আড়াইহাজারে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম উপজেলা শাখার উদ্যোগে রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের সাথে ইফতার, আলোচনা সভা ও  দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৯ মার্চ) স্থানীয়  রয়েল রেস্টুরেন্টে এর আয়োজন করা হয় ।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের আড়াইহাজার শাখার সভাপতি  আলহাজ্ব মাওলানা মাসরুর আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতের আড়াইহাজারের  দক্ষিনের  আমীর মাওলানা হাদিউল ইসলাম, উত্তরের আমীর মাওলানা মনিরুল ইসলাম, আড়াইহাজার থানা প্রেসক্লাব সভাপতি মাসুম বিল্লাহ,  সম্পাদক মজিবুর রহমান, আড়াইহাজার পৌর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ লিটন, বিখ্যাত আলেম মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম জিহাদী, বাংলাদেশ ফেলাফত মজলিশের উপজেলা সভাপতি মাওলানা আশরাফ আলী, সাধারণ সম্পাদক মুফতি  আশরাফুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের নেতা  ক্বারী মাযহারুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মাওলানা গিয়াস উদ্দিন। 
অনুষ্ঠানে বিএনপি-জামাত, গনঅধিকারসহ  অন্যান্য ইসলামী দল সমুহের সভাপতি সেক্রেটারী, সাংবাদিক  উপজেলা জমিয়ত, যুব জমিয়ত ও ছাত্র জমিয়ত নেতৃবৃন্দগন। 
মাহফিলে বক্তারা রমজানের তাৎপর্য এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রেখে বলেন, রমজান আমাদেরকে পরিশুদ্ধ ও সংযমের শিক্ষা দেয়। পরিশুদ্ধ জীবনের মাধ্যমেই রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করা সম্ভব। সমাজের রন্ধে রন্ধ্রে দুর্নীতি ছেয়ে গেছে। তা থেকে মুক্তির জন্য পরিশুদ্ধ জীবনের কোন বিকল্প নেই। স,যে ও যোগ্য মানুষের দ্বারাই কল্যাণকামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। ইসলাম সার্বজনীন জীবন ব্যবস্থা। ইসলামের সৌন্দর্য রাষ্ট্রীয়ভাবে ফুটিয়ে তুলতে জমিয়ত কর্মীদের কাজ করে যেতে হবে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ইফত র ল ইসল ম অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরের চাবি তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিশেষ আবাসন প্রকল্পে নির্মিত ঘরের চাবি তুলে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান উপদেষ্টা তেজগাঁওয়ের কার্যালয় থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

এ সময় চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলা থেকে উপকারভোগীদের হাতে চাবি হস্তান্তর করা হয়।  

প্রতিটি জেলা থেকে একজন করে উপকারভোগী তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। তারা প্রধান উপদেষ্টার প্রতি ধন্যবাদ জানান।
উজানের তীব্র ঢল আর অতি ভারি বৃষ্টির কারণে গত বছরের ২০ অগাস্ট থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। পরে দ্রুতই তা ছড়িয়ে যায় ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজারে।

ওই সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানায়, বন্যায় ১১ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৫০ লাখ ২৪,২০২ জন। এসব জেলায় মারা যান ৭১ জন। এর মধ্যে ২৮ জনই ছিলেন ফেনীতে।

মৃতদের মধ্যে পুরুষ ছিলেন ৪৫ জন। এছাড়া, ১৯ শিশু এবং ৭ জন নারী মারা যান।

জেলাভিত্তিক তথ্য অনুযায়ী, ফেনীতে মারা যান সবচেয়ে বেশি ২৮ জন। এরপর কুমিল্লায় ১৯, চট্টগ্রামে ৬, নোয়াখালীতে ১১ জন, কক্সবাজারে ৩ এবং খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, লক্ষ্মীপুর এবং ও মৌলভীবাজারে ১ জন করে মারা যান। দুর্গত এলাকায় ৩,৬১২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়। 

৩৬ দিনের গণ-আন্দোলন আর সহিংতায় সরকার পতনের ধাক্কা সামলে দেশকে স্থিতিশীলতার দিকে নিতে মাত্র কজ শুরু করেছিল অন্তর্বর্তী সরকার। ঠিক তখনই এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসে।

দুই সপ্তাহের মাথায় আসা এই দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকার দ্রুতই তৎপরতা দেখিয়েছিলো। 

দেশের ১১ জেলায় বন্যা ছড়িয়ে পড়লে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণত্রাণ সংগ্রহ কর্মসূচি শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, যার কেন্দ্র হয়ে ওঠে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র-টিএসসি।

ঢাকা/হাসান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ