রাজধানীতে বিভিন্ন এলাকায় চুরি ও ছিনতাইকারী সন্দেহে আটজনকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আহত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানায় নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার সকাল থেকে দুপুরে মধ্যে এসব ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশের ভাষ্য, ছিনতাইকারী সন্দেহে যাত্রাবাড়ীর কোনাপাড়া এলাকায় চারজনকে, চকবাজারে দুজনকে, মতিঝিল ও ভাটারায় দুজনকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে।

যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারজানা আক্তার বলেন, যাত্রাবাড়ীর কোনাবাড়ী এলাকায় দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ছিনতাইকারী সন্দেহে চারজনকে স্থানীয় জনগণ পিটুনি দিয়েছে। পরে খবর পেয়ে সেখান থেকে তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সেখান থেকে তাঁদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ।

যাত্রাবাড়ীতে গণপিটুনিতে আহতরা হলেন নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম (৩৬), রবিউল ইসলাম (৪০), রিপন মিয়া (৪২) ও সোহাগ মিয়া (৫৪)।

এদিকে মতিঝিলের এজিবি কলোনি এলাকায় এক নারীর ব্যাগ নিয়ে পালাতে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের হাতে ধরা পড়ে তন্ময় (১৭) নামের এক কিশোর। পরে সংবাদ পেয়ে মতিঝিল থানা-পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়। এ ছাড়া চকবাজারের বকশীবাজার এলাকায় কাগজের কার্টন চুরির অভিযোগে মো.

অপু (১৮) ও মো. আলী (৩২) নামের দুজনকে পিটুনি দিয়েছে স্থানীয় লোকজন।

চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহুরুল ইসলাম বলেন, দুজনকে উদ্ধার করে বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

অন্যদিকে ভাটারা থানার সোলমাইদ এলাকায় আজ সকালে একটি বাসা থেকে মুঠোফোন, মানিব্যাগ ও ল্যাপটপ চুরি করে পালাতে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের হাতে ধরা পড়েন মানিক মিয়া (২৩) নামের এক যুবক। এরপর তাঁকে মারধর করা হয়। পরে সংবাদ পেয়ে সেখান থেকে ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান তাঁকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গণপ ট ন এল ক য় দ জনক

এছাড়াও পড়ুন:

সেহরিতে রান্নার চুলা জ্বালাতেই বিস্ফোরণ, স্বামী-স্ত্রীসহ দগ্ধ ৬

চাঁদপুরে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হয়েছে। রোববার ভোরে শহরের কোড়ালিয়া এলাকায় একটি বাসায় সেহরির খাবার রান্নার সময় এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের মধ্যে চারজনকে ঢাকায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। অপর দুজন চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। 

দগ্ধ ছয়জনের মধ্যে আব্দুর রহমান সরদার (৬৫), তাঁর স্ত্রী শাহানুর বেগম (৫৫), পুত্রবধূ খাদিজা আক্তার (৩২) ও ছোট ছেলে মঈন (১৮) নামে চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠান চিকিৎসক। চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আব্দুর রহমানের বড় ছেলে ইমাম হোসেন সরদার (৩২) ও মেজ ছেলে মিরাজের স্ত্রী দিবা আক্তার (২১)।

গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারো করছেন পরিবারের স্বজনরা। আব্দুর রহমান সরদারের ভাগিনা শাহ আলম জানান, পরিবারের লোকজন ভোর রাতে সেহরি খাওয়ার জন্য উঠে। এ সময় রান্নাঘরে চুলা জ্বালাতে গেলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে রান্না ঘরসহ কয়েকটি কক্ষের আসবাবপত্র ও লেপ-তোষক পুড়ে যায়। প্রতিবেশীদের সহায়তায় আগুন নেভানো হয়।

চাঁদপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মাহমুদুল হাসান জানান, ঢাকায় যাদের পাঠানো হয়েছে, তাদের শরীরে কারও ৫০ ভাগ ও কারও ৬০ ভাগ দগ্ধ হয়েছে। এছাড়া চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দু’জনের শরীরের ২০ ভাগ পুড়ে গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজধানীতে চোর ও ছিনতাইকারী সন্দেহে ৮ জনকে গণপিটুনি
  • নাবিল গ্রুপের ৯৮ কোটি টাকা অবরুদ্ধ, ৫৯ একর জমি জব্দ
  • এক মাদক কারবারির জন্য পুলিশের কত রকম কাণ্ড
  • সেহরিতে রান্নার চুলা জ্বালাতেই বিস্ফোরণ, স্বামী-স্ত্রীসহ দগ্ধ ৬
  • রংপুর সিটিতে সেবা পেতে পদে পদে হয়রানি
  • রাজধানীতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় গ্রেপ্তার ১
  • ঢাকার আদাবরে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে আটক ১
  • ৬ মাসে পুলিশের ওপর ২২৫ হামলা, ‘মব’ নিয়ে উদ্বেগ
  • বিএসইসির কমিশনকে ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ, ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা