রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের আওতাধীন চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা, সিলেট, কক্সবাজার ও ময়মনসিংহের পথে চলাচলকারী ১৫টি ট্রেনের মধ্যে ৯টির চলাচলের সময় পরিবর্তন করা হচ্ছে। সোমবার থেকে ট্রেনগুলো নতুন সূচিতে চলবে। 

রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন ওয়ার্কিং টাইম টেবিল-৫৪ অনুযায়ী, ট্রেন ছাড়া ও গন্তব্যে পৌঁছার সময়ে কিছুটা কম-বেশি করা হয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর পূর্ব রেলের সময়সূচির পরিবর্তন করা হয়েছিল। এ হিসাবে ১৬ মাস পর রেলের সূচিতে পরিবর্তন আনা হলো। 

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো.

সবুক্তগীন বলেন, সোমবার থেকে নতুন সময়সূচিতে ট্রেন চলাচল করবে। এতে আন্তঃনগরসহ কিছু কিছু ট্রেনের সূচিতে সামান্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। 

রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিভিন্ন সময়ে কিছু নতুন স্টেশন চালু হয়েছে, আবার কিছু বন্ধও হয়ে গেছে। সবমিলিয়ে সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে যাত্রীসেবা উন্নত করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে নতুন সূচি করা হয়েছে। 

নতুন সূচি অনুসারে, আন্তঃনগর ট্রেন সুবর্ণ এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে সকাল সাড়ে ৭টার বদলে ৭টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়বে। একই ট্রেন ঢাকা থেকে আগের সূচি অনুযায়ী বিকেল সাড়ে ৪টায় ছাড়বে। সোনার বাংলা এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে বিকেল পৌনে ৫টার বদলে ৫টায় ছাড়বে। একই ট্রেন ঢাকা থেকে প্রতিদিন সকাল ৭টায় আগের সময়ই ছাড়বে। চাঁদপুরগামী মেঘনা এক্সপ্রেস নতুন সূচিতে সন্ধ্যা ৬টার বদলে বিকাল সোয়া ৫টায় ছাড়বে। একই ট্রেন চাঁদপুর থেকে সকাল ৫টাতেই ছাড়বে। জামালপুরগামী বিজয় এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে ছাড়ার সময় সকাল সোয়া ৯টায় ঠিক থাকলেও জামালপুর থেকে ছাড়ার সময় বদলেছে। রাত ৮টা ১০ মিনিটের বদলে ছাড়বে রাত ৮টায়। 

ঢাকামুখী চট্টলা এক্সপ্রেস আগের সময় সকাল ৬টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়বে, সেই ট্রেন ঢাকা থেকে দুপুর ১টা ৪৫ এর বদলে ছাড়বে ২টা ১৫ মিনিটে। কক্সবাজার এক্সপ্রেস কক্সবাজার থেকে বেলা ১২টা ৪০ মিনিটের পরিবর্তে সাড়ে ১২টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়বে। অপরদিকে পর্যটক এক্সপ্রেস রাত সাড়ে ৮টার বদলে পৌনে ৮টায় কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়বে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে চলাচলকারী প্রবাল এক্সপ্রেস কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ১০টা ৩৫ মিনিটের পরিবর্তে ১০টা ২০ মিনিটে ছাড়বে। সৈকত এক্সপ্রেস রাত সোয়া ৮টার পরিবর্তে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছাড়বে রাত ৮টায়। তবে অপরিবর্তিত থাকবে অন্য আন্তঃনগর ট্রেনগুলো। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ল দ শ র লওয় ট র বদল র লওয় র র সময়

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারত ছাড়লেন ২৭২ পাকিস্তানি, আজ শেষ দিনে ছাড়বেন আরও কয়েক শ

গত দুই দিনে আত্তারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ২৭২ জন পাকিস্তানি নাগরিক ভারত ছেড়েছেন। পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারত ছাড়ার সময়সীমার শেষ দিনে আজ রোববার (২৭ এপ্রিল) আরও কয়েক শ পাকিস্তানি ভারত ছাড়বেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ১২ ধরনের স্বল্পমেয়াদি ভিসাধারী পাকিস্তানের নাগরিকদের আজকের মধ্যেই ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। একজন সরকারি কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

একই সময়ে পাঞ্জাবের আন্তর্জাতিক সীমান্ত বা আত্তারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ৬২৯ জন ভারতীয় নাগরিক পাকিস্তান থেকে নিজ দেশে ফিরে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে ১৩ জন কূটনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তা।

আরও পড়ুনভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে আবারও গোলাগুলি৬ ঘণ্টা আগে

২২ এপ্রিল ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ভারতের অভিযোগ, এই ঘটনার সঙ্গে পাকিস্তান জড়িত। পাকিস্তান সরকার ভারতের এই দাবি অস্বীকার করেছে। এরপর পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারত ছাড়ার নোটিশ জারি করে নয়াদিল্লি, যা ‘লিভ ইন্ডিয়া’ নামে পরিচিত।

লিভ ইন্ডিয়া নোটিশে কয়েকটি ধরন রয়েছে। এর মধ্যে সার্ক ভিসাধারী পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারত ছাড়ার সময়সীমা ছিল ২৬ এপ্রিল। চিকিৎসা ভিসাধারীদের ভারত ছাড়তে হবে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে।

আজকের মধ্যে ১২ ধরনের ভিসাধারীকে ভারত ছাড়তে হবে। তাঁরা সবাই স্বল্পমেয়াদি ভিসাধারী। এ ধরনগুলো হলো আগমনী ভিসা বা কোনো দেশে আসার পর যে ভিসা দেওয়া হয়, ব্যবসা, চলচ্চিত্র, সাংবাদিক, ট্রানজিট, সম্মেলন, পর্বতারোহণ, শিক্ষার্থী, ভিজিটর, দলবদ্ধ পর্যটক, তীর্থযাত্রী ও দলবদ্ধ তীর্থযাত্রী ভিসা।

দীর্ঘমেয়াদি ভিসা এবং কূটনৈতিক বা সরকারি ভিসাধারীরা ‘লিভ ইন্ডিয়া’ নির্দেশের আওতার বাইরে থাকবেন।

আরও পড়ুনযেদিকে তাকাই, শুধু অবিশ্বাস: ভারতের বিভিন্ন শহরে ভয়ে ঘরবন্দী কাশ্মীরি শিক্ষার্থীরা৯ ঘণ্টা আগে

সরকারি তথ্যমতে, ২৫ এপ্রিল আত্তারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ১৯১ জন পাকিস্তানি নাগরিক ভারত ত্যাগ করেছেন। পরের দিন ২৬ এপ্রিল আরও ৮১ জন পাকিস্তানি একই পথে ভারত ছাড়েন।

ওই দিন পাকিস্তান থেকে ভারতে ফিরেছেন ২৮৭ জন ভারতীয়। পরদিন ফিরেছেন ৩৪২ জন, যার মধ্যে ১৩ জন কূটনীতিক। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কিছু পাকিস্তানি বিমানবন্দর দিয়েও ভারত ছেড়েছেন। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় তৃতীয় দেশের মাধ্যমে তাঁরা গন্তব্যে পাড়ি জমিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভারত সরকারের তথ্যমতে, স্বল্পমেয়াদি ভিসাধারী পাকিস্তানি সবচেয়ে বেশি ছিলেন মহারাষ্ট্রে। তাঁদের সংখ্যা প্রায় এক হাজার। রাজ্যের মন্ত্রী যোগেশ কাদম বলেছেন, এই এক হাজার পাকিস্তানি নাগরিককে দ্রুত ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আগমনী ভিসা, ব্যবসা, চলচ্চিত্র, সাংবাদিক, ট্রানজিট, সম্মেলন, পর্বতারোহণ, শিক্ষার্থী, ভিজিটর, দলবদ্ধ পর্যটক, তীর্থযাত্রী এবং দলবদ্ধ তীর্থযাত্রী ভিসাধারী পাকিস্তানের নাগরিকদের আজকের মধ্যে ভারত ছাড়তে হবে।

মহারাষ্ট্রে বর্তমানে আরও প্রায় ৫ হাজার ৫০ জন পাকিস্তানি নাগরিক বাস করছেন, যাঁদের অধিকাংশের দীর্ঘমেয়াদি ভিসা রয়েছে। তাঁদের মধ্যে নাগপুরে ২ হাজার ৪৫০ জন, থানে ১ হাজার ১০০ জন, জলগাঁওয়ে ৩৯০ জন, নবি মুম্বাইয়ে ২৯০ জন, পিম্পরি-চিনচওয়াডে ২৯০ জন, অমরাবতীতে ১২০ জন এবং মুম্বাই শহরে থাকেন ১৫ জন।

এদিকে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে আবারও গোলাগুলি হয়েছে। এ নিয়ে ধারাবাহিকভাবে তৃতীয় রাতের মতো গোলাগুলি হলো। ভারতীয় সেনাবাহিনী আজ এ কথা জানিয়েছে।

আরও পড়ুনসিন্ধু নদের পানি সরবরাহ আটকে দেওয়ার ভারতের হুমকিতে পাকিস্তানে আতঙ্ক৪ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল পর্বের সময়সূচি
  • ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারত ছাড়লেন ২৭২ পাকিস্তানি, আজ শেষ দিনে ছাড়বেন আরও কয়েক শ