খালেদা জিয়া হেঁটে জেলে গেছেন, স্বৈরাচার নির্যাতন করে হুইলচেয়ারে বসিয়ে দিয়েছে: ইকবাল হাসান মাহমুদ
Published: 9th, March 2025 GMT
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ (টুকু) বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। তাঁকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে দেওয়া হয়েছিল। তিনি পায়ে হেঁটে জেলে গেছেন; কিন্তু এই স্বৈরাচার ওনাকে নির্যাতন করে হুইলচেয়ারে বসিয়ে দিয়েছে।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে সিলেটে আজ রোববার বিকেলে আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন ইকবাল হাসান মাহমুদ। নগরের বালুচর এলাকার একটি অভিজাত কনভেনশন হলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় এ দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
ইফতার মাহফিলের আয়োজক ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এতে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছাড়াও সিলেটের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
ইফতার ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিতির একাংশ। আজ সন্ধ্যায় সিলেট নগরের পূর্ব শাহি ঈদগাহ এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত-পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে আবারও গোলাগুলি
ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে ফের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতে কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এনিয়ে টানা ছয় রাত কাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটল।
বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জম্মু ও কাশ্মীরের পারগওয়াল সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমান্তজুড়ে পাকিস্তানের দিক থেকে ভারী গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে প্রথমবার কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। সম্প্রতি অধিকৃত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
এদিকে পেহেলগামের ভয়াবহ ওই হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান।
তাছাড়া, হামলার পরে দুই দেশই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে কাশ্মীরের পেহেলগাম জেলার বৈসরণ তৃণভূমিতে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন, যাদের প্রায় সবাই পর্যটক। হামলার দায় স্বীকার করে রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নামে একটি সংগঠন। এটিকে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়্যেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে মনে করা হয়।
এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনকে আহত হন। যাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তারা সবাই পুরুষ। বস্তুত, ২২ এপ্রিলের হামলা ছিল ২০১৯ সালের পুলোয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা। বর্তমানে এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।