকার এর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

আটককৃত বিদ্যুৎ চাকমার কাছ থেকে ১টি এলজি অস্ত্র, ২ রাউন্ড গুলি, ১০টি চাঁদা আদায়ের রশিদ বই, ১টি মোবাইল সেট, নগদ ২ হাজার ৪৮০ টাকা এবং ২টি হিসাবের খাতা জব্দ করা হয়।

বাঘাইহাট জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মো. মাসুদ রানা পিএসসি বলেন, “আমাদের কাছে তথ্য ছিল সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্রের মুখে স্থানীয় জনসাধারণকে জিম্মি করে উক্ত এলাকায় ব্যাবসায়ীদের গাড়ি আটক করে চাঁদাবাজি করে আসছে। শুকনাছড়া এলাকায় পাঁচ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী চাঁদা আদায় করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করলে চারজন পালিয়ে গেলেও একজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি।”

জব্দকৃত মালামাল ও আসামিকে সাজেক থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ঢাকা/শংকর/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কালীগঞ্জে একজনকে ‘পেরেক’ মেরে হত্যা 
  • রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ১