Prothomalo:
2025-03-09@21:00:33 GMT

এই দেশ কি ধর্ষকের অভয়ারণ্য

Published: 9th, March 2025 GMT

নারী ও কন্যাশিশুর আর্তনাদ, হাহাকার আর দীর্ঘশ্বাসে ক্রমেই ভারী হয়ে উঠছে বাংলাদেশের আকাশ–বাতাস। আমরা নারীরা ভালো নেই, শান্তিতে নেই, স্বস্তিতে নেই। শুধু নারী হওয়ার অপরাধে প্রতিমুহূর্তে নিরাপত্তার ঝুঁকিতে বসবাস করা কোনো সভ্য দেশের দৃষ্টান্ত হতে পারে না।

এ কি আদৌ সভ্য সমাজ, যেখানে দুধের শিশু থেকে বৃ্দ্ধা পর্যন্ত নারীরা ধর্ষণের শিকার হতে পারেন যেকোনো মুহূর্তে? যে কেউ যেকোনো সময়ে আমাদের পথ আগলে দাঁড়াতে পারে। আমাদের পরিধেয় বস্ত্র ধরে টানাহেঁচড়া করতে পারে। আমাদের অশ্রাব্য গালি দিতে পারে, ধর্ষণ করতে পারে। অথচ এই কাজগুলো যারা করে, সেই পুরুষগুলোই আমাদের সমাজে নারীদের বিচারের মানদণ্ড নিয়ে বসে থাকে।

মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় পুরো দেশ স্তম্ভিত। ধর্ষণের যেকোনো ঘটনায় মনের ওপর এতটাই চাপ সৃষ্টি হয় যে লিখতে বসলে মানসিকভাবে অসুস্থ বোধ করি। তখন হাত অসাড় ও মস্তিষ্ক ভোঁতা হয়ে আসে। আমরা দেখেছি, কিছু কিছু ধর্ষণের ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। সেই ঝড় একসময় আবার থেমেও যায়। কিন্তু থামে না ধর্ষণের ঘটনা।

ক্ষমতা বদলায়, সময় বদলায়, আইন বদলায়, কিন্তু কিছুতেই থামে না ধর্ষণ। অধিকাংশ ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশিতই হয় না। মাগুরায় ধর্ষণের শিকার হওয়া আট বছরের শিশুটি যদি জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে এসে না পৌঁছাত, তাহলে এ ঘটনাও হয়তো চাপা পড়ে যেত।

আরও পড়ুনমাগুরার মেয়েটা হেরে যেতে পারে না২ ঘণ্টা আগে

বিগত দুই মাসে ধর্ষণের ঘটনা এমন জ্যামিতিক হারে বেড়ে চলেছে যে এ ধরনের খবরের ভার নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসেই সারা দেশে ৩৯৫ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১১৫ জন।

বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের খবর আসছে। আছে বাসে কিংবা চলন্ত পরিবহনে ধর্ষণের ঘটনা, অটোরিকশা থেকে নামিয়ে ধর্ষণ, ট্রলারে দলবদ্ধ ধর্ষণ, অবকাশযাপন কেন্দ্রে বেড়াতে গিয়ে কিশোরী ধর্ষণ, শহীদ দিবসে ফুল কুড়াতে যাওয়া শিশুকে ধর্ষণ।

অন্যদিকে দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ধর্ষণের সাজাপ্রাপ্ত অনেক আসামি এরই মধ্যে জামিনে ছাড়া পেয়ে জেলের বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা হুমকি দিচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে। এ তালিকায় আছে ২০১৬ সালে দিনাজপুরে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত এক আসামি, যে কিনা শিশুটির যৌনাঙ্গ ব্লেড দিয়ে কেটে ও সারা শরীরে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করেছিল। ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই দেশ যেন ধর্ষণের এক অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে!

ধিক সেই দেশের পুরুষকে, যারা মাতৃগর্ভ থেকে জন্ম নিয়ে নারীকেই ধর্ষণ করে। যে দেশে ভাষা দিবসের ফুল কুড়াতে গিয়ে শিশু ধর্ষণের শিকার হয়, সে দেশ কি অভিশপ্ত এক দেশ নয়! নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর দীর্ঘশ্বাসে একদিন হয়তো সেই দেশ রিক্ত হবে, নিঃস্ব হবে।

বিষয়টি নিয়ে কথা উঠলেই কেউ কেউ বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনা তো বাংলাদেশে নতুন নয়। আগেও তো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত ১৫ বছর আপনারা কোথায় ছিলেন?’ গত ১৫ বছর কী হয়েছে, সেই যুক্তিতে তো আর বর্তমানে সংঘটিত অপরাধ বৈধতা পেতে পারে না। ধর্ষণের ঘটনা যেকোনো পরিস্থিতিতেই অগ্রহণযোগ্য। কেউ আবার এ পরিস্থিতির জন্য মেয়েদের, তাঁদের পোশাক কিংবা চালচলনকে দায়ী করেন।

কেউ আবার বলেন, ‘পরিস্থিতি যত ভয়াবহ বলা হচ্ছে, আসলে পরিস্থিতি কিন্তু ততটা ভয়াবহ নয়।’ তাঁদের উদ্দেশে বলতে হয়, নারীরা নিরাপদে আছেন নাকি নেই, সে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর অধিকার একমাত্র নারীদেরই। কেউ নিরাপদ বোধ করলে তাঁকে বলে দেওয়ার প্রয়োজন হয় না যে ‘আপনি নিরাপদে আছেন’। ঠিক একইভাবে কেউ যদি তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে উৎকণ্ঠিত থাকেন, তবে তাঁকে যতই আশ্বস্ত করা হোক না কেন তিনি অনিরাপদই বোধ করবেনই।

রাস্তায় হাঁটতে, গণপরিবহনে উঠতে, বাসের জন্য অপেক্ষা করতে, গণপরিবহনের ভেতরে, উবার, পাঠাও, এমনকি নিজের গাড়িতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, অফিসে–আদালতে, কলকারখানায়, বাড়ির ভেতরে, পার্কে, বিনোদনকেন্দ্রে, মিছিলের মাঝখানে, গণ–আন্দোলনে, লাইব্রেরিতে, খেলার মাঠে, হাসপাতালে, শহীদ মিনার কিংবা দর্শনীয় স্থানে, এটিএম বুথে, এমনকি গণশৌচাগারেও নিরাপদ নন নারী। পরিস্থিতে এমন দাঁড়িয়েছে যে আজকাল পাঁচ মিনিটও একা হেঁটে যাওয়ার সাহস করতে পারি না। অল্প বয়সী মেয়েগুলোর একা পথ চলার কথা তো ভাবতেই পারি না। দিনে–রাতে নিরাপত্তাহীনতার এই চক্র যেন নারীকে বিষণ্নতা আর হতাশার বলয়ে আটকে ফেলছে।

অনেকে ধর্ষণের ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেন। না, এ ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। এ ঘটনাগুলোকে বিচ্ছিন্ন হিসেবে মেনে নিলে জঘন্য এই অপরাধের ভয়াবহতা গুরুত্ব হারায়। যিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, একমাত্র তিনিই জানেন, জীবনব্যাপী এই দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়ানো কী যন্ত্রণার!

জীবনে ঘটে যাওয়া এই ভয়ংকর বাস্তবতা থেকে বেরিয়ে আসা প্রায় অসম্ভব। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে যতই সন্তোষজনক বলুন না কেন, বাস্তবতা এই যে আমরা নারীরা এখন বাড়ির বাইরে বের হতে ভয় পাই। এমনকি বাড়ির মধ্যেও নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে ভীত আমরা।

আমরা মুক্তি চাই এই অভিশপ্ত পরিস্থিতি থেকে। ধর্ষণের শাস্তি যতই ভয়াবহ হোক না কেন, আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা না গেলে এর সুফল কখনোই পাওয়া যাবে না। যে দেশে ধর্ষণের শিকার ক্রন্দনরত নারীর আর্তচিৎকারের ভাষা মানুষের বিবেকের দুয়ারে নাড়া দেয় না, ধিক সেই দেশের দায়িত্বে থাকা মানুষগুলোকে।

ধিক সেই দেশের পুরুষকে, যারা মাতৃগর্ভ থেকে জন্ম নিয়ে নারীকেই ধর্ষণ করে। যে দেশে ভাষা দিবসের ফুল কুড়াতে গিয়ে শিশু ধর্ষণের শিকার হয়, সে দেশ কি অভিশপ্ত এক দেশ নয়! নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর দীর্ঘশ্বাসে একদিন হয়তো সেই দেশ রিক্ত হবে, নিঃস্ব হবে।

নিশাত সুলতানা লেখক ও উন্নয়নকর্মী
[email protected]

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর স থ ত আম দ র ন র পদ বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

তিক্ততা ভুলে শহিদকে জড়িয়ে ধরলেন কারিনা (ভিডিও)

বলিউডের তারকা জুটি কারিনা কাপুর ও শহিদ কাপুর। তাদের রুপালি পর্দার রসায়ন ব্যক্তিগত জীবনেও গড়িয়েছিল। দীর্ঘদিন চুটিয়ে প্রেম করার পরও ভেঙে যায় সেই সম্পর্ক।

প্রেমের ভাঙন কারিনা-শহিদের মনে তিক্ততা তৈরি করে। মুখ দেখাদেখিও বন্ধ ছিল তাদের। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন কারিনা কাপুর খান ও শহিদ কাপুর। ঝলমলে এই অনুষ্ঠানে কথা তো দূরের কথা, শহিদ কাপুরকে পাত্তাই দেননি কারিনা। এবার সেই শহিদ কাপুরকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন কারিনা।

গতকাল জয়পুরে অনুষ্ঠিত হয় আইফা অ্যাওয়ার্ডের সংবাদ সম্মেলন। সেই মঞ্চের একটি ভিডিও ক্লিপ এখন নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। তাতে দেখা যায়, মঞ্চে পাশাপাশি দাঁড়ানো করন জোহর, শহিদ কাপুরসহ অনেকে। মঞ্চে গিয়ে শহিদকে জড়িয়ে ধরেন কারিনা। এরপর খানিকটা সময় তারা কথাও বলেন।

আরো পড়ুন:

ছাবা ঝড়: ২৩ দিনে আয় ১ হাজার কোটির দুয়ারে

সবচেয়ে বেশি আয় করা নারীকেন্দ্রিক পাঁচ সিনেমা

এ দৃশ্য দেখে বিস্মিত নেটিজেনরা। একজন লেখেন, “ওহ মাই গড, শহিদ-কারিনা একসঙ্গে।” আরেকজন লেখেন, “কি রসায়ন।” জুনায়েদ নামে একজন লেখেন, “নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি না।” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে অন্তর্জালে।

কারিনাকে জড়িয়ে ধরা ও তার সঙ্গে কথা বলার ব্যাপার নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে পড়েন শহিদ। এ অভিনেতা বলেন, “আমাদের জন্য এটি নতুন কিছু নয়। আমাদের আজ মঞ্চে দেখা হয়েছে। কিন্তু আমরা এখানে-সেখানে একে অপরের সঙ্গে দৌড়াদৌড়ি করি। এটা আমাদের জন্য সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ব্যাপার। মানুষ যদি এটাকে ভালোভাবে নেয় তাহলে এটা ভালো।”

বলিউডের অন্যতম আলোচিত জুটি শহিদ ও কারিনা কাপুর। তাদের প্রেম কাহিনিও ঠিক তেমন। ২০০৩ সালে ‘ইশক ভিশক’ সিনেমার মাধ্যমে নায়ক হিসেবে শহিদের বলিউডে অভিষেক হয়। তাকে দেখে প্রেমে পড়েন কারিনা। ‘কফি উইথ করন’ অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় সিজনে হাজির হয়ে এ অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, শহিদের সঙ্গে দেখা করার জন্য তাকে কল করতেন, মেসেজ পাঠাতেন। এমনকি, এই অভিনেতাকে বিয়েও করতে চান বলে জানান।

বাস্তবে তাদের প্রেমের গল্প মধুর হলেও শুরুতে রিল লাইফে তাদের রসায়ন দর্শকের খুব একটা মনে ধরেনি। তাদের প্রেমের গুঞ্জন যখন বলিপাড়ায় উড়ছে তখন, ‘ফিদা’ (২০০৪) সিনেমায় প্রথম জুটিবদ্ধ হন তারা। কিন্তু বক্স অফিসে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি। ২০০৬ সালে ‘থার্টি সিক্স চায়না টাউন’ ও ‘চুপ চুপ কে’ সিনেমায় একসঙ্গে পর্দায় হাজির হলেও বক্স অফিস মাতাতে পারেননি তারা। তবে এই জুটিকে দর্শকের মন মতো পর্দায় তুলে ধরতে পেরেছিলেন নির্মাতা ইমতিয়াজ আলী। ‘জব উই মেট’ সিনেমায় তাদের রসায়ন আজও ভক্তদের মনে গেঁথে রয়েছে। কিন্তু পর্দায় রসায়ন জমে উঠলেও ততদিনে ম্লান হয়ে যায় তাদের বাস্তব জীবনের প্রেম। এই সিনেমার সেটেই তাদের ব্রেকআপ হয়। এমনকি সিনেমার ‘তুমসে হি’ গানের শুটিংও আলাদাভাবে করেন শহিদ-কারিনা।

তবে কী কারণে তাদের সম্পর্কে ভাঙন ধরেছিল তা আজও অজানা। গুঞ্জন শোনা যায়, শহিদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেয়নি কারিনার মা ববিতা কাপুর। তা ছাড়া সিনেমায় নায়কের চরিত্রে শহিদকে নেওয়ার সুপারিশ করতেন কারিনা। তার মা সেটিও পছন্দ করতেন না। এছাড়া ব্যক্তিত্বের দিক থেকে শহিদ ও কারিনা ছিলেন সম্পূর্ণ আলাদা। শহিদ চুপচাপ থাকতে পছন্দ করেন। অন্যদিকে কারিনা হাসিখুশি থাকেন ও একটু বেশি কথা বলতে পছন্দ করেন। প্রেমে পড়ার পর তাদের এই ব্যাপারগুলো সম্মুখে আসে। তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো, বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য ছিল এবং এ সকল কারণে তাদের মধ্যে ধীরে ধীরে দূরত্ব তৈরি হতে থাকে।

২০০৭ সালে ‘কিসমত কানেকশন’ সিনেমার শুটিং করতে বিদ্যা বালানের সঙ্গে কানাডা যান শহিদ। অন্যদিকে ভারতের লাদাখে সাইফ আলী খানের সঙ্গে ‘তাশান’ সিনেমার শুটিং করছিলেন কারিনা। সেই সময় বিদ্যার সঙ্গে শহিদ কাপুরের প্রেমের গুঞ্জন চাউর হয়, যা শুনে কষ্টে পেয়েছিলেন কারিনা। সেই সময় এই অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়ান সাইফ আলী খান। পরবর্তীতে তাদের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হতে থাকে। এরপর প্রেম। এদিকে ‘কামিনে’ সিনেমা করতে গিয়ে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান শহিদ। তবে এই অভিনেতার সেই সম্পর্কও বেশিদিন টেকেনি।

২০১৬ সালে অভিষেক চৌবের ‘উড়তা পাঞ্জাব’ আবারো এক মঞ্চে হাজির করে শহিদ-কারিনাকে। সিনেমাটিতে তাদের একসঙ্গে কোনো দৃশ্য ছিল না। কিন্তু ট্রেইলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে একসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন তারা।

ব্যক্তিগত জীবনে বর্তমানে শহিদ ও কারিনা দুজনই নিজ নিজ পরিবার নিয়ে সুখী। ২০১২ সালে সাইফকে বিয়ে করেন কারিনা। এই দম্পতির দুটো পুত্রসন্তান রয়েছে। অন্যদিকে অনেক জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২০১৫ সালের ৭ জুলাই মিরা রাজপুতকে বিয়ে করেন শহিদ কাপুর। ২০১৬ সালের ২৬ আগস্ট এ দম্পতির মেয়ে মিশা এবং ২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তাদের পুত্র জেইন কাপুরের জন্ম হয়।

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তিক্ততা ভুলে শহিদকে জড়িয়ে ধরলেন কারিনা (ভিডিও)
  • নারীকে দমন–পীড়নের নতুন পন্থা, কোন সমাধান নেই?
  • সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের দায় ও দায়িত্ব
  • বিএনপিপন্থি আইনজীবীর সুদিন