ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আকাশ রাজশাহী ইউনিভার্সিটি হায়ার স্টাডি ক্লাবের (আরইউএইচএসসি) প্রথম দিককার সদস্য। আগে সেভাবে ক্লাব–সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত ছিলেন না। তিনি জানালেন, আরইউএইচএসসি তাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। এখন পরিচিত গণ্ডির বাইরেও নিজেকে মেলে ধরতে পারেন। এই ক্লাবের কল্যাণেই জার্মানির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব চেমনিজে পিএইচডি করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। একই ব্যাচের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাইমা কমর। তাঁর ভাষ্যমতে, ‘ক্লাবে এমন কিছু মানুষ পেয়েছি, যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে অনেক সমর্থন দিয়েছেন।’ সাইমা কমর নিজেও এখন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছেন। রাজশাহী ইউনিভার্সিটি হায়ার স্টাডি ক্লাবের সভাপতি আজমাইন তাশিক জানিয়ে রাখলেন, ‘এ রকম এক-দুজন নয়, ক্লাবের তিন শতাধিক সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবী উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে পাড়ি জমিয়েছেন। ভালো জায়গায় আছেন।’

আরও পড়ুনদেশের বাইরে পড়তে চাইলে এসব বৃত্তির খোঁজ রাখতে পারেন০৬ জানুয়ারি ২০২৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো সংগঠনগুলোর মধ্যে আরইউএইচএসসি অন্যতম। ২০১৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সালেহ রোকন এটি প্রতিষ্ঠা করেন। উচ্চশিক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন ছাড়াও ক্লাবের সদস্যদের নিয়ে নিয়মিত দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম (স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম) পরিচালনা করেন তাঁরা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর জন্য আয়োজন করা হয় অধিবেশন (সেশন) ও সেমিনার। আজমাইন তাশিক বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থী যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখে, তার অনেক স্বপ্ন থাকে। কারও স্বপ্ন যেমন বিদেশে পড়তে যাওয়া। আমরা এই লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করি।’

বড় পরিসরে তারুণ্য উৎসব আয়োজন করে ২০১৮ সালে বেস্ট ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে রাজশাহী ইউনিভার্সিটি হায়ার স্টাডি ক্লাব। ২০২৩ সালে ওয়াইসিআই বেস্ট লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডের জন্যও মনোনীত হয় তারা।

আরও পড়ুনরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ কেন আলাদা০৮ অক্টোবর ২০২৩.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউন ভ র স ট

এছাড়াও পড়ুন:

পহেলগাম হামলা: পাঁচ সন্দেহভাজনের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল ভারত

পেহেলগামে ২৬ জন পর্যটককে হত্যার কয়েক দিন পর গতকাল শুক্রবার রাতে জম্মু ও কাশ্মিরজুড়ে পাঁচ সন্দেহভাজনের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী। তবে হামলার ঘটনার পর এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি তারা।

কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, শোপিয়ান, কুলগাম ও পুলওয়ামা জেলায় অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। গত কয়েক দিনে সন্দেহভাজনদের ওপর দমন অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে।

শোপিয়ানের চোপোটিপোরা গ্রামে শাহিদ আহমেদ কুট্টের বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে লস্কর কমান্ডার বলে দাবি করছে ভারত। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কুট্টে গত তিন-চার বছর ধরে সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত এবং রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ সমন্বয় করার ক্ষেত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

কুলগামের মাতালম এলাকায় আরেক সন্দেহভাজন জাহিদ আহমেদের বাড়িও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলওয়ামার মুররান এলাকায় বিস্ফোরক দিয়ে আহসান উল হক নামে একজনের বাড়ি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতের দাবি, আহসান ২০১৮ সালে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদী প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন এবং সম্প্রতি উপত্যকায় ফিরে আসেন।

এহসান আহমেদ শেখ নামে একজন সন্দেহভাজনের দোতলা বাড়িও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তিনি লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য বলে দাবি করা হচ্ছে, যিনি ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে সক্রিয় ছিলেন।

পঞ্চম সন্দেহভাজন হারিস আহমেদের বাড়িও বিস্ফোরক পেতে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলওয়ামার কাচিপোরা এলাকার ওই বাসিন্দা ২০২৩ সাল থেকে সক্রিয় বলে দাবি করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে, পেহেলগাম হামলার মূল সন্দেহভাজন আদিল হুসেন ঠোকর এবং আসিফ শেখের বাড়ি বিস্ফোরণে ধ্বংস করা হয়।

বৃহস্পতিবার অনন্তনাগ পুলিশ পেহেলগাম হামলায় জড়িত সন্দেহে ঠোকর এবং আরও দুইজনের স্কেচ প্রকাশ করেছিল। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অন্য দুই সন্দেহভাজন—হাশিম মুসা ওরফে সুলেমান এবং আলি ভাই ওরফে তালহা আপন ভাই। তারা পাকিস্তানি নাগরিক এবং তাদের গ্রেপ্তারের জন্য ২০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যের পেহেলগামের বৈসরণ তৃণভূমিতে পর্যটকদের ওপর অতর্কিতে গুলি চালায় একদল সন্ত্রাসী। এই হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়, যাদের মধ্যে একজন নেপালি নাগরিকও ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গুলির শব্দ শুনে পর্যটকরা প্রাণে বাঁচার জন্য ছুটোছুটি শুরু করেন, কিন্তু খোলা প্রান্তরে কোথাও লুকানোর সুযোগ ছিল না।

হামলার পর, সেনাবাহিনী, সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ যৌথভাবে ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।

পহেলগাম হামলার কঠোর জবাবে ভারত সরকার ইন্দাস পানি চুক্তি স্থগিত করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যারা এই বর্বর হামলার পেছনে রয়েছে, তাদের এবং তাদের মদতদাতাদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তালেবান সরকার কেন ভারতের দিকে ঝুঁকছে
  • বিশ্বে সামরিক ব্যয় রেকর্ড বেড়ে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার
  • তারুণ্যের সমাবেশ করবে বিএনপির তিন সংগঠন
  • শ্যালিকাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ২ শিশুকে কুপিয়ে হত্যা, দুলাভাইয়ের ফাঁসি 
  • ৩ মাসে ১৪৫ কোটি টাকা মুনাফা পদ্মা অয়েলের
  • ইসরায়েলের বিমানঘাঁটিতে হুথির হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
  • গাজায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ অব্যাহত, নিহত আরো অর্ধশতাধিক
  • লম্বাশিয়া পাহাড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চলছেই
  • পেহেলগাম হামলা: পাঁচ সন্দেহভাজনের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল ভারত
  • পহেলগাম হামলা: পাঁচ সন্দেহভাজনের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল ভারত