বাংলাদেশ রিটেইল কংগ্রেসে সেরা ই–কমার্স পুরস্কার পেয়েছে শপআপ
Published: 9th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ রিটেইল কংগ্রেস ২০২৪–এ সেরা ই–কমার্স (বিটুবি) বিভাগে দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছে দেশের অন্যতম বিজনেস টু বিজনেস ব্যবসা প্ল্যাটফর্ম শপআপ। বাংলাদেশের রিটেইল ইকোসিস্টেমের রূপান্তরে অবদান রাখায় শপআপের বিটুবি কমার্স প্ল্যাটফর্ম ‘মোকামকে’ এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল লো মেরিডিয়েনে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে শপআপ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শপআপের বিটুবি প্ল্যাটফর্ম মোকাম ছোট খুচরা বিক্রেতাদের কারখানা (মিল) ও উৎপাদকের সঙ্গে সংযুক্ত করে। এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিতে সরবরাহব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে।
বাংলাদেশে ৪৫ লাখের বেশি খুচরা ব্যবসায়ী রয়েছেন উল্লেখ করে শপআপ জানায়, এই খুচরা ব্যবসায়ীদের সরবরাহের সমস্যাগুলো সমাধান করা, লাভ বাড়ানো এবং ভোক্তাদের জন্য স্থিতিশীল ও সাশ্রয়ী মূল্যের পণ্য নিশ্চিতে মোকাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
শপআপের ডিরেক্টর শাবাব দীন শরেক বলেন, ‘এই পুরস্কার আসলে ছোট মুদিদোকানদারদের অবদান। এই দোকানিরা, যাঁরা আমাদের সমাজে অসাধারণ প্রভাব ফেললেও অনেক সময় উপেক্ষিত থেকে যান। মোকামের সাফল্যের পেছনে প্রধান চালিকা শক্তি হচ্ছে তাঁদের ধৈর্য ও কঠোর পরিশ্রম। আমরা তাঁদের ব্যবসা বৃদ্ধি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ধারাবাহিকভাবে সমর্থন দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের বিভিন্ন কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থানে মোকাম ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টারগুলো (এমডিসি) অবস্থিত। পণ্যের চাহিদা একত্র করে ছোট খুচরা বিক্রেতাদের সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য সংগ্রহের সুযোগ করে দেয় মোকাম। এতে ক্ষুদ্র বিক্রেতাদের লাভ বৃদ্ধি পায় এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের ওপর নির্ভরতা কমে। উন্নত প্রযুক্তি অবকাঠামো ও তথ্যভিত্তিক চাহিদা পূর্বাভাসের মাধ্যমে মোকাম বাংলাদেশের খুচরা বাজারে ক্রমাগত বিপ্লব ঘটিয়ে চলেছে।
শপআপ আরও জানায়, ২০২৩ সালে ৩ কোটি ১ লাখ মানুষ শপআপ নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত মুদিদোকান থেকে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয় করেছেন। এ সময়ে কোম্পানিটি ১০ লাখ মেট্রিক টন পণ্য স্থানান্তর করেছে, যা ইতিবাচকভাবে ছোট খুচরা বিক্রেতাদের ও বৃহত্তর অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় থাকায় স্বস্তি
গত বছরের তুলনায় এবার পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে স্থিতিশীল আছে। এতে স্বস্তি প্রকাশ করছেন সাধারণ ক্রেতারা।
শুক্রবার (৭ মার্চ) রাজধানীর নিউ মার্কেট ও কারওয়ান বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পবিত্র রমজানের শুরুতে সয়াবিন তেলের যে সরবরাহ সংকট ছিল, তা এখন অনেকটাই কমেছে। তবে, চাহিদা বেশি ও উৎপাদনের মৌসুম না হওয়ায় বেড়েছে লেবুর দাম। এখন বাজারে এক হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।
গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে কিছুটা কমেছে সবজির দাম। এখন বাজারে প্রতি কেজি বেগুন মানভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, শিম ৫০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, টমেটো ২০ থেকে ২৫ থেকে টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, দেশি শসা ৪০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৫০ টাকা, জালি কুমড়া ৫০ টাকা, প্রতি পিস মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা এবং বড় সাইজের ফুলকপির জোড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকায়। পেঁয়াজের কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, রসুনের কেজি ২৩০ টাকা ও দেশি আদার কেজি ১২০ টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডাল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা এবং ছোলা ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নদীর মাছ বাদে গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে চাষের মাছের দাম কিছুটা কমেছে। এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, কৈ ২২০ টাকা, শিং ৫০০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায়।
এখন প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়। সোনালি জাতের মুরগি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ থেকে টাকায়। খাসির মাংসের দাম ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা প্রতি কেজি।
রাজধানীর সালেক গার্ডেন কাঁচাবাজারে কেনাকাটা করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী কাইয়ুম মজুমদার রাইজিংবিডি ডটকম বলেছেন, গতবারের রমজানের তুলনায় এবার অধিকাংশ পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে আছে। তবে, লেবুর দাম বেশি। রমজানে সবাই ইফতারে লেবুর শরবত খেতে চায়। কিন্তু, চাহিদামতো লেবুর সরবরাহ নেই। আশা করি, লেবুর দামও কমবে।
রাজধানীর নিউ মার্কেটর সবজি বিক্রেতা মো. মেহেদী হাসান এ প্রতিবেদককে বলেন, বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে প্রায় সব সবজির দাম কমছে। ক্রেতারাও চাহিদা অনুযায়ী সবজি কিনতে পারছেন। লেবুর দাম সামান্য বেশি। এখন লেবুর মৌসুম না থাকায় সরবরাহ কম।
ঢাকা/রায়হান/রফিক