মায়ের মৃত্যুর তিন দিন পর কিশোরীকে ধর্ষণ, বাবা গ্রেপ্তার
Published: 9th, March 2025 GMT
রাজধানীর রামপুরায় ১৩ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে রামপুরায় থানায় নেওয়া হয়। কিশোরীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। বাবার পাশবিকতার ব্যাপারে পুলিশের কাছে লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছে কিশোরী।
রামপুরা থানার ওসি আতাউর রহমান সমকালকে জানান, রামপুরার পূর্ব হাজীপাড়ায় বউ বাজারে ভাড়া বাসায় থাকে ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার। বাবা ও দুই ভাই–বোনের সংসারে তাদের। শনিবার গভীর রাতে এক প্রতিবেশী বিষয়টি টের পান। এরপর কিশোরীকে উদ্ধার করতে পুলিশকে খবর দেন। সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
কিশোরীর জবানবন্দির ভিত্তিতে ওসি জানান, মাস খানেক আগে কিশোরীর মা মারা যান। মাকে হারানোর তিন দিনের মাথায় বাবা মেয়েকে ধর্ষণ করে। এমনকি যখন তার মা বেঁচে ছিলেন তখনও একাধিকার ধর্ষণের শিকার হয় সে। মেয়েটি যে বর্ণনা দিয়েছে তা ভয়াবহ। কারও বাবা এমন হতে পারে এটা চিন্তারও বাইরে।
ওসি বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির তিন সন্তানের মধ্যে অপর একজনে বয়স আড়াই বছর। আরেকজনের ৫ বছর। ঘটনার সময় ছোট দুই সন্তান ঘরেই ছিল। ওদের কিছু বোঝার মতো বয়স হয়নি। মা বেঁচে না থাকায় পুলিশের একজন নারী সদস্য বাদী হয়ে মামলা করেছেন। একাধিকবার মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন বাবা। তাকে মাদকাসক্ত বলে মনে হয়েছে। আসামি পেশায় রিকশাচালক। রংপুরের মিঠাপুকুরে তার গ্রামের বাড়ি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ভাগ্য ফেরাতে কিনছেন ‘ব্যাংকের মাটি’
ভাগ্য ফেরাতে মানুষ কত কিছুই না করে। যদিও সফলতা পেতে কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই। তবু কেউ কেউ খোঁজেন সহজ কোনো পথ। দ্বিতীয় শ্রেণির এই মানুষদের কথা ভেবে চীনে ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন কিছু সুযোগসন্ধানী। দেশটির বড় ব্যাংকগুলোর বাইরে থেকে মাটি সংগ্রহ করে অনলাইনে বিক্রি করছেন তাঁরা। এই মাটি নাকি ফেরাতে পারে ভাগ্য, এনে দিতে পারে সম্পদ—এমন বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে।
‘সৌভাগ্যের’ এই মাটিরও রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন দাম। যেমন একজন অনলাইন বিক্রেতা চীনের পাঁচটি বড় ব্যাংক—ব্যাংক অব চায়না, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না, অ্যাগ্রিকালচার ব্যাংক অব চায়না, চায়না কনস্ট্রাকশন ব্যাংক ও ব্যাংক অব কমিউনিকেশনসের আশপাশের মাটি বিক্রি করেন। সবচেয়ে কমে ৩ ডলারে পাওয়া যায় এই মাটি, সর্বোচ্চ বিক্রি হয় ১২০ ডলারে।
একজন বিক্রেতা বলেন, বড় পাঁচটি ব্যাংকের বাইরে থেকে তাঁরা নিজেরা মাটি সংগ্রহ করেন। সাধারণত এ কাজ করা হয় রাতে। ওই বিক্রেতা বলেন, বিশ্বাস করা হয়, এই মাটি সম্পদ বাড়িয়ে দেয় এবং অশুভ শক্তিকে দূরে রাখে। তবে এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয় বলেও স্বীকার করেন তিনি।
মাটি যে ‘খাঁটি’, তা প্রমাণের জন্য অনেক অনলাইন বিক্রেতা মাটি খোঁড়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন। এমনই এক ভিডিওতে একটি ব্যাংকের প্রবেশমুখে মাটির কনটেইনার হাতে একজনকে দেখা যায়। আরেক ভিডিওতে একজন বিক্রেতাকে গ্রাহকদের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আপনার জন্য মাটি খুঁড়ছি।’
এই মাটির একজন ক্রেতার সঙ্গেও কথা হয়েছে দেশটির একটি গণমাধ্যমের। পরিচয় প্রকাশ না করে ওই ব্যক্তি বলেন, তাঁর ব্যবসা রয়েছে। আশা করছেন এই মাটির মাধ্যমে ব্যবসার আরও আয়–উন্নতি হবে। তাঁর অনেক বন্ধুবান্ধবও ব্যাংকের মাটি কিনেছেন।
মাটি কিনে ভাগ্য বদলের বিষয়টি নিয়ে হাসিঠাট্টা করতেও ছাড়ছেন না অনেকে। যেমন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন লিখেছেন, ‘আমার বাড়ি তো ব্যাংকের পাশেই। তাহলে আমার ভাগ্যটা বদলাচ্ছে না কেন?’