এনসিসি ব্যাংক মতিঝিল প্রধান শাখায় ইসলামিক ব্যাংকিং উইন্ডোর কার্যক্রম শুরু করেছে।

সম্প্রতি এই উইন্ডোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম শামসুল আরেফিন।

এ সময় উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাকির আনাম, ইভিপি ও চিফ অব ইসলামিক ব্যাংকিং ডিভিশন আবুল কাসেম মো. ছফিউল্লাহ, ইভিপি ও মতিঝিল প্রধান শাখার, শাখা প্রধান সৈয়দ সাদিকুর রহমান, এসভিপি ও হেড অব সাসটেইনেবল ব্যাংকিং নিঘাত মমতাজ, এসভিপি ও হেড অব আইসিটি এন্টারপ্রাইজ অ্যাপ্লিকেশন মো.

সাজ্জাদুল ইসলাম, এসভিপি ও হেড অব অপারশেন্স সৈয়দ তৌহিদ হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম শামসুল আরেফিন বলেন, “দেশে ইসলামিক ব্যাংকিং এর বর্তমান অবস্থা, চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা বিবেচনা করে আমরা শরীআহভিত্তিক ইসলামিক ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করেছি। ইতোমধ্যেই  আমরা গুলশানে একটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামিক ব্যাংকিং শাখা খোলার অল্প সময়ের ব্যবধানে গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা আরো পূর্ণাঙ্গ ইসলামিক ব্যাংকিং শাখা খোলার পাশাপাশি প্রাথমিক পর্যায়ে ৩২টি শাখায় ইসলামিক ব্যাংকিং উইন্ডো চালু করতে যাচ্ছি। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে আমাদের সকল শাখা এবং উপ-শাখায় ইসলামিক ব্যাংকিং উইন্ডো চালু করা হবে।”

তিনি বলেন, “আমরা আমাদের শরীয়াহ বোর্ড এর দিক নির্দেশনায় সম্পূর্ণ শরীয়াহ্ বিধি অনুসরণে ইসলামী ব্যংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছি যা গ্রাহকদের আকাঙ্খা ও চাহিদা পূরণে সক্ষম হবে।” 

তিনি ব্যবসায়ী এবং পেশাজীবীদের এনসিসি ব্যাংকের ইসলামিক ব্যাংকিং সেবা গ্রহণের আহ্বান জানান।

ঢাকা/সাজ্জাদ/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ খ য় ইসল ম ক ব য ব যবস উইন ড

এছাড়াও পড়ুন:

আশুলিয়ায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, ককটেল ফাটিয়ে স্বর্ণালংকার লুট

সাভারের আশুলিয়ায় দোকান বন্ধের সময় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতরা ককটেল ফাটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে ওই ব্যবসায়ীর স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে।

রোববার রাতে আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম দিলীপ কুমার দাস (৪৮)। সে আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের দুলাল দাসের ছেলে এবং নয়ারহাট বাজারের দিলীপ স্বর্ণালয়ের মালিক। 

জানা যায়, ডাকাতদের হামলায় আহত ওই ব্যবসায়ীকে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান।

পুলিশ ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানায়, স্বর্ণ ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার দাস রাতে দোকান বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় একদল ডাকাত দোকানে এসে দিলীপের হাতে থাকা স্বর্ণের ব্যাগ ধরে টান দেয় । এতে তিনি বাধা দিলে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে টাকার ব্যাগ ও সেখানে থাকা প্রায় ২৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতরা কয়েকটি ককটেল বোমা ফাটিয়ে বাজারে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ঘটনার পর বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা সেখানে ছুটে এসে দিলীপ দাসকে দোকানের সামনে পড়ে থাকতে দেখে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে তিনি মারা যান।

নিহতের ফুপাতো ভাই খোকন সরকার বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে দোকান বন্ধ করে শাটার নামানোর সময় কয়েকজন ডাকাত তার হাতে থাকা ব্যাগ ধরে টান দেয়। কিন্তু দিলীপ ব্যাগ না ছাড়ায় চাপাতি দিয়ে তাকে কুপিয়ে স্বর্ণ এবং টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।

নিহতের স্ত্রী সরস্বতী দাশ বলেন, আমার স্বামী প্রতিদিন ৯টার মধ্যে বাসায় আসতো। কিন্তু ওরা আর আমার স্বামীকে বাসায় আসতে দিল না। আমি এ হত্যার বিচার চাই।

সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মেরাজুর রেহান পাভেল জানান, আহত অবস্থায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বুকে বড় ক্ষত ছিল, গালের ডানে ক্ষত ছিল এবং পিঠেও ক্ষত ছিল। আমরা চিকিৎসা শুরু করেছিলাম, স্যালাইন এবং ওষুধ চলছিল, পরে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যেই তিনি মারা যান। আমরা ধারনা করছি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তিনি মারা গেছেন। 

আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। দোষীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধারে আমাদের কার্যক্রম চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ