Risingbd:
2025-04-29@18:58:38 GMT

কারা এই আলাউই?

Published: 9th, March 2025 GMT

কারা এই আলাউই?

সিরিয়ার নতুন শাসক আল–শারার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের আলাউই সম্প্রদায়ের যোদ্ধাদের সংঘর্ষে হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। হঠাৎ করেই গত সপ্তাহে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত। কারা এই আলাউই সম্প্রদায়, তাদের ওপর নতুন সরকারের এতো ক্ষোভই বা কেন?

সিরিয়ার আলাউইরা একটি ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১২ শতাংশ তারা। শিয়া ইসলাম থেকে উদ্ভূত, তাদের স্বতন্ত্র বিশ্বাস এবং আচার-অনুষ্ঠান রয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে, আলাউইরা সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে, বিশেষ করে লাতাকিয়া এবং তারতুস প্রদেশে কেন্দ্রীভূত।

২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে সিরিয়া শাসনকারী আসাদ পরিবার আলাউই সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। তাদের শাসনামলে আলাউইরা সামরিক বাহিনী এবং সরকারে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিল। 

আসাদ পরিবারের অনুগত সশস্ত্র যোদ্ধারা সম্প্রতি দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর আকস্মিক হামলা চালায়। এতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার আসাদের অনুগত সশস্ত্র ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। একইসময় সশস্ত্র সুন্নি গোষ্ঠীগুলো আলাউইদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ড শুরু করে। এ ঘটনা সিরিয়ার সাম্প্রদায়িক বিভাজনকে আরো গভীর করে তোলে। এই উত্তেজনা বৃদ্ধি আসাদকে ক্ষমতা থেকে অপসারণে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালনকারী হায়াত তাহরির আল-শামের কর্তৃত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আলাউই গ্রামগুলোতে ভয়াবহ দৃশ্যের বর্ণনা দিয়েছেন, যেখানে বন্দুকধারীরা রাস্তায় অথবা তাদের দরজায় বেসামরিক নাগরিকদের, যাদের বেশিরভাগই পুরুষ, হত্যা করেছে। ঘরবাড়ি লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়, যার ফলে হাজার হাজার মানুষ নিকটবর্তী পাহাড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলির মধ্যে একটি, বানিয়াস, বেশ কয়েকটি নৃশংস হামলার সাক্ষী হয়েছে।
 
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মৃতদেহ এবং ছাদে পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়েছেন। কিছু ক্ষেত্রে, বন্দুকধারীরা স্থানীয়দের তাদের প্রতিবেশীদের মৃতদেহ সংগ্রহ করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাধা দিয়েছিল।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সম্পর্কের ৫০ বছর: বাংলাদেশে প্রথমবার চীনা ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী

বাংলাদেশ ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকায় প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে চীনা ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টাশালী এক্সিবিশন হলে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় এই প্রদর্শনীর।

‘দ্য ল্যানটিং লিগ্যাসি’ প্রতিপাদ্যে সাত দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী যৌথভাবে আয়োজন করেছে বাংলাদেশে চীনা দূতাবাস, বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন চীনা দূতাবাসের অ্যাটাশে সুন খ্যংনিং ও বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম জাহাঙ্গীর আলম রানা।

উদ্বোধনী বক্তৃতায় সুন খ্যংনিং বলেন, “আমরা এই বছর প্রথমবারের মতো চীনা ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছি। তাড়াহুড়া করে এই আয়োজন করা হয়েছে, তাই সুন্দরভাবে আয়োজন করতে পারিনি। এর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী; তবুও আশা করি, দর্শকরা চীনা ক্যালিগ্রাফির সৌন্দর্য উপভোগ করবেন।”

চীন-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকীতে দুই দেশের সম্পর্ক আরো উচ্চ স্তরে পৌঁছাবে এবং গভীর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। 

জাহাঙ্গীর আলম রানা বলেন, চীনা ক্যালিগ্রাফি তিন হাজার বছরের পুরোনো। তুলি, কালি, কলম ও কাগজ দিয়ে চীনা শিল্পীরা নান্দনিক ক্যালিগ্রাফি তৈরি করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে চীনা ক্যালিগ্রাফিভক্ত লিউ চেন, কো তাহাই, হু সংসহ বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউটের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/হাসান/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ