গেটাফের কাছে হেরে অ্যাথলেটিকোর শিরোপার লড়াইয়ে হোঁচট
Published: 9th, March 2025 GMT
চলতি মৌসুমে লা লিগার শিরোপা উৎসব জমে উঠেছে। জমে উঠেছে পা পিছলে যাওয়া ও কামব্যাকের লড়াই। হোঁচট খাওয়া বার্সেলোনা যেমন পুনরায় টেবিলে শীর্ষে উঠেছে।
অন্য দিকে হোঁচট খেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। শীর্ষস্থান হারিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল। এবার আবার গেটাফের বিপক্ষে ধাক্কা খেলো অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। ২-১ গোলে হেরে শিরোপা লড়াইয়ে বার্সেলোনাকে এগিয়ে দিল তারা।
রোববার লা লিগার ম্যাচে গেটাফের মাঠে ৭৮ মিনিটে লিড নেয় অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। অ্যালেক্সজান্ডার সর্লথ পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন।
কিন্তু ৮৮ মিনিটে অ্যাঞ্জেল কোরেইরার লাল কার্ডে ধাক্কা খায় রোজি ব্লাঙ্কোসরা। গোল দিয়ে ম্যাচে সমতায় ফেরে গেটাফে। যোগ করা সময়ে দ্বিতীয় গোল করে উরুগুইয়ার মিডফিল্ডার মাউরো আরামবারি গেটাফেকে জেতান।
এ নিয়ে অ্যাথলেটিকো শেষ পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে পয়েন্ট হারাল। অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ পয়েন্ট টেবিলে দুইয়ে থাকলেও বার্সার চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে ১ পয়েন্টে পিছিয়ে থাকল।
রায়ো ভায়োকানোর বিপক্ষে খেলছে রিয়াল মাদ্রিদ। ব্লাঙ্কোসরা ওই ম্যাচে জিতলে অ্যাথলেটিকোর সমান ম্যাচ খেলে তাদের চেয়ে এক পয়েন্টে এগিয়ে যাবে। রিয়ালও আগের পাঁচ ম্যাচের চারটিতে পয়েন্ট হারিয়ে শীর্ষস্থান খুইয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আশুলিয়ায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, ককটেল ফাটিয়ে স্বর্ণালংকার লুট
সাভারের আশুলিয়ায় দোকান বন্ধের সময় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতরা ককটেল ফাটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে ওই ব্যবসায়ীর স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে।
রোববার রাতে আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম দিলীপ কুমার দাস (৪৮)। সে আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের দুলাল দাসের ছেলে এবং নয়ারহাট বাজারের দিলীপ স্বর্ণালয়ের মালিক।
জানা যায়, ডাকাতদের হামলায় আহত ওই ব্যবসায়ীকে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান।
পুলিশ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানায়, স্বর্ণ ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার দাস রাতে দোকান বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় একদল ডাকাত দোকানে এসে দিলীপের হাতে থাকা স্বর্ণের ব্যাগ ধরে টান দেয় । এতে তিনি বাধা দিলে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে টাকার ব্যাগ ও সেখানে থাকা প্রায় ২৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতরা কয়েকটি ককটেল বোমা ফাটিয়ে বাজারে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ঘটনার পর বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা সেখানে ছুটে এসে দিলীপ দাসকে দোকানের সামনে পড়ে থাকতে দেখে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে তিনি মারা যান।
নিহতের ফুপাতো ভাই খোকন সরকার বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে দোকান বন্ধ করে শাটার নামানোর সময় কয়েকজন ডাকাত তার হাতে থাকা ব্যাগ ধরে টান দেয়। কিন্তু দিলীপ ব্যাগ না ছাড়ায় চাপাতি দিয়ে তাকে কুপিয়ে স্বর্ণ এবং টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।
নিহতের স্ত্রী সরস্বতী দাশ বলেন, আমার স্বামী প্রতিদিন ৯টার মধ্যে বাসায় আসতো। কিন্তু ওরা আর আমার স্বামীকে বাসায় আসতে দিল না। আমি এ হত্যার বিচার চাই।
সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মেরাজুর রেহান পাভেল জানান, আহত অবস্থায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বুকে বড় ক্ষত ছিল, গালের ডানে ক্ষত ছিল এবং পিঠেও ক্ষত ছিল। আমরা চিকিৎসা শুরু করেছিলাম, স্যালাইন এবং ওষুধ চলছিল, পরে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যেই তিনি মারা যান। আমরা ধারনা করছি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তিনি মারা গেছেন।
আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। দোষীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধারে আমাদের কার্যক্রম চলছে।