কুষ্টিয়ায় ৬ বছর আগে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের উপর হামলা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে গ্রেপ্তারের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (০৯ মার্চ) দুপুর আড়াই টায় কুষ্টিয়া অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানার আদালতে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারান্তরীণ ইনুকে হাজির করা হয়। সেখানে শুনানি শেষে কুষ্টিয়া মডেল থানার দুটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার আদেশ দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালত পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া মডেল থানায় শহরের আমলাপাড়ার বাসিন্দা জিন্দার আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় জেলার শীর্ষস্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৬৪ জনের নামোল্লেখ এবং ৭০-৮০জন অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা নং ২৯। সেই মামলার ৩৭নং এজাহারনামীয় আসামি ইনু। এছাড়া ২০২৪ সালের ১০ অক্টোবর একই থানায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপিসহ আওয়ামী লীলের শীর্ষ নেতাসহ ৪৭ জনের নামোল্লেখ এবং ১৫-২০ জন অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন। মামলা নং ১০। এ মামলায় জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে ০৪নং এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মাগুরার শিশু ‘ধর্ষণের’ ঘটনায় ৪ আসামির রিমান্ডের আবেদন, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বান্দরবানে ধর্ষণ মামলায় ৪ যুবকের যাবজ্জীবন
আদালত এ দুটি মামলায় ইনুকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন আদালত পুলিশ পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম। পরে তাকে কড়া পুলিশি পাহারায় কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান ফয়েজ হামিদের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার–সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) ফয়েজ হামিদকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি সামরিক আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘন ও রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
ফয়েজ হামিদ ২০২৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আইএসআইয়ের প্রধান ছিলেন। ওই সময় পাকিস্তানের সরকারপ্রধান ছিলেন ইমরান খান। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান এখন কারাগারে আছেন।
ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন ফয়েজ হামিদ। ইমরান খান তাঁকে আইএসআইয়ের প্রধান করেছিলেন। ২০২২ সালে পার্লামেন্টের অনাস্থা ভোটে হেরে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হলে নির্ধারিত সময়ের আগে অবসরে যান গোয়েন্দাপ্রধান ফয়েজ হামিদ।
পাকিস্তানের সামরিক প্রেক্ষাপটে সেনাপ্রধানের পর আইএসআইয়ের প্রধানকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। দেশটিতে এর আগে আইএসআইয়ের কোনো প্রধানকে কখনোই সামরিক আদালতে বিচার করা হয়নি।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে জানায়, ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট এ বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে পাকিস্তানের সামরিক আইনের আওতায় বিচার কার্যক্রম চলেছে।
ফয়েজ হামিদের আইনজীবী মিয়া আলি আশফাক বলেন, বর্তমানে সেনা হেফাজতে থাকা তাঁর মক্কেল ‘এক হাজার শতাংশ’ নির্দোষ। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন তিনি।
আরও পড়ুনপাকিস্তানে প্রথমবারের মতো বিচারের মুখে সাবেক আইএসআই প্রধান১২ আগস্ট ২০২৪