ছাত্রদলে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশনা
Published: 9th, March 2025 GMT
অনুপ্রবেশকারী ও ‘গুপ্ত’ সংগঠনের বিষয়ে সতর্ক থাকতে নেতা-কর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের নেতারা। ভবিষ্যতে যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকারও নির্দেশনা দিয়েছেন তাঁরা।
রোববার বিকেলে রাজধানীর কলাবাগান স্টাফ কোয়ার্টার মাঠে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের কর্মিসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ঢাকা মহানগর পূর্বের নেতারা তৃণমূলের কর্মীদের প্রতি এমন নির্দেশনা দিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি ওয়ার্ডে কর্মিসভা করছে ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদল। এই শাখার আওতাধীন ২৭টি ওয়ার্ড রয়েছে। ১ মার্চ থেকে ওয়ার্ডভিত্তিক এই কর্মিসভা শুরু হয়েছে। আগামী ১৩ মের মধ্যে বাকি ওয়ার্ডগুলোতে কর্মিসভা সম্পন্ন হবে। নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখা, সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করা এবং বিতর্কিত কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখতেই ওয়ার্ডভিত্তিক কর্মিসভা করছে ছাত্রদল।
আজকের সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের সভাপতি সোহাগ ভূঁইয়া। সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান মজুমদার, সহসভাপতি আরমান হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম (রাজিব) এবং রশিদ উল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিম উদ্দিন আবিদ প্রমুখ।
কর্মিসভায় সভাপতিত্ব করেন কলাবাগান থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ওবায়দুল ইসলাম। সঞ্চালনায় ছিলেন কলাবাগান থানা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রবিন বাকাউল।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কাট্টলির আইপিও তহবিল তছরুপ, অভিযোগ দুদকে পাঠাবে বিএসইসি
পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি কাট্টলি টেক্সটাইল লিমিটেড কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ২৫.০৪ কোটি টাকার প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে সংগৃহিত তহবিল তছরুপের অভিযোগে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বুধবার (৯ এপ্রিল) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৫০তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কাট্টলি টেক্সটাইল লিমিটেড কর্তৃক কমপক্ষে ২৫.০৪ কোটি টাকার আইপিও তহবিল তছরুপের বিষয়টি দুদকে প্রেরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এছাড়া কোম্পানিটিকে এক মাসের মধ্যে লিস্টিং ফি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসিকে পরিশোধের নির্দেশ প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উক্ত সময়ের মধ্যে ফি পরিশোধে ব্যর্থ হলে কোম্পানির প্রত্যেক পরিচালককে ২ লাখ টাকার অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, কাট্টলি ২০১৮ সালে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ৩৪ কোটি সংগ্রহ করেছিল। পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও কোম্পানিটি আইপিও তহবিল ব্যবহারে ব্যর্থ হয়। আইপিও তহবিলের মাধ্যমে মূলধনী যন্ত্রপাতি ক্রয়, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার স্থাপন এবং আইপিও খরচ বহন করার জন্য শেয়ারবাজার থেকে ৩৪ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল তারা। ২০২০ সালের অক্টোবরের মধ্যে তহবিলটি ব্যবহার করার কথা ছিল কাট্টলির। কিন্তু ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তারা আইপিও তহবিলের মাত্র ১৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যবহার করেছে।
কোম্পানিটির আইপিও তহবিল ব্যবহারে ব্যর্থতা জানতে ২০২৩ সালের ১৬ অক্টোবর তিন সদস্যের একটি কমিটি তদন্ত গঠন করে বিএসইসি। কমিটিতে ছিলেন বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, উপ-পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সহকারী মহাব্যবস্থাপক মাসুদ খান।
ঢাকা/এনটি//