মুগ্ধকে নিয়ে কথা বললে গর্বে মাথা উঁচু হয়ে যায়: ফরিদা আখতার
Published: 9th, March 2025 GMT
মুগ্ধকে নিয়ে বলতে গেলে দুঃখ লাগলেও গর্বে মাথা উঁচু হয়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি বলেছেন, “মুগ্ধ ইতিহাস রচনা করে গিয়েছে। মুগ্ধকে নিয়ে বলতে গেলে দুঃখ লাগে ঠিকই, কিন্তু তাকে নিয়ে কথা বলতে গেলে গর্বে মাথা উঁচু হয়ে যায়। মুগ্ধকে আমরা হারিয়েছি ঠিকই, তবে সে আমাদের নতুন বাংলাদেশ দিয়ে গিয়েছে। সে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের তৃষ্ণা নিবারণের পানি যুগিয়েছে।”
রবিবার (৯ মার্চ) দুপুরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) প্রধান ফটক ‘শহিদ মীর মুগ্ধ তোরণ’ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে আয়োজিত এ সভায় তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
‘দেশে নারী নির্যাতন প্রচুর হচ্ছে’
ভর্তুকি দিয়ে ১ টাকায় ইফতার বিক্রি করেন ইকবাল
তিনি বলেন, “আগে ভাবা হতো নতুন প্রজন্ম নিজেদের ছাড়া কিছু বোঝে না, তারা দেশ ও রাজনীতি বিমুখ। কিন্তু সেই প্রজন্মের সন্তানরাও তাদের দেশপ্রেমের অবস্থান প্রমাণ করে দিল। এখন আমাদের দায়িত্ব ও দায় অনেক বেশি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার খুনীদের বিচার এ মাটিতেই হতে হবে।
খুবি উপাচার্য ড.
এছাড়া অনুষ্ঠানে শহীদ মীর মুগ্ধের পিতা মীর মোস্তাফিজুর রহমানসহ খুবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন।
এর আগে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ‘শহিদ মীর মুগ্ধ তোরণ’ এর উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে একমিনিট নীরবতা পালন করে আলোচনা সভা শুরু হয়।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য ড
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের বাজার গতিশীল ব্যবসার সুযোগও বেশি
সমকাল: বাংলাদেশে এ নিয়ে কতবার এলেন? এ দেশ নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
মাইক ওরগিল: বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে এসেছি। এ নিয়ে অষ্টমবারের মতো বাংলাদেশ সফর করছি। ২০১২ সালে বাংলাদেশের প্রথম আসি গুগলের হয়ে কাজের অংশ হিসেবে। এবার এসেছি উবারের হয়ে। এক দশকেরও বেশি সময় বাংলাদেশের প্রভূত উন্নতি দেখে সত্যিকার অর্থে আমি আপ্লুত।
সমকাল: কী ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন?
মাইক ওরগিল: বড় বড় ভবন হয়েছে। হাইওয়ে, ব্রিজ, মেট্রোরেলসহ নানা অবকাঠামো হচ্ছে। ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রভূত উন্নতি হয়েছে। এর অর্থ হলো, এ দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাপক হারে বেড়েছে। এর ফলে মানুষের কর্মসংস্থান বাড়ছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নতির সঙ্গে দ্রুত উন্নতির পথে এগিয়ে যাওয়া দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। ব্যবসার জন্য বাংলাদেশ বেশ ভালো গন্তব্য। আগের চেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ ব্যবসায় সম্পৃক্ত হয়েছে এবং উপার্জনও বেড়েছে। বড় বড় কোম্পানি হচ্ছে। ফলে মানুষের যাতায়াতের চাহিদাও বেড়েছে।
সমকাল: বাংলাদেশে উবার বেশ জনপ্রিয়। ব্যবসার দিক বিবেচনা করলে, আপনাদের অভিজ্ঞতা কী?
মাইক ওরগিল: বাংলাদেশের বাজারটি বেশ গতিশীল। তাছাড়া এখানকার মানুষ নতুন কিছুকে গ্রহণ করায় বেশ আগ্রহী। উবারের মতো অনলাইনভিত্তিক যাতায়াত প্ল্যাটফর্মের এখানে কাজ করার ব্যাপক সুযোগ আছে।
সমকাল: সম্প্রতি উবার বাংলাদেশে এর কার্যক্রমের ‘ইমপ্যাক্ট রিপোর্ট’ প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, এখানে সাড়ে তিন লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং গত বছর প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সৃষ্টিতে অবদান রেখেছে উবার।
মাইক ওরগিল: ঠিক তাই। এখানকার বিপুল সংখ্যক ড্রাইভার রেজিস্ট্রেশন করে উবারের সঙ্গে যাত্রী সেবা দিচ্ছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে উবার সরাসরি ভূমিকা রেখেছে। উবারের সঙ্গে যুক্ত হতে প্রাইভেট কার এবং মোটরসাইকেলের বাজার বড় হয়েছে। এ জন্য প্রায় ৯০ কোটি টাকার বাজার হয়েছে। উবারের ড্রাইভারদের অনেকে যেমন সার্বক্ষণিক সেবায় যুক্ত, তেমনি কেউ কেউ স্বল্পকালীন সময়ের জন্য উবার সেবা দিয়ে বাড়তি আয় করছেন। অন্যদিকে অফিসগামী মানুষকে দ্রুততম সময়ে এবং সাধ্যের মধ্যে ভাড়ায় গন্তব্যে পৌঁছে দিতে সাহায্য করছে উবার। গবেষণায় দেখেছি, বাংলাদেশে উবারের কার্যক্রমে যাত্রীদের ১১ লাখ কর্মঘণ্টা সাশ্রয় করেছে, যার বাজারমূল্য ৯৪ কোটি টাকা।
সমকাল: এ প্রতিবেদেন দেখেছি, ৩৩ শতাংশ যাত্রী বলেছেন, উবারের ভাড়া সাশ্রয়ী। অর্থাৎ ৬৭ শতাংশ যাত্রী হয়তো এ বিষয়ে একমত নন...।
মাইক ওরগিল: আসলে তা নয়। জরিপে আমাদের যাত্রীসেবা গ্রহণকারীদের কাছে প্রশ্ন ছিল, ‘উবার মোটো’ সুবিধাটি আপনি কেন অন্য প্ল্যাটফর্মের সেবা থেকে বেশি পছন্দ করেন?’ এ প্রশ্নের উত্তরে ৩৩ শতাংশ বলেছেন, তারা এর ভাড়াকে সাশ্রয়ী মনে করেন। এর অর্থ এই নয় যে, অন্যরা ভাড়া বেশি বলে মনে করেন। কেউ সময় সাশ্রয়ের কারণে, কেউ যানজট এড়ানোর জন্য পছন্দ করছেন। আবার যাত্রীদের আমরা এমন প্রশ্নও করেছিলাম, কেন তারা উবারের ‘রাইড’ সেবা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে কেউ নিরাপত্তা ইস্যু, কেউ সহজপ্রাপ্যতা, বাসা থেকে তুলে আবার বাসায় বা অফিসে পৌঁছে দেওয়া ইত্যাদি ভিন্ন ভিন্ন ‘অপশন’ থেকে নিজেদের পছন্দের কথা বলেছেন।
সমকাল: কিন্তু যাত্রীদের অনেকের অভিযোগ, উবারের ভাড়া বেশি।
মাইক ওরগিল: দেখুন, আমরা এমন একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করছি, যেখানে কিছু খরচ আছে। এই খরচ বিবেচনা করে স্থানীয় বাজারের মানুষের সাধ্যের মধ্যে ভাড়া নির্ধারণের চিন্তা করি। এটা ঠিক যে, বাংলাদেশে কারও কারও জন্য প্রাইভেটকারে গন্তব্যে পৌঁছানো কিছুটা খরুচে বলে মনে হতে পারে। এ জন্য ‘উবার মোটো’ এবং উবার থ্রি-হুইলার অর্থাৎ সিএনজিচালিত অটোরিকশার রাইডের ব্যবস্থাও করেছি। সবার ভাড়া প্রদান সক্ষমতা যেমন এক নয়, আবার সবার স্বাচ্ছন্দ্যের মধ্যেও পার্থক্য আছে। ফলে যারা প্রিমিয়াম সেবা চান, তাদের খরচ বেশি।
সমকাল: ঢাকায় উবার ড্রাইভারদের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ, অনেকে স্বল্প দূরত্বে যাত্রী নিতে চান না, ‘রাইড অনুরোধ’ বাতিল করেন। গাড়ির মান ভালো না। এ সব অভিযোগ কী পান?
মাইক ওরগিল: হ্যাঁ। অভিযোগগুলো যাতে কমে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
সমকাল: বাংলাদেশে উবারের পরিকল্পনা কী?
মাইক ওরগিল: আগেই বলেছি, এ দেশের অর্থনীতি ও বাজার বেশ গতিশীল এবং ক্রমে বাড়ছে। উবার এ সুযোগটি নিতে চায়। এখানকার যাত্রীদের আরও আরামদায়ক ও সাশ্রয়ী মূল্যে যাত্রীসেবা দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।