টাকাই পারে মানুষের স্বপ্ন পূরণ করতে: বিদ্যা বালান
Published: 9th, March 2025 GMT
‘আই লাভ মানি। টাকা কে না ভালোবাসে, বলতে পারেন?’ মুচকি হেসে বললেন বিদ্যা বালান। গত বুধবার ভারতের একটি শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হলো এই বলিউড তারকার নাম। মুম্বাইয়ের একটি পাঁচতারা হোটেলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিদ্যা তাঁর জীবনে এবং একজন নারীর জীবনে অর্থ কতটা জরুরি, তা নিয়ে কথা বলেছেন।
খুব বাজে সময় পার করছিলাম। অর্থের শক্তি কতখানি, কয়েক বছর আগে বুঝেছি। আর অর্থ শুধু উপার্জন করলেই হবে না। নিজের অর্থের দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে। কীভাবে অর্থ ব্যয় করতে হবে, সাশ্রয় করতে হবে আর কীভাবে উপার্জিত অর্থ আরও বাড়ানো যায়, এসবও জানতে হবে।বিদ্যা বালানকোনো রাখঢাক নেই। শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ায় দারুণ খুশি অভিনেত্রী। জানালেন, দীর্ঘদিনের একটা ইচ্ছা পূরণ হলো। এ প্রসঙ্গে বিদ্যা বলেন, ‘২০১১ সালে “দ্য ডার্টি পিকচার” মুক্তির পর আমি অনেক “এনডোর্সমেন্ট”-এর প্রস্তাব পেয়েছিলাম। শুধু গাড়ি আর ব্যাংকের পাইনি। আমি তখন সত্যি অবাক হয়েছিলাম। আজ আমার সেই ইচ্ছা পূরণ হলো।’
বিদ্যার মতে, প্রত্যেক নারীরই আর্থিক স্বাধীনতার খুব প্রয়োজন। কেননা তিনি মনে করেন, টাকাই পারে মানুষের স্বপ্ন পূরণ করতে।
বিদ্যা বালান। এএফপি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল কর্মী নিহত
নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া বালুর মাঠ এলাকায় ছুরিকাঘাতে অপূর্ব নামের এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়েছেন। তিনি পঞ্চবটির বিসিক শিল্পনগরীর টি-শার্ট গার্মেন্টসের শ্রমিক ছিলেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজিত ছাত্রদলের মিছিল শেষে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রদল কর্মীরা সম্রাট নামের একজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা নিহত ও হামলাকারী দুইজনকেই ছাত্রদল কর্মী বললেও, স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, হামলাকারী বিএনপির কেউ না। তাদের কর্মসূচি বানচাল করতে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া মোহাম্মদ ইয়ামিন জানান, ধর্ষণের প্রতিবাদে ছাত্রদলের মিছিলের কর্মসূচি শেষ করে তারা চাষাড়াস্থ শহীদ মিনারের পেছন দিয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় তিনি দেখতে পান, পপুলারের পেছন দিকে নিহত অপূর্ব ও হামলাকারী সম্রাটের মধ্যে বাকবিতণ্ডা চলছে। এক পর্যায়ে দুইজনের মধ্যে হাতাহাতি লেগে যায়। এসময় তিনি অপূর্বকে মাটিতে পড়ে যেতে দেখেন। পরে তার বুকে ছুরিবিদ্ধ দেখতে পান।
তিনি জানান, হামলার পরে সম্রাট পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে ধরে গণপিটুনি দেয়। তাকে ছাড়িয়ে নিতে তার ভাই আসলে তাকেও গণপিটুনি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে সম্রাটকে উদ্ধার করে। এসময় অপূর্বকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ও সম্রাটকে পুলিশ নারায়ণগঞ্জ তিনশ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক অপূর্বকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা মাসদাইর জামালের গ্যারেজ এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ খোকন ও নিহতের স্ত্রী সাথী আক্তার জানান, নিহত যুবক বিসিকের টি-শার্ট গার্মেন্টসের শ্রমিক। তিনি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবচেয়ে ছোট ছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার জাবুটিয়া গ্রামে। কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা তারা বুঝতে পারছেন না।
হাসপাতালে সম্রাট হোসেন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জানান, যারা হামলা করেছিল তারা চলে গেছে। তিনি শহীদ মিনারের পাশের বেইলি টাওয়ারের একটি ফাস্টফুডের দোকানের কর্মচারী।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু জানান, সারাদেশে ধর্ষণের বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে ধর্ষণকারীদের বিচারের দাবিতে ছাত্রদলের মিছিলে নিহত অপূর্ব এসেছিল। যে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে তিনি বিএনপির কেউ না। আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাদের কর্মসূচি বাতিল করতে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।