ধর্ষণ, নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধিতে উদ্বেগ জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার রোববার বিবৃতিতে বলেছেন, ধর্ষক ও নিপীড়কদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
 
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। রোববার ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে চার মাসের এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে কয়েকজন দলবদ্ধ ধর্ষণ করেছে। গত ৫ মার্চ দুপুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ‘ওড়না ঠিক নেই’ বলে নাজেহাল করা হয়। এসব ঘটনায় প্রমাণিত হয় ধর্ষণ ও সহিংসতা বেড়েছে।’ 

গোলাম পরওয়ার বলেন, বাস, ট্রেন, লঞ্চ, অফিস, বাসা-বাড়ি, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা কোথাও নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নেই। সারাদেশে যে অবস্থা তার খণ্ডিতাংশই সংবাদমাধ্যমে আসছে। বাস্তব অবস্থা আরও ভয়াবহ। ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতা মারাত্মক জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। ইমাম, খতিব ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বসহ সমাজের সচেতন নাগরিকদের ধর্ষকদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ধর্ষকদের ঘৃণা ও সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, নৈতিক অবক্ষয়ের কারণেই ধর্ষণ, হত্যা, ছিনতাই, গুম, সন্ত্রাস বেড়েছে। কোরআন-সুন্নাহর ভিত্তিক ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থাই মানুষকে মুক্তি দিতে পারে। 

রোববার পৃথক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মাধ্যমে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার তদন্ত দাবি করেছেন গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেছেন, ৬ মার্চ রাতে সিলেট সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে শাহেদ নামে এক বাংলাদেশি যুবককে এবং গত ৮ মার্চ শনিবার রাতে পঞ্চগড়ের ভিতরগড় সীমান্তে আল-আমিন নামের আরেক  বাংলাদেশি যুবককে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গুলি করে হত্যা করেছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নে জামায়াতের উদ্বেগ

ধর্ষণ, নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধিতে উদ্বেগ জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার রোববার বিবৃতিতে বলেছেন, ধর্ষক ও নিপীড়কদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
 
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। রোববার ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে চার মাসের এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে কয়েকজন দলবদ্ধ ধর্ষণ করেছে। গত ৫ মার্চ দুপুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ‘ওড়না ঠিক নেই’ বলে নাজেহাল করা হয়। এসব ঘটনায় প্রমাণিত হয় ধর্ষণ ও সহিংসতা বেড়েছে।’ 

গোলাম পরওয়ার বলেন, বাস, ট্রেন, লঞ্চ, অফিস, বাসা-বাড়ি, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা কোথাও নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নেই। সারাদেশে যে অবস্থা তার খণ্ডিতাংশই সংবাদমাধ্যমে আসছে। বাস্তব অবস্থা আরও ভয়াবহ। ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতা মারাত্মক জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। ইমাম, খতিব ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বসহ সমাজের সচেতন নাগরিকদের ধর্ষকদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ধর্ষকদের ঘৃণা ও সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, নৈতিক অবক্ষয়ের কারণেই ধর্ষণ, হত্যা, ছিনতাই, গুম, সন্ত্রাস বেড়েছে। কোরআন-সুন্নাহর ভিত্তিক ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থাই মানুষকে মুক্তি দিতে পারে। 

রোববার পৃথক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মাধ্যমে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার তদন্ত দাবি করেছেন গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেছেন, ৬ মার্চ রাতে সিলেট সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে শাহেদ নামে এক বাংলাদেশি যুবককে এবং গত ৮ মার্চ শনিবার রাতে পঞ্চগড়ের ভিতরগড় সীমান্তে আল-আমিন নামের আরেক  বাংলাদেশি যুবককে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গুলি করে হত্যা করেছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ