Risingbd:
2025-04-09@09:42:18 GMT

কারা এই আলাউই?

Published: 9th, March 2025 GMT

কারা এই আলাউই?

সিরিয়ার নতুন শাসক আল–শারার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের আলাউই সম্প্রদায়ের যোদ্ধাদের সংঘর্ষে হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। হঠাৎ করেই গত সপ্তাহে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত। কারা এই আলাউই সম্প্রদায়, তাদের ওপর নতুন সরকারের এতো ক্ষোভই বা কেন?

সিরিয়ার আলাউইরা একটি ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১২ শতাংশ তারা। শিয়া ইসলাম থেকে উদ্ভূত, তাদের স্বতন্ত্র বিশ্বাস এবং আচার-অনুষ্ঠান রয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে, আলাউইরা সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে, বিশেষ করে লাতাকিয়া এবং তারতুস প্রদেশে কেন্দ্রীভূত।

২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে সিরিয়া শাসনকারী আসাদ পরিবার আলাউই সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। তাদের শাসনামলে আলাউইরা সামরিক বাহিনী এবং সরকারে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিল। 

আসাদ পরিবারের অনুগত সশস্ত্র যোদ্ধারা সম্প্রতি দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর আকস্মিক হামলা চালায়। এতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার আসাদের অনুগত সশস্ত্র ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। একইসময় সশস্ত্র সুন্নি গোষ্ঠীগুলো আলাউইদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ড শুরু করে। এ ঘটনা সিরিয়ার সাম্প্রদায়িক বিভাজনকে আরো গভীর করে তোলে। এই উত্তেজনা বৃদ্ধি আসাদকে ক্ষমতা থেকে অপসারণে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালনকারী হায়াত তাহরির আল-শামের কর্তৃত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আলাউই গ্রামগুলোতে ভয়াবহ দৃশ্যের বর্ণনা দিয়েছেন, যেখানে বন্দুকধারীরা রাস্তায় অথবা তাদের দরজায় বেসামরিক নাগরিকদের, যাদের বেশিরভাগই পুরুষ, হত্যা করেছে। ঘরবাড়ি লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়, যার ফলে হাজার হাজার মানুষ নিকটবর্তী পাহাড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলির মধ্যে একটি, বানিয়াস, বেশ কয়েকটি নৃশংস হামলার সাক্ষী হয়েছে।
 
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মৃতদেহ এবং ছাদে পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়েছেন। কিছু ক্ষেত্রে, বন্দুকধারীরা স্থানীয়দের তাদের প্রতিবেশীদের মৃতদেহ সংগ্রহ করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাধা দিয়েছিল।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পার্নোকে নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে আসছেন মোশাররফ করিম

দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ওপার বাংলায়ও জনপ্রিয়তা পেয়েছেন নন্দিত অভিনেতা মোশাররফ করিম। বাংলা নববর্ষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার অভিনীত ‘বিলডাকিনি’ সিনেমা। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন কলকাতার অভিনেত্রী পার্নো মিত্র। সিনেমাটির নির্মাতা ফজলুল কবীর তুহিন মুক্তির তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত বছরের ১৭ জানুয়ারি সেন্সর ছাড়পত্র পায়া সিনেমাটি। এরপর বেশ কয়েকবার মুক্তির সিদ্ধান্ত নিলেও নানা জটিলতায় মুক্তি দেওয়া হয়নি। মুক্তি প্রসঙ্গে নির্মাতা ফজলুল কবীর তুহিন বলেন, “দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত জানুয়ারিতে মুক্তির সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিলাম। আমাদের এখানে প্রতি ঈদের সময় হলে দর্শকের সমাগম দেখা যায়। বন্ধ থাকা হলগুলোও খোলা হয়। সেই রেশ থাকতেই বৈশাখ উপলক্ষে দর্শকের সামনে ‘বিলডাকিনি’ নিয়ে আসতে চাই।”

‘বিলডাকিনি’ সিনেমায় মোশাররফ করিম অভিনয় করেছেন মানিক মাঝি চরিত্রে। গল্পে একজন বাউলের সন্তান তিনি। অন্যদিকে পার্নোর চরিত্রের নাম হনুফা। গ্রামীণ নারী হনুফার গল্পেই আবর্তিত হয় ‘বিলডাকিনি’ চলচ্চিত্রের কাহিনি।

আরো পড়ুন:

লোকগুলো অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছিল: জিৎ

চুমু তো একা খাওয়া যায় না, কৌশানীর সঙ্গে চুম্বন দৃশ্য নিয়ে পরমব্রত

২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পায় ‘বিলডাকিনি’। ‘বিলডাকিনি’র অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাহাজাহান সম্রাট, লুৎফর রহমান জর্জ, শিল্পী সরকার অপু, রশীদ হারুন, হাবিব মাসুদ, আইনুন নাহার পুতুল, ইউসুফ হাসান অর্ক, মাহবুবুর রহমান, তিথি, মেহেদী হাসান সোমেন প্রমুখ।

কথাসাহিত্যিক নুরুদ্দিন জাহাঙ্গীরের ব্যতিক্রমধর্মী কাহিনি অবলম্বনে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। সিনেমার শুটিং হয়েছে নওগাঁর পতিসর, নাটোর এবং বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কারাগারে।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ