অন্তর্বর্তী পরিষদ পুনর্গঠন প্রশ্নে রুল, দুজন সদস্যের কার্যক্রম পরিচালনা স্থগিত
Published: 9th, March 2025 GMT
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ পুনর্গঠনসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের দুজন সদস্যের কার্যক্রম পরিচালনা তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার রুলসহ আদেশ দেন। যে দুজন সদস্যের কার্যক্রম পরিচালনায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন প্রণতি রঞ্জন খীসা ও রাঙাবী তঞ্চঙ্গ্যা।
এর আগে গত বছরের ৭ নভেম্বর রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ পুনর্গঠন করে প্রজ্ঞাপন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। রাঙামাটি পার্বত্য জেলার ১০টি উপজেলা থেকে প্রতিনিধি না নেওয়া, হত্যা মামলার আসামি এবং একই পরিবারের একাধিক সদস্যকে নিয়ে জেলা পরিষদ পুনর্গঠনের অভিযোগ তুলে ৭ নভেম্বরের প্রজ্ঞাপনের বৈধতা নিয়ে গত জানুয়ারি মাসে রিটটি করা হয়। রাঙামাটির চার উপজেলাবাসীর পক্ষে আইনজীবী রাজীব চাকমাসহ চার ব্যক্তি রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো.
পরে আদেশের বিষয়টি জানিয়ে আইনজীবী মো. সুলতান উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ১০টি উপজেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে পরিষদে একজন প্রতিনিধি থাকার কথা। তবে ১৪ সদস্যের মধ্যে ৯ জনই রাঙামাটি সদর উপজেলার। বাকি পাঁচজনের তিনজন সংরক্ষিত। একজন হত্যা মামলার আসামি। হাইকোর্ট রুল দিয়ে দুজন (প্রণতি রঞ্জন খীসা ও রাঙাবী তঞ্চঙ্গ্যা) সদস্যের কার্যক্রম পরিচালনা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। ফলে তাঁরা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন না।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরো ১ জনের মৃত্যু
গাজীপুরের বাসন থানা এলাকায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ঘটনায় তাসলিম আক্তার (৩০) নামে একজন মারা গেছেন। বিস্ফোরণের এই ঘটনায় দগ্ধ ২ জন মারা গেলেন।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে গতকাল সকাল ১০টার দিকে সীমা আক্তার (৩০) নামে একজন মারা যান।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মোহাম্মদ শাওন বিন রহমান রাইজিংবিডিকে জানান, আগুনে তাসলিমা আক্তারের শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিলো। এ ঘটনায় দগ্ধ পারভীন আক্তার (৩৫), তানজিলা (১০) ও আইয়ান নামে দেড় বছরের এক শিশু হাসপাতালে ভর্তি আছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এর আগে ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় গাজীপুরের বাসন থানা এলাকায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচ জন দগ্ধ হন। রাত ১১টার দিকে তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসক জানিয়েছেন, আগুনে পারভীনের ৩২ শতাংশ, তানজিলার ৯০ শতাংশ, আয়ানের ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
তাদের আত্মীয় মফিজুল ইসলাম জানান, ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে রান্না করার জন্য চুলা জ্বালালে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন ধরে যায়। ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাসের আগুনে প্রায়ই দগ্ধ হচ্ছে মানুষ। তাদের অনেকে চিকিৎসা নিতে ঢাকায় আসছেন। কিন্তু সবাইকে বাঁচানো যাচ্ছে না বলে জানান চিকিৎসকরা।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের হিসাবে, শুধু ২০২৪ সালে আগুনে দগ্ধ হয়ে ১২ হাজার ৮১১ জন রোগী জরুরি বিভাগে এসেছিলেন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হন ৪৬৮০ জন রোগী। ভর্তি রোগীদের মধ্যে মারা যান ১০০২ জন। অর্থাৎ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকা/ইভা