রণক্ষেত্র রণভূমি, ১৮ গুলিবিদ্ধসহ আহত ৩০
Published: 9th, March 2025 GMT
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে জমি নিয়ে বিরোধে দু'পক্ষের সংঘর্ষে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৮ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। রোববার সকালে দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের রণভূমি গ্রাম রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল।
স্থানীয়রা জানায়, সকাল ১০টা থেকে রামদা, টেঁটা, চাইনিজ কুড়ালসহ নানা জাতের দেশীয় অস্ত্রসহ মুখোমুখি অবস্থান নেয় গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান চৌধুরী ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস সালামের লোকজন। সেই সঙ্গে ছিল একই গ্রামের প্রভাবশালী আশিক মিয়া ও শফিক চৌধুরীর লোকজন।
কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। কিছুক্ষণ সংঘর্ষ চলার পর শোনা যায় গুলির আওয়াজ। পাইপগান হাতেও দেখা যায় কয়েকজনকে। এসময় গুলিবিদ্ধ হন আশিক মিয়ার পক্ষের অন্তত ১৮ জন। এছাড়াও ইটপাটকেল ও লাঠিসোটার আঘাতে উভয়পক্ষের আরও ১০-১২ জন আহত হন।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- মাদ্রাসা ছাত্র মুন্না ও বিজয় ইসলাম, আমিরুল, মোজ্জাকির, তুফায়েল মিয়া, মরম মিয়া, ছাতির মিয়া, মাসুম আহমেদ, জাহিদ আলম, জয় ইসলাম, শাকিবুল, পাবেল মিয়া, শাহরুখ খান, মো.
দিরাই হাসপাতালের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার পিন্টু দাস জানান, আহতদের শরীরে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। এক্সরে করার পর এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
দিরাই থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ ছিল। থানায় মামলাও আছে দুই পক্ষের লোকজনের। দুইদিন আগে সরকারি খাস জায়গার পাশে ব্যক্তিগত জায়গা বিক্রয় নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। এর জেরে রোববার সংঘর্ষে জড়ান তারা। সংঘর্ষের পর পুরো গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে গেছে। পুলিশ অপরাধীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক গ্রীণ ইউনিভার্সিটির
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্তকায় ইসরায়েলের গণহত্যা ও দখলদারিত্বের প্রতিবাদে এবং গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজার সমর্থনে রূপগঞ্জে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও দোয়া মাহফিল করেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এ মানববন্ধন থেকে ইসরাইলের পণ্য বয়কটের পাশাপাশি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা কামনা করা হয়।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইফুল আজাদ, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ্, রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন (অব.) শেখ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ‘বয়কট বয়কট, ইসরায়েল বয়কট’; ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’; ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, গোটা বিশ্বে আজ সবচেয়ে নিগৃহীত ফিলিস্তিনবাসী। নবজাতক ও শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধদেরকেও আজ ইসরাইলিরা নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করছে।
আহত হয়ে বিনা চিকিৎসা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে শত শত মানুষ। আহতদের চিকিৎসা প্রদানে এগিয়ে আসা স্বাস্থ্য-কর্মীদেরও হত্যা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় বিশ্ব মানবতার আর চুপ থাকা উচিত নয়।
এ সময় তিনি নিহত প্রত্যেক ফিলিস্তিনির রুহের মাগফেরাত কামনা ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য লাভে সবাইকে দোয়ার করার আহ্বান জানান।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের বর্বরতার চরম মাত্রায় পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের উচিত- এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করা।
পাশাপাশি নিজ নিজ অবস্থান থেকে ইসরাইলের সব ধরনের পণ্য বয়কট করা। মানববন্ধন শেষে জোহর নামাজ শেষে বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে এক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।