বিনা শাস্তিতে ভারতে নারীদের একটা করে খুন করার অনুমতি চেয়েছেন ভারতের এনসিপির (শারদ পাওয়ার গোষ্ঠী) নেত্রী রোহিণী একনাথরাও খাড়স। নারীর প্রতি ক্রমবর্ধমান অপরাধের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এমনই দাবি তুলেছেন তিনি।
দিবসটি সামনে রেখে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে লেখা চিঠিতে এই দাবি করেন তিনি। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।
চিঠিতে রোহিণী দাবি করেছেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নারীদের বিরুদ্ধে যেভাবে অপরাধের ঘটনা বাড়ছে, তাতে তাদের একটা করে খুনের অনুমতি দেওয়া হোক। ওই খুনের ক্ষেত্রে নারীদের কোনো রকম শাস্তি দেওয়া যাবে না। সম্প্রতি মুম্বাইয়ে ১২ বছরের এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা উল্লেখ করে রোহিণী জানিয়েছেন, নারীরা অত্যাচারী মানসিকতা এবং ধর্ষণের মানসিকতাকে হত্যা করতে চান।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম হলো ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’
‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বাদ দিয়ে নতুন বছরের শোভাযাত্রার নামকরণ করা হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’।
বর্ষবরণের আয়োজন নিয়ে শুক্রবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানে কথা বলেন চারুকলা অনুষদের ডিন আজহারুল ইসলাম। তিনি শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের তথ্য তুলে ধরেন।
আজহারুল ইসলাম বলেন, “সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এবারের শোভাযাত্রা হবে আনন্দময়।”
আরো পড়ুন:
কিরিবাতি থেকে বাংলাদেশ, পঁচিশের বর্ণিল বরণ
নববর্ষ: বিবিধ ভাবনা
এবারের বর্ষবরণে ২৮ জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ থাকবে; শোভাযাত্রাটি ‘সবার হয়ে উঠবে’, এমনই মনে করছেন আয়োজকরা।
'মঙ্গল শোভযাত্রা’ নামটি বদল করার বিষয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলার মধ্যে স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল সেটি এবার থাকছে না। এই ধারাবাহিকতায় নতুন বাংলা বছর শুরুর তিন দিন আগে বদলে গেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত শোভাযাত্রাটির নাম।
২৩ মার্চ সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদলানোর আভাস দিয়েছিলেন।
বিষয়টি সমালোচনা শুরু হলে পরদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপন সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেছিলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়নি।
এরপর বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মধ্যে মঙ্গলবার উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, নাম ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ থাকবে নাকি তা পরিবর্তন করা হবে, তা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
এর আগে তার দেওয়া ব্ক্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা।
ঢাকা/রায়হান/রাসেল