Prothomalo:
2025-04-10@12:09:03 GMT

সেদিন খুলেছিল স্বপ্নের দরজা

Published: 9th, March 2025 GMT

বাংলাদেশকে আনন্দে ভাসিয়ে নেওয়ার সেই রাতের দশম বর্ষপূর্তি আজ। অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই প্রথম এবং এখন পর্যন্ত শেষবারের মতো। মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরি আর রুবেল হোসেনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে আসা সেই জয় নিয়ে প্রথম আলোতে প্রকাশিত উৎপল শুভ্রর লেখাটা এই দিনে আবার পড়াই যায়।

বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা মাঠে দিগ্‌বিদিক ছুটছেন। ডাগ-আউট থেকে ছুটে আসছেন দলের বাকি সবাই। মাশরাফি বিন মুর্তজা দাঁড়িয়ে ছিলেন মিড অফে, সেখানেই উপুড় হয়ে শুয়ে পড়লেন। সেদিকে চোখ পড়তেই একে একে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়লেন অধিনায়কের ওপর। অ্যাডিলেড ওভালের সবুজ ঘাসে লাল-সবুজের অপরূপ একটা ছবি আঁকা হয়ে গেল।

ফুটবলে এমন দৃশ্য অহরহই দেখা যায়। ক্রিকেটে একটু বিরলই বটে। তা বিরল সাফল্যের উদ্‌যাপন তো একটু ব্যতিক্রমীই হবে। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের বিরূপ কন্ডিশনে বিশ্বকাপ আর সেটিতেই কি না গ্রুপের শেষ ম্যাচ বাকি থাকতেই বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনালে!

আরও পড়ুনছক্কা মেরে সেঞ্চুরি তামিমের, মোহামেডানের বড় জয়১ ঘণ্টা আগে

ম্যাচ শেষ হওয়ার পর অ্যাডিলেড ওভালের বাইরের আঙিনাটা যেন মিরপুর হয়ে গেল। ‘আমার দেশ তোমার দেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ স্লোগান চলছে, ডুগডুগির মতো কী যেন একটা বাজছে, বাতাসে গর্বিত ভঙ্গিমায় দুলছে লাল-সবুজ পতাকা.

..স্বপ্ন আর সত্যি এক বিন্দুতে মিলে গেলে সেই আনন্দ এমন বাঁধনহারাই হয়।

বাংলাদেশ যে জিতল সত্যিকার অর্থেই এক ওয়ানডে-ক্লাসিক। শেষ পর্যন্ত লাল-সবুজ হওয়ার আগে কতবার যে রং বদলাল এই ম্যাচ!

অ্যাডিলেড ওভাল অনেক ক্রিকেট ইতিহাসের সাক্ষী। ত্রিশের দশকে উডফুল আর ওল্ডফিল্ডকে ছোবল দেওয়া লারউডের আগুনে গোলায় বডিলাইন সিরিজ উত্তেজনার তুঙ্গ ছুঁয়েছিল এখানেই। এই মাঠকেই নিজের হোমগ্রাউন্ড করে নিয়েছিলেন স্যার ডন ব্র্যাডম্যান। ইতিহাসের আরও কতশত টুকরো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে এই মাঠে। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসেও এখন নাম লেখা হয়ে গেল অ্যাডিলেড ওভালের। এখানেই যে রচিত হলো বাংলাদেশের ক্রিকেটের অমর এক কাব্য।

অ্যাডিলেডে সেদিন অমর কাব্য রচনার পথে এই মুহূর্তগুলো নিশ্চয়ই অনেকেরই মনে আছে

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ঈদ পুনর্মিলনী

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ঈদ পুনর্মিলনী ৭ এপ্রিল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আবু রেজা মো. ইয়াহিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঈদের শুভেচ্ছা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করে বক্তব্য দেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম আজহারুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মো. কাউছার উল আলম ও আবু নাছের মোহাম্মদ নাজমুল বারীসহ সারাদেশ থেকে ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান, ৯টি জোনের জোনপ্রধান, ২০৬টি শাখার শাখা ব্যবস্থাপক, ১৭৭টি উপশাখার ইনচার্জসহ অন্যান্য নির্বাহী ও কর্মকর্তারা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যুক্ত থেকে পারস্পরিক ঈদ আনন্দ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।

মোহাম্মদ আবদুল মান্নান প্রধান অতিথির ভাষণে ঈদুল ফিতরকে বাংলাদেশের বৃহত্তম ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসব উল্লেখ করে বলেন, “রমজান ও ঈদের মূল শিক্ষার আলোকে ধনী-গরীবের বৈষম্য কমানো, দারিদ্র্য বিমোচন ও সংকুলানমূলক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।”

তিনি বলেন, “গত ৬ মাসে ৭ লাখ ৩৩ হাজার নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে মানুষ ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের প্রতি তাদের আস্থার স্বীকৃতি দিয়েছে। আস্থা ফিরে আসায় এই সময়ে ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা নতুন আমানত সংগ্রহের পাশাপাশি ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা অনাদায়ী বিনিয়োগ আদায় হয়েছে।” 

ইসলামী ব্যাংকিংয়ের কল্যাণমুখী সেবা সাধারণ মানুষের নিকট পৌঁছে দিয়ে তাদের জীবনমান উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ঢাকা/সাজ্জাদ/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ