পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে আমাদের পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে হবে। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পাটপণ্যের বহুমুখী ব্যবহার বাড়ানো অতি জরুরি। তিনি বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পাটজাত পণ্য জনগণের কাছে সহজলভ্য করতে কাজ করছে সরকার। 

পরিবেশবান্ধব ও টেকসই পাটপণ্য জনপ্রিয়করণের লক্ষ্যে রোববার রাজধানীর মনিপুরীপাড়ায় জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে (জেডিপিসি) ‘বহুমুখী পাটপণ্য মেলা ও তাত বস্ত্র মেলা’র স্টল পরিদর্শনের সময় পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। তিনি মেলার আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান এবং পাটপণ্যের প্রসারে আরও উদ্ভাবনী উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তর সংস্থা এবং বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে। এ সময় জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জিনাত আরাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মেলায় উদ্যোক্তারা বিভিন্ন ধরনের পাটপণ্য প্রদর্শন করেন, যার মধ্যে ছিল ব্যাগ, গৃহস্থালি সামগ্রী, ফ্যাশন পণ্য, জুতা ও আসবাব। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ব শ উপদ ষ ট ব যবহ র ব ড় উপদ ষ ট পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

কামরাঙ্গীরচরে চা দোকানিকে মারধরের পর হাতবোমার বিস্ফোরণ, পরে গণপিটুনিতে দুজন নিহত

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে গণপিটুনিতে মো. মাসুদ (২৯) ও নাদিম (৩৫) নামের দুই যুবক নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন সোহাগ (৩০) নামের একজন। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কামরাঙ্গীরচরের সিলেটিয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানিয়েছে, গণপিটুনির শিকার ৩ ব্যক্তিসহ ৯–১০ জন কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে সিলেটি বাজার এলাকার চা দোকানদার নূর মোহাম্মদকে চাঁদাবাজির মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছিলেন। এতে রাজি না হলে তাঁরা নূর মোহাম্মদকে কুপিয়ে জখম করেন। নূর মোহাম্মদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে আসেন। এ সময় ঘটনাস্থলে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মোটরসাইকেলে করে হামলাকারীরা পালানোর চেষ্টা করেন। পাঁচ–ছয়জন পালিয়ে যেতে পারলেও তিনজনকে কয়েক হাজার মানুষ ঘিরে ফেলে পিটুনি দেন।

পুলিশের লালবাগ অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) জাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গণপিটুনিতে মাসুদ ঘটনাস্থলে মারা যান। থানা–পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‌্যাব সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে নাদিম ও সোহাগকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাদিমের মৃত্যু হয়। সোহাগ গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ