গাজায় বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে হামাসের সাথে সরাসরি মার্কিন বৈঠক অত্যন্ত ‘ফলপ্রসু’ ছিল। রবিবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত অ্যাডাম বোহলার এ মন্তব্য করেছেন।

সিএনএন-এর স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন প্রোগ্রামে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অ্যাডাম বোহলার জানান, তিনি বিশ্বাস করেন যে ‘কয়েক সপ্তাহের মধ্যে গাজা নিয়ে কিছু একটা হতে পারে।’ তবে তিনি বিস্তারিত বলেননি।

জিম্মি আমেরিকানদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে শনিবার দোহায় হামাসের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকে বসেছিলেন অ্যাডাম বোহলার। 

তিনি বলেন, “আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমরা ইসরায়েলের এজেন্ট নই। আমাদের কর্মকাণ্ডের মধ্যে নির্দিষ্ট আগ্রহ রয়েছে এবং আমরা বারবার যোগাযোগ করেছি।”

হামাসের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি যা করতে চেয়েছিলাম তা হল কিছু আলোচনা দ্রুত শুরু করা যা খুবই নাজুক অবস্থায় ছিল। আর আমি হামাসকে বলতে চেয়েছিলাম, এখানে তুমি কী শেষ খেলা চাও?”

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য এই সপ্তাহে মার্কিন দূতরা মধ্যপ্রাচ্যে যাবেন। বোহলার জানান, তিনি বিশ্বাস করেন যে এমন একটি চুক্তিতে পৌঁছানো যেতে পারে যেখানে কেবল ছিটমহলে বন্দি আমেরিকানদের নয়, সব বন্দিকে মুক্তি দেওয়া যেতে পারে।

২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েল সীমান্ত থেকে ২৫০ জনকে জিম্মি করে হামাস। এরপর গাজায় নির্বিচারে হামলা চালায় ইসরায়েল। গত ১৯ জানুয়ারি হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে সংঘর্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিত আছে। প্রথম ধাপে ৩৩ জন ইসরায়েলি ও পাঁচজন থাই জিম্মিকে ছেড়ে দেয় হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলি বন্দিশালা থেকে প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ব হল র

এছাড়াও পড়ুন:

আশুলিয়ায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, ককটেল ফাটিয়ে স্বর্ণালংকার লুট

সাভারের আশুলিয়ায় দোকান বন্ধের সময় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতরা ককটেল ফাটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে ওই ব্যবসায়ীর স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে।

রোববার রাতে আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম দিলীপ কুমার দাস (৪৮)। সে আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের দুলাল দাসের ছেলে এবং নয়ারহাট বাজারের দিলীপ স্বর্ণালয়ের মালিক। 

জানা যায়, ডাকাতদের হামলায় আহত ওই ব্যবসায়ীকে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান।

পুলিশ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানায়, স্বর্ণ ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার দাস রাতে দোকান বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় একদল ডাকাত দোকানে এসে দিলীপের হাতে থাকা স্বর্ণের ব্যাগ ধরে টান দেয় । এতে তিনি বাধা দিলে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে টাকার ব্যাগ ও সেখানে থাকা প্রায় ২৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতরা কয়েকটি ককটেল বোমা ফাটিয়ে বাজারে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ঘটনার পর বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা সেখানে ছুটে এসে দিলীপ দাসকে দোকানের সামনে পড়ে থাকতে দেখে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে তিনি মারা যান।

নিহতের ফুপাতো ভাই খোকন সরকার বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে দোকান বন্ধ করে শাটার নামানোর সময় কয়েকজন ডাকাত তার হাতে থাকা ব্যাগ ধরে টান দেয়। কিন্তু দিলীপ ব্যাগ না ছাড়ায় চাপাতি দিয়ে তাকে কুপিয়ে স্বর্ণ এবং টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।

নিহতের স্ত্রী সরস্বতী দাশ বলেন, আমার স্বামী প্রতিদিন ৯টার মধ্যে বাসায় আসতো। কিন্তু ওরা আর আমার স্বামীকে বাসায় আসতে দিল না। আমি এ হত্যার বিচার চাই।

সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মেরাজুর রেহান পাভেল জানান, আহত অবস্থায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বুকে বড় ক্ষত ছিল, গালের ডানে ক্ষত ছিল এবং পিঠেও ক্ষত ছিল। আমরা চিকিৎসা শুরু করেছিলাম, স্যালাইন এবং ওষুধ চলছিল, পরে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যেই তিনি মারা যান। আমরা ধারনা করছি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তিনি মারা গেছেন। 

আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। দোষীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধারে আমাদের কার্যক্রম চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ