নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে
Published: 9th, March 2025 GMT
সাম্প্রতিক নারী নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার নির্যাতন প্রতিরোধে কাজ করছে।
রোববার খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘আহত যোদ্ধাদের পাশে বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই আন্দোলনে আহতদের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা যে সাহস দেখিয়েছেন তা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে স্মরণ করিয়ে দেয়। অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে আপনাদের পাশে দাঁড়ানো। শহীদ ও আহতদের কাছে আমরা সবাই ঋণী।’
উপদেষ্টা বলেন, শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের যে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে তা যথেষ্ট নয়। তাদের আত্মত্যাগেই বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে, ফ্যাসিবাদ পালিয়েছে। যতদিন প্রয়োজন সরকার ততদিন আহতদের চিকিৎসাসুবিধা দেবে। এজন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি অধিদপ্তর হচ্ছে। ফাউন্ডেশেনের প্রধান নির্বাহী ও শহীদ মীর মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেন, জুলাই আন্দোলনের স্পিরিট ধরে রাখতে হবে। এজন্য রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে জুলাই বিপ্লবে খুলনায় আহত ৬১ জনের মধ্যে ৪০ জনের প্রত্যেককে এক লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়। এ নিয়ে মোট ৫৩ জন আর্থিক সহায়তা পেলেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন প্রমুখ। পরে উপদেষ্টা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ‘শহীদ মীর মুগ্ধ তোরণ’ উদ্বোধন করেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপ চ র য অন ষ ঠ ন উপদ ষ ট সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক গ্রীণ ইউনিভার্সিটির
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্তকায় ইসরায়েলের গণহত্যা ও দখলদারিত্বের প্রতিবাদে এবং গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজার সমর্থনে রূপগঞ্জে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও দোয়া মাহফিল করেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এ মানববন্ধন থেকে ইসরাইলের পণ্য বয়কটের পাশাপাশি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা কামনা করা হয়।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইফুল আজাদ, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ্, রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন (অব.) শেখ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ‘বয়কট বয়কট, ইসরায়েল বয়কট’; ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’; ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, গোটা বিশ্বে আজ সবচেয়ে নিগৃহীত ফিলিস্তিনবাসী। নবজাতক ও শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধদেরকেও আজ ইসরাইলিরা নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করছে।
আহত হয়ে বিনা চিকিৎসা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে শত শত মানুষ। আহতদের চিকিৎসা প্রদানে এগিয়ে আসা স্বাস্থ্য-কর্মীদেরও হত্যা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় বিশ্ব মানবতার আর চুপ থাকা উচিত নয়।
এ সময় তিনি নিহত প্রত্যেক ফিলিস্তিনির রুহের মাগফেরাত কামনা ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য লাভে সবাইকে দোয়ার করার আহ্বান জানান।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের বর্বরতার চরম মাত্রায় পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের উচিত- এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করা।
পাশাপাশি নিজ নিজ অবস্থান থেকে ইসরাইলের সব ধরনের পণ্য বয়কট করা। মানববন্ধন শেষে জোহর নামাজ শেষে বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে এক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।