চাঁদের বিভিন্ন স্থানে বরফ থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা
Published: 9th, March 2025 GMT
চাঁদের পৃষ্ঠে পানির অস্তিত্ব অনুসন্ধানে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। এবার চাঁদে অবতরণকরা চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের সংগ্রহ করা তথ্য বিশ্লেষণ করে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চাঁদের মেরু এলাকার বেশ কিছু স্থানে বরফ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর পাঠানো চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযান ২০২৩ সালের ২৩ আগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করে। মহাকাশটিতে থাকা বিক্রম ল্যান্ডারের চেসট নামের প্রোবের মাধ্যমে চাঁদের পৃষ্ঠের ১০ সেন্টিমিটার গভীরের তাপমাত্রা সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করেছেন বিজ্ঞানীরা। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী দুর্গা প্রসাদ করণম জানিয়েছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চাঁদের পৃষ্ঠে বরফ জমা হয়েছিল। গবেষণার তথ্য সেই বিষয় সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছে। চাঁদে বরফের অস্তিত্ব নিয়ে একটি গবেষণাপত্র কমিউনিকেশনস আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, চন্দ্রযান-৩–এর বিক্রম ল্যান্ডার চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের প্রান্তে প্রায় ৬৯ ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাংশে অবতরণ করে। এই অবতরণ স্থানের ছয় ডিগ্রি কোণে সূর্যের দিকে মুখ করা একটি ঢালু জায়গা রয়েছে। সেখানকার তাপমাত্রা দিনে প্রায় ৮২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতে মাইনাস ১৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বিক্রম ল্যান্ডারের অবতরণ স্থানের মাত্র এক মিটার দূরে থাকা একটি সমতল পৃষ্ঠের তাপমাত্রা প্রায় ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস; অর্থাৎ সামান্য একটি ঢালের কারণে আগের স্থানের তাপমাত্রার কিছুটা বেশি হয়ে থাকে।
চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের সংগ্রহ করা তথ্য কাজে লাগিয়ে একটি মডেল তৈরির পাশাপাশি চাঁদের ঢালু স্থান কীভাবে তাপমাত্রা প্রভাবিত করতে পারে, তা জানার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। সেই মডেলের তথ্যমতে, ১৪ ডিগ্রির বেশি কোণে ঝুঁকে থাকা ঢালু স্থানটির পৃষ্ঠের কাছাকাছি বরফ জমা হওয়ার জন্য যথেষ্ট ঠান্ডা তাপমাত্রা রয়েছে। আর তাই এই ঢালু স্থানটিতে বরফ থাকতে পারে।
প্রসঙ্গত, চাঁদে বরফ পাওয়া গেলে পৃথিবী থেকে চাঁদে পানি পরিবহনের খরচ ও সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে। ফলে চাঁদে মানুষের ঘাঁটি স্থাপনের পাশাপাশি মঙ্গল গ্রহ বা মহাকাশ গবেষণার কাজও সহজ হবে।
সূত্র: এনডিটিভি
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সরাসরি রিয়াদে ফ্লাইট শুরু করছে ইউএস-বাংলা
২১ এপ্রিল থেকে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। সপ্তাহে ৫ দিন ৪৩৬ আসনের এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে সরাসরি ঢাকা থেকে রিয়াদে ফ্লাইট পরিচালিত হবে। বুধবার থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সকল বিক্রয় মাধ্যমে ঢাকা-রিয়াদ রুটের টিকিট বিক্রয় শুরু হয়েছে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে সোম, মঙ্গল, বুধ, শুক্র ও রবিবার দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে রিয়াদের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে এবং রিয়াদের স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে অবতরণ করবে। পুনরায় রিয়াদ থেকে সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরদিন ভোর ৪টায় অবতরণ করবে।
ঢাকা থেকে রিয়াদের ন্যূনতম ভাড়া ট্যাক্স ও সারচার্জসহ ওয়ানওয়ে ৫৪,০৬৫ টাকা এবং রিটার্ন ভাড়া ৮১,৯৯৮ টাকা। এছাড়া রিয়াদ থেকে ঢাকায় ওয়ানওয়ে ন্যূনতম ভাড়া ৮৪৬ সৌদি রিয়েল এবং রিটার্ণ ভাড়া ১,৪৫৮ সৌদি রিয়েল।
বর্তমানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে দুইটি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০, নয়টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সকল রুট ছাড়াও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স জেদ্দা, দুবাই, শারজাহ, আবুধাবী, মাস্কাট, দোহা, মালে, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, গুয়াংজু, চেন্নাই ও কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। - বিজ্ঞপ্তি
ঢাকা-রিয়াদ রুটের টিকেট রিজার্ভেশন সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য যোগাযোগ করা যাবে ০১৭৭৭৭৭৭৮০০-৬ অথবা ১৩৬০৫ নম্বরে অথবা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের নিজস্ব ওয়েবসাইটে www.usbair.com.