চকবাজার থানার মামলায় আসামি শেখ হাসিনাসহ ১৩ জন
Published: 9th, March 2025 GMT
২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কারা অভ্যন্তরে বিডিআরের সাবেক উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) আব্দুর রহিমের মৃত্যুতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করেছে রাজধানীর চকবাজার থানা।
আদালতের নির্দেশে গত ৪ মার্চ চকবাজার থানার ওসি এফআইআর গ্রহণ করেন। গত ৭ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম আওলাদ হোসেন মুহাম্মদ জুনাইদ মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলে ১০ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
রোববার চকবাজার থানার ওসি শেখ আশরাফুজ্জামান জানান, আদালতের নির্দেশে মামলাটি রুজু করা হয়েছে।
গত বছর ২৫ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো.
অন্তর্বর্তী সরকারের সময় পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রথম মামলা এটি। এ মামলায় জেনারেল আজিজ আহমেদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। দ্বিতীয় আসামি বিডিআর বিদ্রোহ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মোশাররফ হোসেন কাজল। আসামির তালিকায় শেখ হাসিনা চতুর্থ স্থানে।
বাকি উল্লেখযোগ্য আসামি হলেন– সাবেক কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুল ইসলাম খান, ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক এমপি নূরে আলম চৌধুরী লিটন, শেখ সেলিম ও শেখ হেলাল, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক, সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা মির্জা আজম, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মন্ত্রী-এমপিসহ আরও ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চকব জ র থ ন
এছাড়াও পড়ুন:
‘বিচার ব্যবস্থা সংস্কারে আইনজীবীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি’
বিচার ব্যবস্থা সংস্কারে আইনজীবীদের কার্যকর অংশগ্রহণ ছাড়া ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা। তারা বলেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রসঙ্গে কমিশনের ৩৭টি সুপারিশের মধ্যে ১৪টি সুপারিশ অল্প সময়ের মধ্যে প্রশাসনিক উদ্যোগের মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব। অনলাইনে মেনশন স্লিপ গ্রহণ এবং রায় প্রদানের বিষয়টি কার্যকর হলে বিচারিক কার্যক্রমে গতি আসবে।
শনিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে ‘বিচার ব্যবস্থা সংস্কার ও জরুরি করণীয়: প্রসঙ্গ সুপ্রিম কোর্ট’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) এ সভার আয়োজন করে। সভায় দুর্নীতিমুক্ত কোর্ট ব্যবস্থাপনা, প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো গঠন, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থার প্রসার, আদালতের বেঞ্চ পুনর্গঠন নীতিমালা প্রণয়ন এবং দ্রুত রায়-আদেশ পাওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ওপর বক্তারা জোর দেন।
ব্লাস্টের নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় আলোচক ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম জামিউল হক ফয়সাল, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মোশাররফ হোসেন, ড. কাজী জাহেদ ইকবাল, এস হাসানুল বান্না, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য ব্যারিস্টার তানিম হোসাইন শাওন, ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম প্রমুখ।
ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, বার কাউন্সিলের অভিযোগ নিষ্পত্তিতে নিরপেক্ষতা ও কার্যকারিতার অভাব রয়েছে। অতীতের মতো শুনানির দিনেই আদেশ প্রস্তুত করার নিয়ম পুনরায় চালু হওয়া উচিত।
এম জামিউল হক ফয়সাল বলেন, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করতে হবে। ই-জুডিশিয়ারি ও ভার্চুয়াল কোর্টের বিস্তারে মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি।
ড. কাজী জাহেদ ইকবাল বলেন, হাইকোর্টের জামিন আদেশ স্থগিত না থাকলে কোনো আইনজীবী সনদ পাঠিয়ে জেলমুক্তি আটকে দিতে পারবেন না। এটি আইনসম্মত নয়। ব্যারিস্টার তানিম হোসাইন শাওন বলেন, অনেক সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব এবং তার জন্য সংবিধান বা আইন পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। প্রশাসনিক উদ্যোগে এগুলো বাস্তবায়ন করা জরুরি। ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, আদালতের স্থগিতাদেশ ছাড়া হাইকোর্টের বিচারাধীন মামলা স্থগিত রাখা উচিত নয়। এজন্য অনুশীলন নির্দেশনা থাকা প্রয়োজন।