নীল সমুদ্র উত্তাল করে ভারতের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়
Published: 9th, March 2025 GMT
কাইল জেমিসনের শর্ট বলটা কোমর উচ্চতায় উঠেছিল। রোহিত শর্মাকে এমন বল দিয়ে তিনি বেঁচে যেতে পারতেন কেবল রোহিত যদি ভাবতেন, ‘মাত্রই তো ইনিংস শুরু হলো…।’ কিন্তু রোহিত রোহিত বলেই তা ভাবেননি। ২৫১ রান তাড়া করার ম্যাচেও ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই পুল শটে স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে সবকিছু ভারতের জন্যই সাজানো ছিল। নিউজিল্যান্ড যেন উপলক্ষ মাত্র। ফাইনালে আরেকটা দল লাগে বলেই তারা খেলল। তবু অদৃষ্ট হয়তো চাইল, নিউজিল্যান্ড যেহেতু খেলছেই, বিষয়টাকে আরেকটু বাস্তব রূপ দেওয়া যাক। টসটা তারাই জিতুক, বাকি সবই তো ভারতেরই। হ্যাঁ, শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিজয় উদ্যাপনে। ২০১৩ সালের পর দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়। সব মিলিয়ে তৃতীয়। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর টানা দ্বিতীয় আইসিসি শিরোপা। তা-ও সেই নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে, আইসিসির কোনো আসরের ফাইনালে যাদের সঙ্গে আগে কখনো জেতেনি ভারত।
দুপুরে মিচেল স্যান্টনার টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন, ওদিকে হিসেব চলতে থাকল রোহিত শর্মা তো টানা ১২ ওয়ানডেতে টস হেরে ব্রায়ান লারাকে ধরে ফেললেন! যেন এতগুলো ম্যাচে টসে হারা বিশাল এক লজ্জা ভারত অধিনায়কের জন্য। খেলা ততক্ষণে শুরু হয়ে গেছে। সুন্দর শুরু নিউজিল্যান্ডের জন্য। দুই ওপেনার উইল ইয়াং-রাচিন রবীন্দ্র মিলে ৭.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চবিতে ধর্ষণবিরোধী মিছিলে নারী শিক্ষার্থীকে ‘ভুয়া’ বলে হট্টগোল
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ধর্ষণবিরোধী সমাবেশে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। রোববার রাত আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ হট্টগোল হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে সমালোচনা করে বক্তব্য দেওয়া নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান, সারাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণের প্রতিবাদে প্রথমে বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকেছিল একদল শিক্ষার্থী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদসহ বেশ কয়েকজন ফেসবুকে এটির প্রচারণা চালান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে জিরো পয়েন্টে এটি হওয়ার কথা ছিল। অন্যদিকে চলমান হেনস্তা ও ধর্ষণের শাস্তি ফাঁসির দাবিতে সাড়ে ছয়টার মশাল মিছিলের ডাক দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা।
ছাত্রীদের এই মিছিলটি বিজয় চব্বিশ হলের (সাবেক জননেত্রী শেখ হাসিনা হল) সামনে থেকে শুরু হয়। পরে তারা প্রীতিলতা ও নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরী হল (সাবেক বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল) ঘুরে প্রীতিলতা হল সংলগ্ন জামাল নজরুল ইসলাম সড়কে আসে। আর ছাত্রদের মিছিলটিও জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে কাটা পাহাড় সড়ক হয়ে জামাল নজরুল ইসলাম সড়কে আসে। সেখান থেকে ছাত্র ও ছাত্রীদের মিছিলটি এক হয়ে দক্ষিণ ক্যাম্পাস ঘুরে আবার জিরো পয়েন্ট এলাকায় পৌঁছায়। সেখানে সমাবেশ হয়। এতে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এই বক্তব্য দেওয়া নিয়েই সেখানে হট্টগোল হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নয় ছাত্রীর বহিষ্কার নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনা চলছে। বহিষ্কৃত ওই ৯ ছাত্রীর একজন ছিলেন সুমাইয়া শিকদার। তিনি সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার এক পর্যায়ে হট্টগোল শুরু হয়। সুমাইয়া শিকদার তার বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ফেসবুক পোস্ট নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন।
এই সমালোচনার জেরে সমাবেশে অবস্থানকারী একটি অংশ ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান দেন। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ উপস্থিত অন্য শিক্ষার্থীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
জানতে চাইলে সমাবেশে থাকা ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আরমান হোসেন বলেন, সুমাইয়া শিকদার বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী। তাই তার বক্তব্য দেওয়া নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে কয়েকজন। আবার এটা ছিল এই ধর্ষণবিরোধী কর্মসূচি। সারাদেশে নারীদের নিরাপত্তার দাবিতে এই কর্মসূচি ছিল। এটি আমাদের ক্যাম্পাসের বিষয় ছিল না। এখানে একটা গোষ্ঠী ক্যাম্পাসের বিষয়গুলো এনেছে বলে আরেকটা গোষ্ঠী এর প্রতিবাদ করেছে।
এ বিষয়ে সুমাইয়া শিকদার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ছাত্রীদের হানি ট্র্যাপার বলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। একজন প্রক্টর নারীদের ইঙ্গিত করে এই ধরনের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে আমি বিষয়টি বলতে যাচ্ছিলাম। তবে কথা শেষ করার আগেই একদল ইচ্ছাকৃভাবে হট্টগোল করেছে।