যে কাজের পর নাঈম শেখের ব্যাটে ছুটছে রানের ফোয়ারা
Published: 9th, March 2025 GMT
সবশেষ লাল-সবুজের জার্সিতে মোহাম্মদ নাঈম শেখকে দেখা গেছে ওয়ানডে সংস্করণে। দেড় বছর আগে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে। টি-টোয়েন্টি খেলেছেন শেষ ওয়ানডে খেলার এক বছর আগে। আর একমাত্র টেস্ট খেলেন ২০২২ সালের জানুয়ারিতে।
লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও নাঈম শেখ আসল কাজটাই করেছেন। নিজেকে ভেঙেছেন, গড়েছেন। তাতে ধারাবাহিকভাবে হাসছে তার ব্যাট, ছুটছে রানের ফোয়ারা। একটু পরিসংখ্যানে চোখ বুলানো যাক।
২০২৪ সালের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ৫৩৬ রান করে হয়েছিলেন পঞ্চম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। বছরের শেষে এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে ৩১৬ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক আর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ৫১১ রান করে ছিলেন সবার ওপরে। এবার চলমান ঢাকা লিগে ১৭৬ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেললেন প্রাইম ব্যাংকের এই ক্রিকেটার।
আরো পড়ুন:
বৃথা গেল আল-আমিনের সেঞ্চুরি, আবাহনীর জয়
নাঈম শেখের ১৭৬, দলের জয়ের ব্যবধান ১৭৩
অফ ফর্মের কারণে নাঈম জাতীয় দলের ছিলেন আসা-যাওয়ার মধ্যে। তানজীদ হাসান তামিমরা রান করার পর আর জায়গা পাননি জাতীয় দলে। ব্যাটিংয়ে ছিল কৌশলগৎ সমস্যা। ফুটওয়ার্ক ছিল বাজে। নাঈম এসব নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করে বাইশ গজে রানের দেখা পাচ্ছেন।
১৭৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পর নিজের কাজ নিয়ে নাঈম সংবাদমাধ্যমে বলেন, “ফুটওয়ার্ক নিয়ে…দুই বছর যেভাবে কাজ করতেছি, এখনও একই প্রসেসে ব্যাটিং করেছি। হয়তো বেশি এক্টিভ মনে হয়েছে।”
“অবশ্যই। কাভার, এক্সট্রা কাভার নিয়ে আমি বেশ কিছুদিন ধরে কাজ করছি। এনসিএল থেকে এ জিনিসগুলো করতেছি। কিছু কিছু স্পেসিফিক জায়গা থাকে, যেখানে রান করলে ভালো লাগে। চেষ্টা করতেছিলাম যেন মিস না হয়”-আরও যোগ করেন নাঈম।
নাঈমের ১২৫ বলের ইনিংসটি ছিল চোখ ধাঁধানো। ১৮টি চার ও ৮টি ছক্কায় সাজানো। ৩৮ বলে ফিফটির পর ৮২ বলে সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরির পর ৪৩ বলে করেছেন ৭৬ রান। অল্পের জন্য পাননি ডাবল সেঞ্চুরি। আউট হওয়ার পর হতাশাও কাজ করছিল, কিন্তু এই নিয়ে কোনো আক্ষেপ কাজ করছে না।
নাঈম বলেন, “ওই সময় মনে হচ্ছিল আরেকটু মনোযোগ থাকলে ভালো। আমি ৩৬–৩৭ ওভারের সময় আউট হইছি, হয়তো ৪৪–৪৫ ওভার পর্যন্ত যেতে পারলে আলাদা কিছু করতে পারতাম।”
“আক্ষেপ নাই। ১৭৬ করতে পেরে ভালো লাগছে। কোনো আক্ষেপ নাই।”
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক জ কর র ন কর
এছাড়াও পড়ুন:
আর্সেনালকে তাদের মাঠে হারিয়ে ফাইনালের পথে পিএসজি
এমিরেটস স্টেডিয়ামে ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আর্সেনালের দুর্দান্ত রেকর্ড। তবে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে সেই দুর্গে আঘাত হানল প্যারিস সাঁ জার্মেই (পিএসজি)। উসমান দেম্বেলের একমাত্র গোলে ১-০ ব্যবধানে জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের পথে এক পা এগিয়ে রাখল ফরাসি জায়ান্টরা।
খেলার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল পিএসজি। ম্যাচের মাত্র চতুর্থ মিনিটেই গোল করে দলকে এগিয়ে নেন দেম্বেলে। তার দূরপাল্লার শটে কোনো সুযোগই ছিল না গোলরক্ষকের। প্রথমার্ধজুড়ে সমতায় ফেরার চেষ্টা করেছে মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা। তবে গোলের সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন বুকায়ো সাকা ও গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলি। ফলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় অতিথিরা।
বিরতির পর গোল পেয়েও হতাশ হতে হয় স্বাগতিকদের। ডেকলান রাইসের পাস থেকে মিকেল মেরিনোর হেড গোলে পরিণত হলেও অফসাইডের কারণে বাতিল হয় সেই গোল। এরপর ৫৬ মিনিটে দুর্দান্ত এক সেভে আর্সেনালকে আবারও হতাশ করেন পিএসজি গোলরক্ষক দোনারুম্মা।
শেষদিকে আর্সেনাল যেমন সমতায় ফিরতে ব্যর্থ হয়, তেমনি বার্কোলা ও গঞ্জালো রামোসের প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হওয়ায় ব্যবধান বাড়াতে পারেনি পিএসজি। তবে এক গোলের জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাদের।
আগামী ৮ মে ফিরতি লেগে পিএসজির ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সে মুখোমুখি হবে দুই দল। সেদিনই নির্ধারিত হবে কারা পা রাখবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে।