বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক বলেন, একশ্রেণির ধর্মবিদ্বেষী ইমানদার মুসলমানদের বিভিন্ন উপায়ে উসকানি দেন। সরকার এসব উসকানিদাতার বিরুদ্ধে যথাসময়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারছে না। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারের পদক্ষেপ উল্টো। সরকারের প্রতি তাঁদের আহ্বান, প্রশাসনের পদক্ষেপে যেন ইসলামবিরোধীরা আশকারা না পান।

আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে দেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মামুনুল হক এ কথা বলেন। দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

মামুনুল হক বলেন, সম্প্রতিক সময়ে অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ও ইসলামিক সংস্কৃতিকে অবজ্ঞা করার প্রবণতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। শাহবাগের পরাজিত চেতনাধারীরা বিভিন্ন নামে-বেনামে ইসলামি মূল্যবোধে আঘাত দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। তিনি বলেন, মুসলমানদের কাছে রমজান অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত মাস। তিনি বিশেষভাবে এই মাসে সব ধরনের ‘বেহায়াপনা ও অশ্লীলতা’ বন্ধ রাখার জন্য আহ্বান জানিয়ে বলেন, তারপরও একশ্রেণির ধর্মবিদ্বেষী ইমানদার মুসলমানদেরকে বিভিন্ন উপায়ে উসকানি দেন। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে সচেতনতার সঙ্গে এসব উসকানির জবাব দিতে হবে।

সম্প্রতি নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘অদম্য নারী’ পুরস্কার দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে মামুনুল হক বলেন, ‘এ ধরনের প্রমোট নারীত্বের প্রকৃত মর্যাদা ও স্বাভাবিক পরিচয়কে বিকৃত করার অপপ্রয়াস এবং নারী সমাজের প্রতি চরম অবমাননাকরও বটে।’

মামুনুল হক বলেন, অবিলম্বে এ পুরস্কার বাতিল করতে হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক, সমাজবিরোধী ও ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকতে হবে।

মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মামুনুল হক বলেন, শিশুটির সর্বোচ্চ চিকিৎসা–সেবা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি অবিলম্বে অপরাধীদের যথাযথ দৃষ্টান্তমূলক বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র উসক ন ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

আশুলিয়ায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, ককটেল ফাটিয়ে স্বর্ণালংকার লুট

সাভারের আশুলিয়ায় দোকান বন্ধের সময় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতরা ককটেল ফাটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে ওই ব্যবসায়ীর স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে।

রোববার রাতে আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম দিলীপ কুমার দাস (৪৮)। সে আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের দুলাল দাসের ছেলে এবং নয়ারহাট বাজারের দিলীপ স্বর্ণালয়ের মালিক। 

জানা যায়, ডাকাতদের হামলায় আহত ওই ব্যবসায়ীকে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান।

পুলিশ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানায়, স্বর্ণ ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার দাস রাতে দোকান বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় একদল ডাকাত দোকানে এসে দিলীপের হাতে থাকা স্বর্ণের ব্যাগ ধরে টান দেয় । এতে তিনি বাধা দিলে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে টাকার ব্যাগ ও সেখানে থাকা প্রায় ২৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতরা কয়েকটি ককটেল বোমা ফাটিয়ে বাজারে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ঘটনার পর বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা সেখানে ছুটে এসে দিলীপ দাসকে দোকানের সামনে পড়ে থাকতে দেখে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে তিনি মারা যান।

নিহতের ফুপাতো ভাই খোকন সরকার বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে দোকান বন্ধ করে শাটার নামানোর সময় কয়েকজন ডাকাত তার হাতে থাকা ব্যাগ ধরে টান দেয়। কিন্তু দিলীপ ব্যাগ না ছাড়ায় চাপাতি দিয়ে তাকে কুপিয়ে স্বর্ণ এবং টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।

নিহতের স্ত্রী সরস্বতী দাশ বলেন, আমার স্বামী প্রতিদিন ৯টার মধ্যে বাসায় আসতো। কিন্তু ওরা আর আমার স্বামীকে বাসায় আসতে দিল না। আমি এ হত্যার বিচার চাই।

সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মেরাজুর রেহান পাভেল জানান, আহত অবস্থায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বুকে বড় ক্ষত ছিল, গালের ডানে ক্ষত ছিল এবং পিঠেও ক্ষত ছিল। আমরা চিকিৎসা শুরু করেছিলাম, স্যালাইন এবং ওষুধ চলছিল, পরে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যেই তিনি মারা যান। আমরা ধারনা করছি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তিনি মারা গেছেন। 

আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। দোষীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধারে আমাদের কার্যক্রম চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ