পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরের ঘি ১ হাজার ১৮০০ টাকায় বিক্রি করায় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার দুপুরে উপজেলা সদরের চৌবাড়ীয়ার দক্ষিণপাড়ায় অবস্থিত ‘ঘি বাড়ি’ নামের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমীয়া আক্তার। অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলার স্বাস্থ্য পরিদর্শক নুরুল ইসলাম ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

ভ্রাম্যমাণ আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গুড়া উপজেলার ১২২টি গ্রামে প্রায় দেড় লাখ লোকের বসবাস। তাঁদের অর্ধেকের বেশি গরুর খামার ও দুগ্ধ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। এ উপজেলায় প্রায় পাঁচ হাজার দুগ্ধ খামার আছে। এসব খামার থেকে প্রতিদিন লক্ষাধিক লিটার দুধ উৎপাদিত হয়। উৎপাদিত দুধের প্রায় ৭৫ শতাংশ সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সংগ্রহ করে। বাকি ২৫ শতাংশ দুধে স্থানীয়ভাবে ঘি ও মিষ্টান্ন তৈরি করা হয়। উপজেলার উৎপাদিত ঘি ও মিষ্টি পণ্য দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হয়। ফলে এ এলাকার ঘি ও মিষ্টান্নের বেশ সুনাম ও চাহিদা আছে। আর এ সুযোগেই একটি অসাধু চক্র ভেজাল ঘি তৈরি ও বেশি দামে ঘি বিক্রি করে অতিরিক্ত মুনাফা করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলা সদরের ‘ঘি বাড়ি’ নামের একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরের ঘি ১ হাজার ৮০০ টাকা দরে বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির মালিক সাইফুল ইসলামকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘিয়ের মান যাচাই–বাছাই করতে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।

অভিযান দলে থাকা উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক নুরুল ইসলাম বলেন, ঘি প্যাকেটজাত করার সময় মূল্য বেশি লেখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা আদায় করেছেন। সেই সঙ্গে ঘিয়ের নমুনা সংগ্রহ করে গুণগত মান পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ করতে এ অভিযান চলমান থাকবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উৎপ দ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

এখনও চলছে কাটপিস আমলের সিনেমা!

ঈদে সাধারণত নতুন ও বড় বাজেটের সিনেমা মুক্তি পেয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিতায় এবার মুক্তি পেয়েছে পাঁচটি সিনেমা। সারাদেশের প্রেক্ষাগৃহে চলছে সিনেমাগুলো। ঈদ উৎসবের ডামাডোলেও খোদ রাজধানীতে চলছে কাটপিস আমলের সিনেমা! কয়েকটি সিনেমা হলে ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

ব্যস্ততম এলাকা ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হলে চলছে ঈদের আলোচিত সিনেমা ‘বরবাদ’। মেহেদি হাসান হৃদয়ের সিনেমাটি ব্যবসা সফল সিনেমা তালিকায় চলে এসেছে। এর পাশের হল ছন্দতে চলছে বাবুল রেজা পরিচালিত সিনেমা ‘ওপেন চ্যালেঞ্জ’। এতে অভিনয় করেছেন আমিন খান, একা ও আলেকজান্ডার বো। ঈদ উৎসবেও পুরোনো সিনেমা প্রদর্শনীর বিষয়ে ছন্দ হল ম্যানেজার মো. মঞ্জু বলেন, ‘পুরোনো সিনেমার আলাদা দর্শক রয়েছে। এ কারণে পুরোনো সিনেমা চালাচ্ছি। তাছাড়া নতুন সিনেমা আনতে গেলে অনেক টাকা প্রয়োজন। হলের অবস্থা খারাপ। টাকা উঠাতে পারব না। বাধ্য হয়েই পুরোনো সিনেমা দর্শকদের দেখাচ্ছি।’

আনন্দ সিনেমা হলে আসন সংখ্যা ১২০০। সেখানের আজ সন্ধ্যা ৬টায় ‘বরবাদ’-এর শোতে দর্শক ছিল প্রায় ২০০। ঈদে মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে দর্শক হলেও সিঙ্গল স্ক্রিনে দর্শক পাওয়া যাচ্ছে না। দর্শক না হওয়ার  কারণে হিসেবে হলের দুরবস্থাকেই দায়ী করল আনন্দ হল কর্তৃপক্ষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, ‘সিনেমা হলের ১২০০ চেয়ারের মধ্যে অর্ধেকই খারাপ। দর্শক কি খারাপ চেয়ারে বসে সিনেমা দেখবেন! পরিবেশও নোংরা। দর্শক তো ভালো পরিবেশে সিনেমা দেখতে চান।  এ কারণে ক্রমেই কমছে দর্শক।’

ছন্দ হলের টিকিট বিক্রেতা কালাম বলেন, ‘দর্শক কমে যাওয়ার কারণে আয় কমে যাচ্ছে। এখন ডিসি ৭০ টাকা ও রিয়েল ৫০ টাকা করে বিক্রি করছি। নিম্ন আয়ের মানুষই পুরোনো সিনেমার দর্শক। দর্শক না হলে অনেক সময় শোই চলছে না। এ কারণে তিন মাস ধরে বিদ্যুৎ বিল দিতে পারছি না। হলের এ রকম খারাপ অবস্থা আগে কখনও দেখিনি।’

ঈদ উপলক্ষে কাঁচপুরের চাঁদমহল সিনেমা হলে চলছে শাকিব খানের সিনেমা ‘বরবাদ’। একই এলাকার লাভলী হলে চলেছে শরীফ উদ্দিন খান দীপু পরিচালিত ‘দুর্ধর্ষ খুনী’। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন আমিন খান, মুনমুন ও ডিপজল। 

লাভলী হলে ‘দুর্ধর্ষ খুনী’ সিনেমা দেখতে এসেছিলেন শিক্ষার্থী আবুল ফয়েজ। তিনি বলেন, ‘ঈদে নতুন সিনেমা মুক্তি পেলেও পুরোনো সিনেমা দেখতে হয়; এটাই দুর্ভাগ্য। দর্শক সবসময় ভালো সিনেমা দেখতে চান। অশ্লীল যুগের সিনেমা বাধ্য হয়ে দেখছেন দর্শক। জালকুড়ির রাজমহল সিনেমা হলে চলছে আজাদ খান পরিচালিত সিনেমা ‘ক্রসফায়ার’। এতে অভিনয় করেছেন আসিফ খান ও ময়ূরী। 
  
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এখনও চলছে কাটপিস আমলের সিনেমা!
  • গাজীপুরে বাটা শো রুমে ভাঙচুর, ১২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষার খাতা চ্যালেঞ্জে আবেদন শুরু, ফি ১২০০