সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে শিশু ও নারী ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)। সরকারের কাছে জাতীয় শিশু কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে এমজেএফ বলেছে, এই কমিশনকে অবশ্যই অপরাধীদের ন্যায়বিচারের আওতায় আনতে, তদন্তপ্রক্রিয়া আরও কার্যকর করতে এবং শিশু সুরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করতে কাজ করতে হবে।

আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে মানবাধিকার ও সুশাসনের জন্য কাজ করা বেসরকারি সংস্থা এমজেএফ। ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিভিন্ন ঘটনার ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।

নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমাদের বিচার ও সুরক্ষাব্যবস্থা নারী ও শিশুদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থতা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।.

..বেশির ভাগ ভুক্তভোগী সামাজিক লজ্জা ও তথাকথিত পারিবারিক মর্যাদার কারণে মুখ খুলতে পারে না। কিন্তু আমরা যদি এ বিষয়ে আওয়াজ না তুলি, তাহলে অপরাধীরা নীরবতার সুযোগ নিয়ে বারবার এমন ঘৃণ্য অপরাধ চালিয়ে যাবে।’ সমাজকে অপরাধীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এবং নারী ও মেয়েদের জন্য একটি নিরাপদ ও ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শাহীন আনাম।

গত ১০ দিনে দেশের বিভিন্ন জেলায় যৌন সহিংসতার নয়টি ঘটনার কথা উল্লেখ করে এমজেএফের বিবৃতিতে বলা হয়, গণমাধ্যমে আসা এই ঘটনাগুলো হিমশৈলের চূড়ামাত্র। ভয় ও সামাজিক চাপের কারণে অনেক বেশি ভুক্তভোগী নীরবে ভুগছে, অভিযোগ দায়ের করতে পারছে না।...২০২৫ সালের আন্তর্জাতিক নারী দিবসে যখন বিশ্ব ‘সব নারী ও মেয়েদের জন্য: অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে উদ্‌যাপন করছে, তখন বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি লজ্জাজনক এবং এটিকে জরুরি ভিত্তিতে মোকাবিলা করতে হবে। এমজেএফ নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশকারী শিক্ষার্থী, নারী ও পুরুষদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সুশীল সমাজ ও নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানাই, এমন একটি সমাজ গড়ে তুলতে একসঙ্গে দাঁড়াতে হবে, যাতে নারী ও শিশুরা ভয়মুক্তভাবে বাঁচতে পারে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য র ঘটন অপর ধ ঘটন র

এছাড়াও পড়ুন:

শিশু ও নারী ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ এমজেএফের, জাতীয় শিশু কমিশন গঠনের দাবি

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে শিশু ও নারী ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)। সরকারের কাছে জাতীয় শিশু কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে এমজেএফ বলেছে, এই কমিশনকে অবশ্যই অপরাধীদের ন্যায়বিচারের আওতায় আনতে, তদন্তপ্রক্রিয়া আরও কার্যকর করতে এবং শিশু সুরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করতে কাজ করতে হবে।

আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে মানবাধিকার ও সুশাসনের জন্য কাজ করা বেসরকারি সংস্থা এমজেএফ। ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিভিন্ন ঘটনার ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।

নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমাদের বিচার ও সুরক্ষাব্যবস্থা নারী ও শিশুদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থতা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।...বেশির ভাগ ভুক্তভোগী সামাজিক লজ্জা ও তথাকথিত পারিবারিক মর্যাদার কারণে মুখ খুলতে পারে না। কিন্তু আমরা যদি এ বিষয়ে আওয়াজ না তুলি, তাহলে অপরাধীরা নীরবতার সুযোগ নিয়ে বারবার এমন ঘৃণ্য অপরাধ চালিয়ে যাবে।’ সমাজকে অপরাধীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এবং নারী ও মেয়েদের জন্য একটি নিরাপদ ও ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শাহীন আনাম।

গত ১০ দিনে দেশের বিভিন্ন জেলায় যৌন সহিংসতার নয়টি ঘটনার কথা উল্লেখ করে এমজেএফের বিবৃতিতে বলা হয়, গণমাধ্যমে আসা এই ঘটনাগুলো হিমশৈলের চূড়ামাত্র। ভয় ও সামাজিক চাপের কারণে অনেক বেশি ভুক্তভোগী নীরবে ভুগছে, অভিযোগ দায়ের করতে পারছে না।...২০২৫ সালের আন্তর্জাতিক নারী দিবসে যখন বিশ্ব ‘সব নারী ও মেয়েদের জন্য: অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে উদ্‌যাপন করছে, তখন বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি লজ্জাজনক এবং এটিকে জরুরি ভিত্তিতে মোকাবিলা করতে হবে। এমজেএফ নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশকারী শিক্ষার্থী, নারী ও পুরুষদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সুশীল সমাজ ও নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানাই, এমন একটি সমাজ গড়ে তুলতে একসঙ্গে দাঁড়াতে হবে, যাতে নারী ও শিশুরা ভয়মুক্তভাবে বাঁচতে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ