প্রথমবার এসেই মেয়েদের প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন শেল্টেক্
Published: 9th, March 2025 GMT
টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মোহামেডানকে হারিয়ে দিয়েছিল শেল্টেক্ স্পোর্টিং ক্লাব। এরপর টানা ছয় ম্যাচ জিতে শিরোপা জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে এবারই নারী প্রিমিয়ার লিগে প্রথম খেলা দলটি। প্রথম ম্যাচে হারার পর টানা ছয় ম্যাচ জিতেছে মোহামেডানও, তারা আছে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে।
শেষ ম্যাচে মোহামেডান জিতলে ও শেল্টেক্ হারলে দুই দলের পয়েন্ট হবে সমান ১৪। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী তখন দেখা হবে দুই দলের মুখোমুখি লড়াই। তাতে জয় পাওয়ায় চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা আজই নিশ্চিত হয়ে গেছে শেল্টেকের।
রোববার ইউল্যাব মাঠে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে ৪ উইকেট হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত হয় নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে তেমন সুবিধা করতে পারেনি খেলাঘর। দলটির পক্ষে ৪৩ বলে সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন তাজিয়া আক্তার। এর বাইরে অতিরিক্ত খাত থেকে আসে ২৭ রান। সব মিলিয়ে ৩৭.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এত বছর কেউ আমার কথা ভাবেনি: জিৎ
‘জোশ’, ‘আওয়ারা’, ‘শুভদৃষ্টি’, ‘দুই পৃথিবী’র মতো যেমন বাণিজ্যিক ছবি উপহার দিয়েছেন, তেমনই দর্শক তাকে দেখেছে ‘অসুর’, ‘রাবণ’, ‘মানুষ’-এর মতো ছকভাঙা চরিত্রে। বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সুপারস্টার অভিনয়ের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরেই প্রযোজকের ভূমিকাও সমানতালে সামাল দিচ্ছেন। দেখতে দেখতে টালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে বাইশ বছর পার করেছেন নায়ক জিৎ।
এবার নীরজ পাণ্ডের ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’-এর সুবাদে বলিউডে অভিষেক ঘটল জিতের। এবার তিনি জানালেন, তার কাছে হিন্দির চেয়ে বাংলায় কাজ করাই নাকি বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল।
ভারতীয় গণমাধ্যমকে জিৎ বলেন, ‘এত বছর হিন্দি ইন্ডাস্ট্রির কেউ আমার কথা ভাবেনি। তবে আমি বরাবরই এখানে কাজ করতে চাইতাম কারণ আমি আদতে হিন্দিভাষী। আঞ্চলিক ইন্ডাস্ট্রিতে বাণিজ্যিক সিনেমার মাধ্যমে দর্শকদের ১০-১৫ বছর ধরে বিনোদিত করা অভিনেতাদের মধ্যে খুবই কমই রয়েছেন, যারা ভালো করে হিন্দি বলতে পারেন। বাংলায় কাজ করাটাই আমার জন্য আসল চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ, আমি হিন্দিতে ভাবি।’
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রথমবার স্ক্রিন শেয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার একে-অপরকে অনেক দিন ধরেই চিনি। ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে একসঙ্গে নিজেদের মতো করে কাজ করেছি। তাই আমাদের সমীকরণ ভীষণই ভালো। ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’-এর জন্য যখন একসঙ্গে কাজ করছিলাম, তখনও মনে হয়নি প্রথমবার স্ক্রিন শেয়ার করছি আমরা। সেটা আমাদের এত সহজ সুন্দর সমীকরণের জন্যই সম্ভব হয়েছে।”
হিন্দি ভাষী হলেও বাংলার দর্শকরা জিৎকে মনপ্রাণ ঢেলে আপন করে নিয়েছে। টালিউডে দু’ দশক কাটিয়ে তেইশ সালে অনুরাগীদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন অভিনেতা।
জিতের শুরুটা হয়েছিল ২০০২ সালের ১৪ জুন। হরনাথ চক্রবর্তীর হাত ধরে টালিউডে ‘বিজয়’ চরিত্রে আত্মপ্রকাশ। সেই ‘সাথী’ বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রির বক্স অফিসে আজও অন্যতম মাইলফলক হিসেবে রয়ে গেছে। টানা ২৫ সপ্তাহ হাউজফুল শো উপহার দিয়েছিল ‘সাথী’। ফিল্মি কেরিয়ারের গোড়াতেই সমস্ত রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে দিয়েছিলেন জিৎ। তারপর থেকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। ‘সাথী’র বিজয় থেকে টালিউডের ‘বস’ হয়ে উঠেছেন জিৎ।
গত ২ দশকে ৫৫টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। যার মধ্যে ২০টির বেশি ব্লকবাস্টার এবং একাধিক সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন। বর্তমানে তাঁর বলিউড ডেবিউ সিরিজ ‘খাকি ২’ চর্চার শিরোনামে। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।