ঢাবির ৩৬ বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন, উপ-উপাচার্য বললেন জটের শঙ্কা নেই
Published: 9th, March 2025 GMT
দেশব্যাপী চলমান ধর্ষণের প্রতিবাদ, ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত ও নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে দিনব্যাপী উত্তাল ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। এ প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ক্লাস-পরীক্ষা বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৩৬টি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
তবে তাদের এই আন্দোলনের ফলে সেশনজটে পড়তে হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড.
রবিবার (৯ মার্চ) ঢাবির আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণায় শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়বে কি-না জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, “ধর্ষণের প্রতিবাদ শিক্ষার্থীদের একটি সংবেদনশীল বিষয়। যেসব বিভাগ ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছে, তাদের সেশনজটের শঙ্কা নেই।”
তিনি বলেন, “যেকোন পরিস্থিতিতে যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেশনজটের শঙ্কায় পড়েন, তাহলে আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করি। যেমন- অল্প সময়ে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়া, অনলাইন ক্লাস, ছুটির দিনেও ক্লাস এবং সেমিস্টার গ্যাপ কমানো। অতীতের মতো এবারো যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়া হবে।”
রবিবার এ প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়, লোক প্রশাসন, রসায়ন, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, ভূতত্ব, ইংরেজি, ভাষা বিজ্ঞান, বাংলা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীদের।
এছাড়া, শিক্ষক নেটওয়ার্ক ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আংশিক অথবা পূর্ণাঙ্গ ব্যাচ তাদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেওয়া ৩৬ টি বিভাগগুলো হলো- লোক প্রশাসন, রসায়ন, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, ভূতত্ব, ইংরেজি, ভাষা বিজ্ঞান, বাংলা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, তথ্য গ্রন্থাগার ও ব্যবস্থাপনা, পালি এন্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, মার্কেটিং, মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ, ব্যাংকিং এন্ড ইন্সুইরেন্স, টেলিভিশন, চলচিত্র ও ফটোগ্রাফি, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, মুদ্রণ ও প্রকাশনা, সংগীত, ম্যানেজমেন্ট, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, স্বাস্থ্য অর্থনীতি, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য, পদার্থ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, উদ্ভিদবিজ্ঞান, দর্শন, ভাষাবিজ্ঞান, প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন, ESOL, গণিত, পরিসংখ্যান বিভাগ।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ল স পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচন কমিশনের আশু বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ চূড়ান্ত: ইসি সানাউল্লাহ
আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে খুব শিগগির বাস্তবায়নযোগ্য নির্বাচনী আইন-বিধি সংশ্লিষ্ট সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংস্কার কমিশনের সুপারিশের মধ্যে বাছাই করা এসব সুপারিশ বুধবারই সরকারের কাছে পাঠানো হবে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। এ দিন সকালে চতুর্থ কমিশন সভার পর ইসি মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এটা চূড়ান্ত করে ফেলেছি। আজকের মধ্যে পাঠিয়ে দেব। কমিশন সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন, চার নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিব উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মার্চের মাঝামাঝি পাঁচটি সংস্কার কমিশনের সুপারিশের মধ্য থেকে ‘আশু বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ’ এবং ‘অতি জরুরি ভিত্তিতে’ নির্ধারিত ছকে পাঠাতে অনুরোধ করেছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ বলেন, যেসব বিষয় শুধু আরপিওতে সামান্য সংশোধন করে করা সম্ভব এবং আর্থিক সংশ্লেষ নেই (সেগুলো সরকারের কাছে প্রস্তাব করা হয়েছে)। কিছু বিষয় রয়েছে রাজনৈতিক; এক্ষেত্রে রাজনৈতিক ঐকমত্য হলে আশু বাস্তবায়নযোগ্য। তবে যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক ঐক্যের বিষয় রয়েছে সেগুলোতে আমরা মতামত দেয়নি। এমন ১০-১২টি সুপারিশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে দেশের কোথাও ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা চিহ্নিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধন সংক্রান্ত আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, এনআইডি সংশোধন সংক্রান্ত আবেদন দীর্ঘদিন ঝুলে থাকে, এটাকে কীভাবে সহজ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কোনো নাগরিকের যদি অসৎ উদ্দেশ্যে না থাকে সেগুলো সহজভাবে সমাধান করে দেওয়া হবে। অনেকে দ্বৈত কার্ড বা এনআইডি নিয়েছেন। এদের ক্ষেত্রে ভুলভাবে কেউ দুইবার নিলে প্রথমটা থাকবে, দ্বিতীয়টা বাদ যাবে। আবার পুরো পরিচয় পরিবর্তন করতে চাইলে সে বিষয়ে কঠোর হব। এ ছাড়া সেবাগ্রহীতাদের সহজে সেবা দিতে সংশ্লিষ্ট আইন সহজ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।