চব্বিশের আন্দোলনে দুইচোখ হারানো মাহাবুবকে দেখতে গেলেন মহানগরী জামায়াত নেতৃবৃন্দ
Published: 9th, March 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দুইচোখ হারানো মাহাবুবকে দেখতে গেলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতে নেতৃবৃন্দ। মাহাবুব নারায়ণগঞ্জ শহরের ৬৪, মিশনপাড়া এলাকার মশিউর রহমানের একমাত্র সন্তান।
রবিবার (৯ মার্চ) দুপুরে জামায়াতে নেতৃবৃন্দকে দেখে আবেগ আপ্লুত হয়ে পরেন মাহাবুবের পিতা মশিউর রহমান তিনি বলেন জালিম সরকার আমার একমাত্র ছেলের দুইটি চোখ কেড়ে নিয়েছে আমরা খুনি হাসিনার বিচার চাই। সরকারের জেলা প্রশাসক জেলা যদি আমার একমাত্র সন্তানের উন্নত চিকিৎসা সহযোগিতা করেন তাহলে ফিরে পেতে পারে চোখের আলো।
সদ্য বিয়ে করার ৭ মাসের মধ্যে দুই চোখ হারানো মাহাবুব সহ সকল শহীদদের জন্য জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রেীয় কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমদ এর দোয়াও মোনাজাতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রেীয় কর্ম পরিষদের সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতের আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার, সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ জামাল হোসাইন, সিদ্ধিরগঞ্জ পশ্চিম থানা আমীর মাহবুব আলম প্রমূখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের সামনের পুকুরে কিশোরের লাশ
নারায়ণগঞ্জে জেলা কারাগারের সামনের পুকুর থেকে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরীফুল ইসলাম বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই কিশোর মাদরাসার শিক্ষার্থী হতে পারে। পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে।”
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশে অবস্থিত জেলা কারাগার। এই কারাগারের সামনের পুকুরে এক কিশোরের মরদেহ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
আরো পড়ুন:
যুবককে হত্যার পর হাসপাতালে রেখে গেল দুর্বৃত্তরা
মেহেরপুরে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার
ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ওয়াসিম বলেন, “মারা যাওয়া কিশোরের বয়স আনুমানিক ১৪ থেকে ১৫ বছর। তার পরনে ছিল সাদা রঙের পায়জামা। মুখের এক পাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নাক দিয়ে রক্ত বের হতে দেখা গেছে এবং গাল ফোলা ছিল।”
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরীফুল ইসলাম বলেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে কিশোরের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে পারব। তার পরিচয় শনাক্ত করতে পুলিশের পাশাপাশি জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে।”
তিনি আরো বলেন, “পুকুরটি জেলা কারাগারের সামনে হলেও কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। ফলে পুকুরটিতে দিনে রাতে যখন তখন বহিরাগত নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোররা গোসল করেন।”
নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের সুপার মোহাম্মদ ফোরকান ওয়াহিদ বলেন, “পুকুরটি কারাগারের সামনে হলেও এটি সড়ক বিভাগের স্থানে হওয়ায় আমরা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারছি না। আজকের ঘটনার পর পুকুরটির নিরাপত্তার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট বিভাগে চিঠি দিয়েছি।”
ঢাকা/অনিক/মাসুদ