Samakal:
2025-04-10@12:02:04 GMT

ইয়াবা রুট ঢাকা টু মালদ্বীপ

Published: 9th, March 2025 GMT

ইয়াবা রুট ঢাকা টু মালদ্বীপ

দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপ দেশ মালদ্বীপেও ছড়িয়ে পড়েছে মরণ নেশা ইয়াবার কারবার। অন্তত তিন বছর ধরে চালান যাচ্ছে সেখানে। এর সঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটি অংশ জড়িত। তারা দেশে এসে ফেরার সময় লাগেজে লুকিয়ে ইয়াবা নিয়ে যায়। পরে সেখানকার মাদকসেবীদের কাছে অনেক বেশি দামে বিক্রি করে। সম্প্রতি ঢাকায় চক্রের একজনকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তে এসব তথ্য জানা যায়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) বিমানবন্দর সার্কেলের পরিদর্শক দেওয়ান মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান সমকালকে বলেন, মালদ্বীপে যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাজল নামে যাত্রীকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বহির্গমনের চেকইন চলাকালে তার লাগেজ স্ক্যানিংয়ের সময় ইয়াবার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তল্লাশি করে মেলে ৮ হাজার ৪০০ পিস। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তারে চলছে অভিযান।

মিয়ানমারে তৈরি ইয়াবার বড় বাজার বাংলাদেশ। তবে বিগত বছরগুলোয় দেখা যায়, এখান থেকে আরও কয়েকটি দেশে এই মাদক পাচার করা হচ্ছে। গত ২৮ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার ইস্কান্দারপুত্রি জেলা পুলিশ সংবাদ সম্মেলনে ইয়াবা, অন্য মাদকসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায়। তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি, অপরজন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। তারা পাচারকারী চক্রের সহযোগী।
এর আগে সৌদি আরবে ইয়াবা পাচারের তথ্য জানা যায়। এ ঘটনায় ঢাকায় এবং সে দেশে আলাদা অভিযানে কয়েক কারবারিকে গ্রেপ্তারও করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে পার্সেলের মাধ্যমে ইয়াবা পাচারের অপচেষ্টার ঘটনাও ধরা পড়েছে।

তদন্ত সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার কাজলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মালদ্বীপে ইয়াবার কারবার সম্পর্কে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। কুমিল্লার কয়েক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে ওই দেশে থাকে। তারা কেউ গাড়িচালক হিসেবে কাজ করে, কেউ অন্য কাজের পাশাপাশি হুন্ডির সঙ্গে জড়িত। তারা বছরে কয়েকবার দেশে আসে। ফেরার সময় লাগেজে লুকিয়ে ইয়াবার চালান নিয়ে যায়। তারা কুমিল্লা থেকেই এগুলো সংগ্রহ করে। মিয়ানমারে তৈরি হলেও বেশ কিছুদিন ধরে কুমিল্লা, ফেনীসহ কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে ভারত থেকে ইয়াবা আসছে দেশে। সেগুলোর একটি অংশ যাচ্ছে মালদ্বীপে।
ডিএনসি-ঢাকা মহানগর উত্তরের এক কর্মকর্তা জানান, মালদ্বীপে গত কয়েক বছরে ইয়াবার চাহিদা তৈরি হয়েছে। মূলত প্রবাসী বাংলাদেশিরাই এর ক্রেতা। এর আগে মালদ্বীপগামী যাত্রীর কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধার হলেও তখন দেশটিতে এই মাদকের বিস্তৃতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মোবাইল ফোনের চার্জারে ১ হাজার ৭৯১ পিস ইয়াবাসহ আল আমিন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে দাবি করেছিল, পরিচিত এক ব্যক্তি চার্জারটি মালদ্বীপে পৌঁছানোর জন্য তাকে দিয়েছিল। এর পরও মালদ্বীপগামী যাত্রীর কাছে ইয়াবা পাওয়া গেছে। তখন ধারণা করা হয়েছিল, নিজের বা ঘনিষ্ঠ কারও আসক্তির কারণে তারা ইয়াবা নিয়ে যাচ্ছিল। তবে এবার জানা যাচ্ছে ভয়ংকর তথ্য। সেখানে প্রবাসীদের মধ্যে ইয়াবায় আসক্তি পৌঁছেছে মারাত্মক পর্যায়ে। এর সুযোগ নিচ্ছে কারবারিরা। এর সঙ্গে সে দেশের কিছু লোকের জড়িত থাকার আশঙ্কাও রয়েছে।
ডিএনসি কর্মকর্তা আরও জানান, কাজলকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তে এ চক্রের ব্যাপারে অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ইয়াবা পাচারে জড়িত কয়েকজনের তথ্য মিলেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। কাজলের বিদেশ যাতায়াতের তথ্য জানতে ইমিগ্রেশন বিভাগে দেওয়া হয়েছে চিঠি। তবে গত জানুয়ারিতে সে শেষবার দেশে আসে। এর আগে অক্টোবরে এসেছিল বলে জানা যায়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক রব র র সময়

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলায় একজন গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে রেস্তোরাঁ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে হামলাকারীদের শনাক্ত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। তবে এসব ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ কমিশনার মাহমুদা বেগম বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর হয়েছে সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। হামলাকারীদের শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ। ইতোমধ্যে চকবাজার থানায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে চট্টগ্রামে মিছিল ও সমাবেশ হয়। 
মিছিল থেকে নগরের জিইসি এলাকায় কেএফসি, পিৎজা হাট, ডোমিনোজ পিৎজা ও বাটাসহ পাঁচটি দোকানে ভাঙচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে একদল লোক। এর মধ্যে দুটি রেস্তোরাঁর বাইরের কাচের দেয়াল গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নগরের লালখানবাজার পুমা, বিরিয়ানি এক্সপ্রেস ও নগরের কাজির দেউড়িতে খোয়াজাসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এ হামলা করেছে, সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কক্সবাজারে হোটেল-রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর, ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
  • কক্সবাজারে রেস্টুরেন্টে হামলার ঘটনায় মামলা, আসামি ৩০০
  • কক্সবাজারে খোলেনি কেএফসি-পিৎজা হাট
  • চট্টগ্রামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলায় একজন গ্রেপ্তার