পাঁচ প্রজন্মের অভিনেত্রীদের নিয়ে ‘তোমাদের গল্প’
Published: 9th, March 2025 GMT
ঈদ উপলক্ষে ছোট পর্দার বেশ কিছু চেনা মুখকে একত্র করছেন মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। তার পরিচালিত নতুন নাটক ‘তোমাদের গল্প’তে দেখা যাবে দর্শকপ্রিয় অভিনয়শিল্পীদের। এরমধ্যে আছেন পাঁচ প্রজন্মের পাঁচ অভিনেত্রী তানজিম সাইয়ারা তটিনী, দিলারা জামান, সাবেরি আলম, মনিরা আক্তার মিঠু ও শিল্পী সরকার অপু।
গত পাঁচ দিন ধরে নরসিংদীতে নাটকটির শুটিং চলছে।‘তোমাদের গল্প’ নাটকে বিভিন্ন প্রজন্মের অভিনেতাদের মধ্যে থাকছেন ফারহান আহমেদ জোভান, নাদের চৌধুরী, বড়দা মিঠু, এমএনইউ রাজু, সমু চৌধুরী ও শিশুশিল্পী আয়াত। নাটকে প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারহান আহমেদ জোভান ও তানজিম সাইয়ারা তটিনী। পর্দায় তাদের রসায়ন ও খুনসুঁটি দেখা যাবে।
নিজের নতুন নাটক প্রসঙ্গে মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ বলেন, ‘ঈদে শহরবাসী গ্রামে পরিবারের কাছে যায়। এটা আমাদের চেনা দৃশ্যপট। সেই পটভূমিকে অবলম্বন করে একটি পরিবারের গল্প নিয়ে নাটকটি তৈরি করছি। নরসিংদীতে আমার ফুফুর বাড়িতে শুটিং হচ্ছে। চিত্রগ্রহণ করছেন সুমন হোসেন। আশা করি, এবারের ঈদুল ফিতরে দর্শকদের সম্পৃক্ত করবে আমাদের এই প্রচেষ্টা।’
বিভিন্ন প্রজন্মের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের একত্র করা প্রসঙ্গে মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ বলেন, ‘আমার এবারের নাটকের গল্পটি এমন যে, দক্ষ ও বলিষ্ঠ অভিনেতা-অভিনেত্রী প্রয়োজন ছিল। সেজন্যই দর্শকপ্রিয় অভিনয়শিল্পীদের একফ্রেমে নিয়ে আসছি। তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে আমার ব্যক্তিজীবনে সুসম্পর্ক আছে। তারা আমার পরিবারের মতোই। তাই একটি পারিবারিক গল্প বলার জন্য এই শিল্পীদের নিয়ে কাজটি করছি।’
নতুন নাটকটির চিত্রনাট্য লিখেছেন সিদ্দিক আহমেদ। ‘তোমাদের গল্প’ নাটকে একটি নতুন গান থাকছে। এটি গেয়েছেন আরফিন রুমি। তিনিই এর সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন। গানের কথা লিখেছেন জনি হক। আসছে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ইউটিউবে সিনেমাওয়ালা চ্যানেলে মুক্তি পাবে নাটকটি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিদ্বেষ চরম আকার ধারণ করেছে
দেশের নারীরা দুঃসময় পার করছে। বিদ্বেষ চরম আকার ধারণ করেছে। আজ শনিবার অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও বিবৃতিতে এই বক্তব্য উঠে এসেছে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য– ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন: নারী ও কন্যার উন্নয়ন’।
দিবসটিকে কেন্দ্র করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষায় ছাত্র-শ্রমিক-জনতা যে অভ্যুত্থান সংঘটিত করেছিল, গত জুলাই-আগস্টে তার সম্মুখ সারিতে ছিল নারী।’
এদিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় সভা, সেমিনার, মানববন্ধন, শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিন সকালে জুলাই অভ্যুত্থানে নারী সহযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে নারীপক্ষ। জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে আয়েজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব দাবি জানানো হয়। দাবির মধ্যে রয়েছে, নারীর ওপর সহিংসতা বন্ধ; সব প্রতিষ্ঠান, কমিটি, দল ও উপাসনালয়ে নারীর সমান উপস্থিতি; মৌলবাদী ও উগ্রবাদী সংস্কৃতির বিস্তার রোধ; নারীর জীবন ও অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে প্রচলিত আইন সংশোধন ও পরিমার্জন করতে হবে।
ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি ও সুবিধা নিশ্চিতে আইন করার দাবি জানিয়েছে ন্যাশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়। এতে বক্তব্য দেন মো. ইলিয়াস, রোজিনা আক্তার সুমি, ফরিদ উদ্দীন, আমরিন হোসাইন অ্যানি, ইউসুফ শেখ প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা বেগম। তারা জানান, সংস্কার কমিশনের শ্রম আইন সংশোধনের খসড়া শ্রমিকবান্ধব নয়। সমাবেশ শেষে একটি শোভাযাত্রা পল্টন মোড় ঘুরে এসে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শেষ হয়।
নারীর ওপর সহিংসতা, শোষণ-নির্যাতন বন্ধ এবং নিপীড়কদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এ দাবি জানান। বিবৃতিতে তারা বলেন, বাংলাদেশের নারীরা এবং প্রগতিশীল সমাজ দুঃসময় পার করছে। নারীবিদ্বেষ ও সহিংসতা চরম আকার ধারণ করেছে।