ধর্ষণের পর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি, কলেজছাত্র গ্রেপ্তার
Published: 9th, March 2025 GMT
সাভারে কলেজপড়ুয়া এক ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে গোপনে ধারণকৃত ধর্ষণভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে আয়াতুস সিয়াম (২৫) নামে এক কলেজছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ রোববার সকালে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আশিক ইকবাল। এর আগে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর (১৭) মা বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর শনিবার রাতে সাভার পৌরসভার বিনোদবাইদ মহল্লায় অভিযান চালিয়ে ওই ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত সিয়াম সাভার পৌরসভার বিনোদবাইদ এলাকার হামিদুল হক সুমনের ছেলে।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত আয়াতুস সিয়াম সাভার সরকারি কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র এবং ভুক্তভোগী স্থানীয় একটি মহিলা কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
গত ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাভার সরকারি কলেজের বার্ষিক পিঠা উৎসবে এসে আয়াতুস সিয়ামের সঙ্গে ওই ছাত্রীর পরিচয় হয়। পরবর্তীতে সিয়াম মোবাইল ফোনে নিয়মিত কথা বলেন ওই ছাত্রীর সঙ্গে। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্কের জেরে সিয়াম তার এক বন্ধুর বাসায় ওই ছাত্রীকে নিয়ে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক করে এবং তা গোপনে মোবাইলে ধারণ করে রাখে। পরে ধারণকৃত ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে সিয়াম। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৯ আগস্ট সিয়াম তার বাসায় নিয়ে ওই ছাত্রীকে আবারও ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ওই কলেজ ছাত্রী ঘটনাটি সিয়ামের অভিভাবকদের জানালেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এরই মধ্যে সিয়াম ভুক্তভোগী ছাত্রীর সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে পরিবারের পরামর্শে অন্যত্র বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ অবস্থায় ভুক্তভোগী ছাত্রী পুনরায় সিয়ামের বাসায় বিয়ের দাবিতে কথা বলতে গেলে গোপনে ধারণ করা ধর্ষণভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে চুপ থাকার হুমকি দেয় সিয়াম।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর মা বাদী হয়ে শনিবার রাতে সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সিয়ামকে গ্রেপ্তার করে।
সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আশিক ইকবাল বলেন, গ্রেপ্তার আয়াতুস সিয়ামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং নির্যাতিত ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও গ্রেপ্তারকৃতের মোবাইল ও ল্যাপটপ জব্দ করে ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আয় ত স স য় ম ওই ছ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ডিজিটাল সুরক্ষায় অভিভাবক ফিচার
বাংলাদেশে তরুণদের ডিজিটাল নিরাপত্তা ও সুস্থতা নিশ্চিতে ‘ফ্যামিলি পেয়ারিং’ টুলে নতুন ও মানোন্নত ফিচার চালু করেছে টিকটক। নতুন আপডেটে অভিভাবকরা তাদের সন্তানের অনলাইন অভ্যাসের ওপর স্বচ্ছ ও কার্যকর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবেন। অন্যদিকে, তরুণরা গড়ে তুলতে পারবেন স্বাস্থ্যকর ডিজিটাল অভ্যাস।
নতুন ফিচার টাইম অ্যাওয়ে স্কেডিউলিং, যার মাধ্যমে অভিভাবকরা নির্দিষ্ট স্ক্রিনহীন সময় নির্ধারণ করতে পারবেন। যেমন– স্কুল চলাকালীন, ঘুমানোর সময় বা ছুটির দিন। যদিও টিনএজাররা অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইমের জন্য অনুরোধ করতে পারবে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত থাকবে অভিভাবকদের হাতে।
আপডেট ফিচারে অনলাইন বিষয়ে পরিবারের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা উৎসাহিত করবে। অভিভাবকরা সন্তানের ডিজিটাল লিটারেসি দক্ষতা গড়ে তুলতে সহায়তা করার সুযোগ পাবেন।
দ্রুতই সক্রিয় হবে নতুন ‘প্রোঅ্যাকটিভ রিপোর্টিং অ্যালার্ট’ ফিচার, যেখানে কিশোররা যদি কোনো ভিডিও রিপোর্ট করে, তাহলে তারা একই সঙ্গে অভিভাবক বা বিশ্বস্ত কোনো প্রাপ্তবয়স্ককে তাৎক্ষণিক তা জানাতে পারবে। যদি তারা ফ্যামিলি পেয়ারিং ফিচার ব্যবহার না করে, তাও এ সুবিধা পাবে।
কিছুদিন আগে চালু হয়েছে ‘উইন্ড-ডাউন’ নামে নতুন ফিচার, যা ১৬ বছরের নিচের গ্রাহকের জন্য ডিজাইন করা। রাত ১০টার পর যদি কোনো টিনএজার এ প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় থাকে, তবে পুরো স্ক্রিনে রিমাইন্ডার শান্ত সুরের ভিডিও চলবে, যা সময়ের বিষয়ে সচেতন করবে। তারপরও যদি ব্যবহার অব্যাহত থাকে, তাহলে জোরালো রিমাইন্ডার দৃশ্যমান হবে।
টিনএজার নিজেরাই ফিচারটি সচল করেছেন। সামনে এমন ফিচারে গাইডেড মেডিটেশন যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, সব সময় নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে মাধ্যমটি কাজ করছে। ফ্যামিলি পেয়ারিং ফিচার গ্রাহকের পরিবারের হাতে এমন সব টুল তুলে দিচ্ছে, যা ডিজিটাল জগতে টিনএজারদের স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়তে সহায়ক হবে। নিরাপদ ও ইতিবাচক অনলাইন পরিবেশ নিশ্চিতে এ প্ল্যাটফর্ম সব সময় কাজ করছে। জানা গেছে, মাল্টিস্টেকহোল্ডার ডায়ালগ অন এজ অ্যাসিউরেন্সে অংশ নিয়ে কয়েকটি বৈশ্বিক সংগঠনের সঙ্গে কাজ করছে, যেমন– সেন্টার ফর ইনফরমেশন পলিসি লিডারশিপ এবং উই প্রটেক্ট গ্লোবাল অ্যালায়েন্স।
২০২৫ সালে টিকটক গ্লোবাল উইথ কাউন্সিল সম্প্রসারণে কাজ করছে। ২০২৩ সালে চালু হওয়া কাউন্সিল নিরাপত্তা ও সুস্থতাবিষয়ক নীতিমালা গঠনে সক্রিয়। এমন সম্প্রসারণ তরুণদের অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশার মিশেল হবে বলে জানান উদ্যোক্তারা।