যশোরে জেলার প্রথম নারী পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন রওনক জাহান।

রবিবার (৯ মার্চ) সকালে তিনি ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার নুর-ই-আলম সিদ্দিকীর কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেন। এর আগে, সড়ক পথে ঢাকা থেকে যশোর পৌঁছালে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। 

গত ৪ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মো.

মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তার (রওনক জাহান) নিয়োগের আদেশ দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন:

নিখোঁজ যুবকের মরদেহ ৭ দিন পর মিলল পাহাড়ে

ভূঞাপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ১৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

রওনক জাহানের আগে কোনো নারী যশোরে পুলিশ সুপার হননি বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। 

রওনক জাহান ২৭তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তা। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার জন্য প্রশংসিত হয়েছেন।

যশোরের ৫১তম পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর রওনক জাহান জেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরো সুসংহত করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তার দক্ষ নেতৃত্বে জেলা পুলিশের কার্যক্রমে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে বলে স্থানীয়রা আশা করছেন। একই সঙ্গে, জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে সাধারণ মানুষ প্রত্যাশা করছেন।

যশোরের পুলিশ সুপার জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ গত ১৮ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দায়িত্ব হস্তান্তর করে ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টারে যোগদান করেন। এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর-ই-আলম সিদ্দিকী ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 

ঢাকা/রিটন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর রওনক জ হ ন

এছাড়াও পড়ুন:

এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রে বিএনপি নেতার ঘোরাঘুরির ভিডিও

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি জাফতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুর উদ্দিন খানের বিরুদ্ধে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের অভিযোগ উঠেছে। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে উপজেলার জাহানপুর আমজাদ আলী আবদুল হাদি ইনস্টিটিউশন কেন্দ্র থেকে তিনি বের হচ্ছেন।

আজ বাংলা প্রথম পত্র দিয়ে এবারের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের বাধ্যবাধকতার বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ইলিয়াছ উদ্দিন আহাম্মদ প্রথম আলোকে জানান, পরীক্ষা চলাকালে নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি ছাড়া কেউই পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ম্যাজিস্ট্রেট, শিক্ষা বোর্ডের ভিজিল্যান্স দলের সদস্যরা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন।

পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রে প্রবেশের বিষয়ে জানতে চাইলে নুর উদ্দিন খান বলেন, ‘আমার ভাতিজি ওই কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে। তাকে পৌঁছে দিতে পরীক্ষা শুরুর আগে কেন্দ্রে গিয়েছিলাম। আমি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গিয়েছিলাম।’

ভিডিওতে ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে বের হওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আমি ১২টার দিকে কেন্দ্রের বাইরে ছিলাম। ভেতরে ঢুকিনি। বাইরে থেকে কুশল বিনিময় করেছি। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।’

প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিএনপি নেতা নুর উদ্দিন খান পরীক্ষা শুরুর পর থেকে অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরি করেন। কেন্দ্র সচিবের কক্ষেও যান।

এ বিষয়ে কেন্দ্র সচিব মফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘নুর উদ্দিন খান পরীক্ষা শুরুর আগে কেন্দ্রে ঢুকেছিলেন। পরে আমি বুঝিয়ে–শুনিয়ে বের করে দিয়েছি।’ কেন কেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কথা তো এইটাই…। আজকে প্রথম দিন তো এমনি গার্ডিয়ান (অভিভাবক) কিছু তো ঢুকছে। ওদের সঙ্গে তাঁকেও (নুর উদ্দিন খান) দেখলাম। পরে আমি বুঝিয়ে বের করে দিয়েছি।’ তাঁর কোনো আত্মীয় পরীক্ষা দিচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নে কেন্দ্র সচিব জানান, তাঁর জানামতে নুর উদ্দিন খানের কোনো ছেলে–মেয়ে, ভাতিজা, ভাতিজি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে না।

তবে পরীক্ষা চলাকালে নুর উদ্দিন খান কেন্দ্রে ছিলেন বলে নিশ্চিত হয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নুর উদ্দিন খানের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরীক্ষা চলাকালে তিনি কোনোভাবেই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারেন না। এ জন্য তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসককেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ